ঢাকা ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ভারতীয় প্রেমিক হত্যা মামলায় প্রেমিকার যাবজ্জীবন

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১২:৪১:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মে ২০২২
  • / 96

ভারতীয় প্রেমিক হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত নাসিমা খাতুন। ছবি: স্বতঃকণ্ঠ

ভারতীয় নাগরিক হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত নাসিমা খাতুন। ছবি: স্বতঃকণ্ঠ

পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:৩৩ অপরাহ্ন, ১১ এপ্রিল ২০২২

পাবনার ঈশ্বরদীতে ভারতীয় নাগরিক আজব লাল যাদব (৫০) হত্যা মামলায় নাসিমা খাতুন (৩০) নামের এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামি নাসিমা খাতুন ঈশ্বরদী উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের সাইফুল্লাহর মেয়ে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক বলেন, ভারতের বিহার প্রদেশের মাধুরানী জেলার বাসিন্দা আজব লাল যাদব ২০১৪ সালের ২৮ মে ঈশ্বরদীর রশিদ অয়েল মিলে রিফাইনারি ইনচার্জ হিসেবে যোগ দেন। সেখানে ২০১৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর রশিদ ওয়েল মিল থেকে চাকরিচ্যুত হয়ে তিনি অন্যত্র চাকরি নেন। সে সময় তিনি উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের সাইফুল্লাহর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভাড়া থাকার সুবাদে বাড়ির মালিকের মেয়ে নাসিমা খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই ভারতীয় নাগরিক। তিনি প্রচুর পরিমাণে মদপানও করতেন।

২০১৭ সালের ৬ মে কালিকাপুর গ্রামে সাইফুল্লাহর ভাড়াবাড়ি থেকে বিষক্রিয়ায় গুরুতর অসুস্থ হলে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। এনিয়ে তখন এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সুষ্টি হয়।

এ ঘটনায় পরদিন ৭ মে ঈশ্বরদী থানার তৎকালীন এসআই আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা বাড়ির মালিক সাইফুল্লাহর মেয়ে নাসিমা খাতুনকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তদন্তে আজব লাল যাদবকে বিয়ের প্রলোভনে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ফলের জুসের সঙ্গে বিষপান করিয়ে হত্যার বিষয়টি উঠে আসে। দীর্ঘদিন মামলার শুনানি ও সাক্ষ্য শেষে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

উল্লেখ্য, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান।

 

 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ



ভারতীয় প্রেমিক হত্যা মামলায় প্রেমিকার যাবজ্জীবন

প্রকাশিত সময় ১২:৪১:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মে ২০২২
ভারতীয় নাগরিক হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত নাসিমা খাতুন। ছবি: স্বতঃকণ্ঠ

পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:৩৩ অপরাহ্ন, ১১ এপ্রিল ২০২২

পাবনার ঈশ্বরদীতে ভারতীয় নাগরিক আজব লাল যাদব (৫০) হত্যা মামলায় নাসিমা খাতুন (৩০) নামের এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামি নাসিমা খাতুন ঈশ্বরদী উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের সাইফুল্লাহর মেয়ে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক বলেন, ভারতের বিহার প্রদেশের মাধুরানী জেলার বাসিন্দা আজব লাল যাদব ২০১৪ সালের ২৮ মে ঈশ্বরদীর রশিদ অয়েল মিলে রিফাইনারি ইনচার্জ হিসেবে যোগ দেন। সেখানে ২০১৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর রশিদ ওয়েল মিল থেকে চাকরিচ্যুত হয়ে তিনি অন্যত্র চাকরি নেন। সে সময় তিনি উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের সাইফুল্লাহর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভাড়া থাকার সুবাদে বাড়ির মালিকের মেয়ে নাসিমা খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই ভারতীয় নাগরিক। তিনি প্রচুর পরিমাণে মদপানও করতেন।

২০১৭ সালের ৬ মে কালিকাপুর গ্রামে সাইফুল্লাহর ভাড়াবাড়ি থেকে বিষক্রিয়ায় গুরুতর অসুস্থ হলে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। এনিয়ে তখন এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সুষ্টি হয়।

এ ঘটনায় পরদিন ৭ মে ঈশ্বরদী থানার তৎকালীন এসআই আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা বাড়ির মালিক সাইফুল্লাহর মেয়ে নাসিমা খাতুনকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তদন্তে আজব লাল যাদবকে বিয়ের প্রলোভনে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ফলের জুসের সঙ্গে বিষপান করিয়ে হত্যার বিষয়টি উঠে আসে। দীর্ঘদিন মামলার শুনানি ও সাক্ষ্য শেষে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

উল্লেখ্য, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান।

 

 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ