পাবনার চাটমোহরের বড়াল নদীতে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ৩৬ মিটার দীর্ঘ একটি ব্রীজ

- প্রকাশিত সময় ০৪:৫০:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২
- / 136
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধিঃপাবনার চাটমোহরের নতুন বাজার খেয়াঘাট এলাকায় বড়াল নদীর উপর প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ৩৬ মিটার দীর্ঘ একটি ব্রীজ। এ ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে উপকৃত হবে চাটমোহরের হাজার হাজার মানুষ। ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে নদীর উত্তর পাড়ের বিলচলন ইউনিয়নের কুমারগাড়া ও বড়সিঙ্গা গ্রামের বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন।
জানা গেছে, চাটমোহর পৌরসদর এবং বিলচলন ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বড়াল নদী। একসময় নদীর উত্তর পাড়ের বিলচলন, গুনাইগাছা, নিমাইচড়া ও হান্ডিয়াল ইউনিয়নের মানুষ চাটমোহর নতুন বাজার খেয়াঘাট নৌকায় পার হয়ে উপজেলা সদরে আসতো।
নদী পারাপারের সুবিধার্থে প্রায় তিন দশক আগে নদী ভরাট করে নদী বরাবর ক্রস বাঁধ দিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি নদীর বদ্ধ জলাশয়ে চলতে থাকে মাছ চাষ।
বড়াল নদী রক্ষা কমিটি বড়াল নদী পুনরুদ্ধারে আন্দোলন সংগ্রাম শুরু করে। চাটমোহর-মান্নাননগড় সংযোগ সড়কটি প্রশস্ত ও পুণঃনির্মাণ হলে কয়েক বছর পূর্বে চাটমোহরের জার্দিস মোড় এলাকায় বড়াল নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মিত হয়।
নতুন বাজার খেয়াঘাটের ক্রসবাঁধটি অপসারণ করে ফেলা হয়। কুমারগাড়া ও বড়সিঙ্গা গ্রামের মানুষ নদীর এ স্থালে বাঁশের সাঁকো তৈরী করে তার উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে থাকে।
বিলচলন, গুনাইগাছা, নিমাইচড়া ও হান্ডিয়াল ইউনিয়নের মানুষ জার্দিস মোড় এলাকার ব্রীজের উপর দিয়ে যাতায়াত শুরু করে। বিলচলন ইউনিয়নের কুমারগাড়া ও বড়সিঙ্গা গ্রামের বাসিন্দাদের জার্দিস মোড় অথবা বোঁথর ঘাট ঘুরে উপজেলা সদরে আসতে হতো। তাই এ ব্রীজ নির্মাণে তারা সবচেয়ে বেশি সুফল ভোগ করবে।
কুমারগাড়া গ্রামের প্রভাষক মোজাম্মেল হক জানান, এখানে ব্রীজটি নির্মিত হলে জার্দিস মোড় এলাকার ব্রীজের উপর দিয়ে এবং এ ব্রীজের উপর দিয়েও যানবাহন যাতায়াত করবে। জার্দিস মোড় এলাকা ব্যস্ততম হওয়ায় সেখানে প্রায়শই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
নির্মাণ কাজ শেষ হলে নতুন বাজার খেয়াঘাট এলাকার এ ব্রীজের উপর দিয়ে যানবাহন চাটমোহর-মান্নাননগর সংযোগ সড়কে উঠতে পারবে। ফলে কুমারগাড়া ও বড়সিঙ্গা গ্রামের বাসিন্দাদের পাশাপাশি চারটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবে।
খেয়াঘাট ব্যবসায়ী সঞ্জয় সরকার জানান, ব্রীজ না থাকায় আমাদের এপারের(পৌরসভা) ব্যবসার তেমন কোন উন্নতি হচ্ছে না। ব্রীজ হলে সহজেই কুমারগাড়া ও বড়সিঙ্গা গ্রামের লোক জন আসতে পারবে।
একদিকে যেমন এই এলাকার উন্নয়ন হবে অপর দিকে জার্দিস মোড়ের যানযোট কমবে। মান্নাননগর থেকে চাটমোহর পৌর সদরে অতি সহজে আসতে পারবে।
চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সুলতান মাহমুদ জানান, ৩৬ মিটার দীর্ঘ এ ব্রীজটির চুক্তিমূল্য ধরা হয়েছে ২,৮৫,৩৭,২১২ (দুই কোটি পঁচাশি লাখ সাঁইত্রিশ হাজার দুইশত বারো) টাকা।
নওগাঁ জেলার বসুন্ধরা হাউজ বিল্ডার্স নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্রীজটির নির্মাণ কাজ করছে। কাজ শুরুর তারিখ ১০ মার্চ ২০২১ ইং। আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষ হবার কথা রয়েছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে এর সুফল পাবে চাটমোহরের মানুষ।












