ঢাকা ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

বাঘায় পত্রিকায় প্রকাশের পরও থামছে না পুকুর খনন মহোৎসব

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৬:৪৯:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২
  • / 90

রাজশাহী

বাঘায় বলিহারে আম বাগান কেটে পুকুর খননের মহোৎসব চলছে। ছবি: হাবিল উদ্দিন

 

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:৩৯ সকাল, ২৩ এপ্রিল ২০২২

রাজশাহীর বাঘায় বিভিন্ন পত্রিকা,অনলাইন ও সোস্যাল মিড়িয়ায় সংবাদ প্রকাশের পরেও থামছেন না পুকুর খনন।

আগে ছিলো কৃষি জমিতে পুকুর খনন।বর্তমানে তার সাথে যোগ হয়েছে আম বাগান নিধন।বাঘা উপজেলার একমাত্র অর্থকরী ফসল আম তাও আজ হুমকির মুখে।এক শ্রেণীর অধিক মুনাফা লোভী চক্রের ফাঁদে পড়ছে জমির মালিকরা। এক দিকে কমছে কৃষি জমির পরিমাণ,অন্যদিকে কমছে আম বাগানের সংখ্যা। আম বাগান কেটে ও ফসলি জমিতে পুকুর খননের এ যেন এক মহোৎসব। দিনে বা রাতে একাধারে চলছে এ উৎসব।আবার পুকুর খননের মাটি পাকা রাস্তায় পড়ে ও মাটি বহনকারী ট্রাক্টরে ধুলাবালিতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এ বিষয়ে বিভিন্নস্থানে অভিযোগ দিয়েও প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। অনেকস্থানে পুকুর খননের কারনে বিদ্যুতের খুটির গোড়া থেকে মাটি সরিয়ে নেওয়ায় মূল লাইন ঝুকিতে রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট্র সূত্রে জানা গেছে, বাঘা পৌরসভার উত্তর মিলিকবাঘা, বলিহার, চাকিপাড়া, বাজুবাঘা ইউনিয়নের বার খাদিয়া, মনিগ্রাম ইউনিয়নের তুলসীপুর, পাকুড়িয়া, আড়ানী ও বাউসা ইউনিয়নে বিভিন্নস্থানে ব্যাপক হারে পুকুর খননের মহোৎসব চলছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় কৃষি জমির পরিমাণ ৩৭ হাজার ৯০৮ হেক্টর। এর মধ্যে ৫ ফসলি জমি ১৫০ হেক্টর। ৪ ফসলি জমি এক হাজার হেক্টর। ৩ ফসলি জমি পাঁচ হাজার হেক্টর। ২ ফসলি জমি ৮ হাজার ৪৭৯ হেক্টর। ১ ফসলি জমি ১ হাজার ২০০ হেক্টর। এসব জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে ভূমি আইন অপেক্ষা করে খনন করা হচ্ছে পুকুর। ফলে কমে যাচ্ছে ফসলি জমির পরিমাণ।

বাঘা-পুকুর-খনন-1
পুকুর খননের কারণে বিদ্যুতের খুটির গোড়া থেকে মাটি সরিয়ে নেওয়ায় মূল লাইন ঝুঁকিতে রয়েছে।

 

এ বিষয়ে বাঘা পৌরসভার কাউন্সিলর মোমিনুল ইসলাম বলেন, আমি কিছু জমি লেবার দিয়ে পুকুর খনন করেছি জমির মালিক শাকিল রানা বলেন, আমার কিছু জমি প্রতিত হিসেবে পড়ে ছিল। এই জমির কিছু মাটি বিক্রি করা হয়েছে। পুকুর খননের কারনে দিন দিন কমছে ফসলি জমির পরিমাণ। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে শস্য ভান্ডারের উপাধি হারাবে বাঘা উপজেলা। পুকুর খনন বন্ধ করার বিষয়ে প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ নেই। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে রোধ করা দরকার।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোকাদ্দেস আলী বলেন, পবিত্র রমজান মাসে দিনরাত ২৪ ঘন্টা উপজেলার বিভিন্ন প্রােেন্ত চলছে পুকুর খনন। এই পুকুর খননের মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। এই মাটি পাকা রাস্তায় পড়ে শুকিয়ে ধুলাতে রুপান্তর হচ্ছে। ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি সহ উপজেলাবাসী প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার কৃষি অফিসারের ক্ষমতা নেই। এ বিষয়ে সামনে মাসিক সস্বন্বয় সভায় উপস্থাপনা করে প্রশাসনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় দেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা বলেন, খবর পেলেই পুকুর খননের বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পাকা রাস্তায় উপর মাটি পড়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 আরও পড়ুনঃ

এই রকম আরও টপিক

বাঘায় পত্রিকায় প্রকাশের পরও থামছে না পুকুর খনন মহোৎসব

প্রকাশিত সময় ০৬:৪৯:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২
বাঘায় বলিহারে আম বাগান কেটে পুকুর খননের মহোৎসব চলছে। ছবি: হাবিল উদ্দিন

 

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:৩৯ সকাল, ২৩ এপ্রিল ২০২২

রাজশাহীর বাঘায় বিভিন্ন পত্রিকা,অনলাইন ও সোস্যাল মিড়িয়ায় সংবাদ প্রকাশের পরেও থামছেন না পুকুর খনন।

আগে ছিলো কৃষি জমিতে পুকুর খনন।বর্তমানে তার সাথে যোগ হয়েছে আম বাগান নিধন।বাঘা উপজেলার একমাত্র অর্থকরী ফসল আম তাও আজ হুমকির মুখে।এক শ্রেণীর অধিক মুনাফা লোভী চক্রের ফাঁদে পড়ছে জমির মালিকরা। এক দিকে কমছে কৃষি জমির পরিমাণ,অন্যদিকে কমছে আম বাগানের সংখ্যা। আম বাগান কেটে ও ফসলি জমিতে পুকুর খননের এ যেন এক মহোৎসব। দিনে বা রাতে একাধারে চলছে এ উৎসব।আবার পুকুর খননের মাটি পাকা রাস্তায় পড়ে ও মাটি বহনকারী ট্রাক্টরে ধুলাবালিতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এ বিষয়ে বিভিন্নস্থানে অভিযোগ দিয়েও প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। অনেকস্থানে পুকুর খননের কারনে বিদ্যুতের খুটির গোড়া থেকে মাটি সরিয়ে নেওয়ায় মূল লাইন ঝুকিতে রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট্র সূত্রে জানা গেছে, বাঘা পৌরসভার উত্তর মিলিকবাঘা, বলিহার, চাকিপাড়া, বাজুবাঘা ইউনিয়নের বার খাদিয়া, মনিগ্রাম ইউনিয়নের তুলসীপুর, পাকুড়িয়া, আড়ানী ও বাউসা ইউনিয়নে বিভিন্নস্থানে ব্যাপক হারে পুকুর খননের মহোৎসব চলছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় কৃষি জমির পরিমাণ ৩৭ হাজার ৯০৮ হেক্টর। এর মধ্যে ৫ ফসলি জমি ১৫০ হেক্টর। ৪ ফসলি জমি এক হাজার হেক্টর। ৩ ফসলি জমি পাঁচ হাজার হেক্টর। ২ ফসলি জমি ৮ হাজার ৪৭৯ হেক্টর। ১ ফসলি জমি ১ হাজার ২০০ হেক্টর। এসব জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে ভূমি আইন অপেক্ষা করে খনন করা হচ্ছে পুকুর। ফলে কমে যাচ্ছে ফসলি জমির পরিমাণ।

বাঘা-পুকুর-খনন-1
পুকুর খননের কারণে বিদ্যুতের খুটির গোড়া থেকে মাটি সরিয়ে নেওয়ায় মূল লাইন ঝুঁকিতে রয়েছে।

 

এ বিষয়ে বাঘা পৌরসভার কাউন্সিলর মোমিনুল ইসলাম বলেন, আমি কিছু জমি লেবার দিয়ে পুকুর খনন করেছি জমির মালিক শাকিল রানা বলেন, আমার কিছু জমি প্রতিত হিসেবে পড়ে ছিল। এই জমির কিছু মাটি বিক্রি করা হয়েছে। পুকুর খননের কারনে দিন দিন কমছে ফসলি জমির পরিমাণ। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে শস্য ভান্ডারের উপাধি হারাবে বাঘা উপজেলা। পুকুর খনন বন্ধ করার বিষয়ে প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ নেই। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে রোধ করা দরকার।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোকাদ্দেস আলী বলেন, পবিত্র রমজান মাসে দিনরাত ২৪ ঘন্টা উপজেলার বিভিন্ন প্রােেন্ত চলছে পুকুর খনন। এই পুকুর খননের মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। এই মাটি পাকা রাস্তায় পড়ে শুকিয়ে ধুলাতে রুপান্তর হচ্ছে। ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি সহ উপজেলাবাসী প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার কৃষি অফিসারের ক্ষমতা নেই। এ বিষয়ে সামনে মাসিক সস্বন্বয় সভায় উপস্থাপনা করে প্রশাসনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় দেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা বলেন, খবর পেলেই পুকুর খননের বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পাকা রাস্তায় উপর মাটি পড়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 আরও পড়ুনঃ