পাবনার ভাঙ্গুড়াতে মাঠ জুড়ে সবুজ আর হলুদের সমারোহ

- প্রকাশিত সময় ০৫:২৩:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২১
- / 142
স্টাফ রিপোর্টারঃ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছে সরিষা ফুল। দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠে যতদুর চোখ যায়, শুধু সবুজ সরিষা ক্ষেত আর হলুদ ফুলের সমারোহ।
সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে প্রকৃতিতে। গত বছরের মতো চলতি মৌসুমেও ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রতিটি মাঠে সরিষার আবাদ হয়েছে চোখে পড়ার মতো।
পক্ষকালের মধ্যেই মাঠের পর মাঠ গাঢ় হলুদ চাদরে ঢেকে যাবে। কম খরচে বেশি লাভের আশায় ভাঙ্গুড়ার কৃষকেরা আগাম জাতের ও অধিক ফলনশীন এই ফসলের চাষ করেছেন।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন চাষিরা। উপজেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ১১ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে ৫হাজার ৩শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে।
উন্নত বারি- ৯,১১,১৪,১৫,১৭ ও ১৮, টরি-৭, হাইল্যান্ড ও সম্পদ জাতের সরিষার আবাদ করা হয়েছে। সম্পতি ভাঙ্গুড়া উপজেলার উপর দিয়ে বন্যা বয়ে গেছে। বন্যার পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় বিরুপ আবহাওয়া উপেক্ষা করে কৃষকেরা আগাম জাতের সরিষার আবাদ করেছেন।
স্বল্প সময়, কম খরচ ও কম পরিশ্রমে এই ফসলের আবাদ হয়ে থাকে। পরে সরিষার জমিতে কম খরচে বোরো আবাদ করেন চাষিরা। ফলে সরিষা বিক্রির টাকা দিয়ে ইরি-বোরো আবাদের খরচ কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারেন।
প্রতি বিঘায় সরিষার ফলন ৬ থেকে ৭ মন পর্যন্ত হয়ে থাকে।’ ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এনামুল হক জানান, ‘সরিষা একটি আগাম ফসল। এ উপজেলায় বন্যার পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় কৃষকেরা আগাম সরিষা চাষ করেছেন।
এরপর একই জমিতে ইরি-বোরো আবাদ হবে। এ বছর কৃষকদের কে সরিষা চাষে ব্যাপক সচেতন করা হয়েছে। কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।’












