ঢাকা ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দেব-দেবী বেশে নেচে-গেয়ে চড়ক পূজোর অর্থসংগ্রহ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৫:৪০:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২
  • / 71

চড়কপূজার অর্থ সংগ্রহ

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দেব-দেবী বেশে নেচে-গেয়ে চড়ক পূজোর অর্থসংগ্রহ চলছে। ছবি: স্বতঃকণ্ঠ



ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৫:৫৫ বিকাল, এপ্রিল ১৮, ২০২২


কেউ সেজেছেন কালী, কেউ দূর্গা, কেউবা শিব, আবার কেউবা রাধা-কৃষ্ণ। এমনি বিভিন্ন দেব-দেবী বেশে বাদ্যের তালে তালে নেচে-গেয়ে পূজো অর্থ সংগ্রহসহ ভক্তদের পূজার জানান দিচ্ছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীর ৮ থেকে ১২ জনের একটি দল।

গত রবিবার বিকেল ও গতকাল সোমবার সকালে এমনি দৃশ্য চোখে পড়ে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর বাজারসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে। হঠাৎ তাদেরকে এমন রূপে দেখে সড়কে ভিড় জমে উৎসুক বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের।

দেখা গেছে, বর্ণিল সাজে নানা দেবদেবীর রূপে ৮-১২ জনের একটি দল বাদ্যের তালে তালে নেচে-গেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দলের বেশির ভাগ সদস্য কিশোর, তরুণ ও যুবক। তাঁরা বাড়ি ও দোকানে গিয়ে মঙ্গল কামনা করে ধর্মীয় এবং নৃত্য পরিবেশন করেন। গান পরিবেশনের পর ওইসব সনাতনী গৃহস্থ ও দোকানীরা তাঁদের চাল, ধান, ডাল, সবজিসহ নগদ অর্থ দেন।

দেবদেবীর রূপ ধারণকারী তারা সকলে উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও আলাদীপুর চড়ক কালী মন্দির কমিটির সদস্য।

জানা যায়, শ্মশান পিতা ভোলানাথ (শিব) ও কালীমাতা আদ্য শক্তি কৈলাশ থেকে শ্মশান মত্যধামে আগমন উপলক্ষে আলাদীপুরে এই চরক কালী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ৪ বৈশাখ সোমবার রাত্রী ১২.৩০ মিনিটে হবে শ্মশান যাত্রা, ৫ বৈশাখ মঙ্গলবার রাত্রী ২.৪৭ মিনিটে কালী পূজো এবং ৬ বৈশাখ বুধবার চরক পূজো ও মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

আলাদীপুর চরক কালী মন্দিরের সভাপতি পরিতোষ চন্দ্র রায় ও সম্পাদক কান্তি চন্দ্র সরকার বলেন, প্রতিবছর বৈশাখ মাসে এই চরক পূজো ও মেলার আয়েজন করা হয়। এটি প্রাচীন পূজা। করোনার কারণে গত দুই বছর পূজা বন্ধ ছিল। এবার আবার পূজা হবে, চরক ঘুরবে এবং মন্দিরের আশপাশে মেলা বসবে। সেখানে একজনের পিঠে গাঁথা হবে বর্শি। এরপর ঘোরানো হবে চরকে। সেই সঙ্গে হবে পূজা-অর্চনা। এটি দেখতে বিভিন্নস্থান থেকে মানুষের উপড়ে পড়া ভিড় জমে। সেই পূজোকে কেন্দ্র করেই বিভিন্ন দেবদেবীর রূপে সেজে আমরা অর্থ সংগ্রহসহ মানুষকে পূজো সম্পর্কে জানান ও নিমন্ত্রণ দিচ্ছি।

প্রত্যক্ষদর্শী খয়বর রহমান, উজ্জ্বল মহন্ত ও বাপ্পি দাস বলেন, হঠাৎ করেই বাদ্যের তালে তালে নেচে গেয়ে বেড়াতে দেখা যায় বিভিন্ন দেব-দেবী রুপে সাজা একটি দলকে। তারা ঐতিহ্যবাহী চরক পূজো উপলক্ষে সকলকে জানান দিচ্ছেন। একই সাথে পূজোর খরচ যোগাতে সনাতনীদের কাছে অর্থ সংগ্রহ করছেন। তাদেরকে দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় জমে।

 

 আরও পড়ুনঃ

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দেব-দেবী বেশে নেচে-গেয়ে চড়ক পূজোর অর্থসংগ্রহ

প্রকাশিত সময় ০৫:৪০:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দেব-দেবী বেশে নেচে-গেয়ে চড়ক পূজোর অর্থসংগ্রহ চলছে। ছবি: স্বতঃকণ্ঠ



ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৫:৫৫ বিকাল, এপ্রিল ১৮, ২০২২


কেউ সেজেছেন কালী, কেউ দূর্গা, কেউবা শিব, আবার কেউবা রাধা-কৃষ্ণ। এমনি বিভিন্ন দেব-দেবী বেশে বাদ্যের তালে তালে নেচে-গেয়ে পূজো অর্থ সংগ্রহসহ ভক্তদের পূজার জানান দিচ্ছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীর ৮ থেকে ১২ জনের একটি দল।

গত রবিবার বিকেল ও গতকাল সোমবার সকালে এমনি দৃশ্য চোখে পড়ে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর বাজারসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে। হঠাৎ তাদেরকে এমন রূপে দেখে সড়কে ভিড় জমে উৎসুক বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের।

দেখা গেছে, বর্ণিল সাজে নানা দেবদেবীর রূপে ৮-১২ জনের একটি দল বাদ্যের তালে তালে নেচে-গেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দলের বেশির ভাগ সদস্য কিশোর, তরুণ ও যুবক। তাঁরা বাড়ি ও দোকানে গিয়ে মঙ্গল কামনা করে ধর্মীয় এবং নৃত্য পরিবেশন করেন। গান পরিবেশনের পর ওইসব সনাতনী গৃহস্থ ও দোকানীরা তাঁদের চাল, ধান, ডাল, সবজিসহ নগদ অর্থ দেন।

দেবদেবীর রূপ ধারণকারী তারা সকলে উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও আলাদীপুর চড়ক কালী মন্দির কমিটির সদস্য।

জানা যায়, শ্মশান পিতা ভোলানাথ (শিব) ও কালীমাতা আদ্য শক্তি কৈলাশ থেকে শ্মশান মত্যধামে আগমন উপলক্ষে আলাদীপুরে এই চরক কালী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ৪ বৈশাখ সোমবার রাত্রী ১২.৩০ মিনিটে হবে শ্মশান যাত্রা, ৫ বৈশাখ মঙ্গলবার রাত্রী ২.৪৭ মিনিটে কালী পূজো এবং ৬ বৈশাখ বুধবার চরক পূজো ও মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

আলাদীপুর চরক কালী মন্দিরের সভাপতি পরিতোষ চন্দ্র রায় ও সম্পাদক কান্তি চন্দ্র সরকার বলেন, প্রতিবছর বৈশাখ মাসে এই চরক পূজো ও মেলার আয়েজন করা হয়। এটি প্রাচীন পূজা। করোনার কারণে গত দুই বছর পূজা বন্ধ ছিল। এবার আবার পূজা হবে, চরক ঘুরবে এবং মন্দিরের আশপাশে মেলা বসবে। সেখানে একজনের পিঠে গাঁথা হবে বর্শি। এরপর ঘোরানো হবে চরকে। সেই সঙ্গে হবে পূজা-অর্চনা। এটি দেখতে বিভিন্নস্থান থেকে মানুষের উপড়ে পড়া ভিড় জমে। সেই পূজোকে কেন্দ্র করেই বিভিন্ন দেবদেবীর রূপে সেজে আমরা অর্থ সংগ্রহসহ মানুষকে পূজো সম্পর্কে জানান ও নিমন্ত্রণ দিচ্ছি।

প্রত্যক্ষদর্শী খয়বর রহমান, উজ্জ্বল মহন্ত ও বাপ্পি দাস বলেন, হঠাৎ করেই বাদ্যের তালে তালে নেচে গেয়ে বেড়াতে দেখা যায় বিভিন্ন দেব-দেবী রুপে সাজা একটি দলকে। তারা ঐতিহ্যবাহী চরক পূজো উপলক্ষে সকলকে জানান দিচ্ছেন। একই সাথে পূজোর খরচ যোগাতে সনাতনীদের কাছে অর্থ সংগ্রহ করছেন। তাদেরকে দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় জমে।

 

 আরও পড়ুনঃ