ঢাকা ০১:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনায় সরকারি কালভার্ট ভেঙে নির্মাণ সামগ্রী লুটের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০২:০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মে ২০২২
  • / 57

কালভার্ট লুট

পাবনার সুজানগরে প্রকাশ্যে সরকারি রাস্তার কালভার্ট ভেঙে রড, ইটসহ নির্মাণ সামগ্রী লুট করে নিয়ে গেছে গ্রামের কিছু লোকজন। ছবি: পিপ

বার্তা সংস্থা পিপ (পাবনা)
প্রকাশিত: ১১:৪৭ রাত, ১৯ মে ২০২২

পাবনায় সরকারি কালভার্ট ভেঙে নির্মাণ সামগ্রী লুটের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি

পাবনার সুজানগরে প্রকাশ্যে সরকারি রাস্তার কালভার্ট ভেঙে রড, ইটসহ নির্মাণ সামগ্রী লুটের অভিযোগ উঠেছে। গত ৬ মে উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ফুলদুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্থানীয় গ্রামবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে প্রায় সাত বছর আগে তাঁতীবন্দ ইউপির ফুলদুলিয়া গ্রামের মাটির রাস্তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ কালভার্ট নির্মাণ করে দেয়। সড়কটি মাটির হলেও, গ্রামের চাষিদের ফসলাদি পরিবহণ, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের চলাচল ও মুমূর্ষ রোগীদের হাসপাতালে নিতে ব্যবহার হয়ে আসছে।

হঠাৎ করেই ৬ মে ভোরে ফুলদুলিয়া গ্রামের ফজল প্রাং, স্বপন সরকার, শাকিল, আমির, ভবানীপুর গ্রামের মোতালেব ও কামারদুলিয়া গ্রামের শামীম এসে কালভার্টটি ভাঙতে শুরু করে। এ সময় গ্রামবাসী বাধা দিলে তারা হুমকি ধামকি দেয়।


কালভার্ট লুট তাঁতীবন্দ ইউপির ফুলদুলিয়া গ্রামের মাটির রাস্তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক নির্মিত কালভার্ট লুটের পরের অবস্থা।

জাহাঙ্গীর আরো বলেন, জনপ্রতিনিধি হওয়ায় আমি তাদের কালভার্ট ভাঙতে নিষেধ করি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর মারমুখি আচরণ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। গ্রামবাসীর সকল অনুরোধ নিষেধ উপেক্ষা করে তারা কালভার্ট ভেঙে রড ও অন্যান্য উপকরণ বাড়িতে নিয়ে যায় যা চুরির শামিল।

ফুলদুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও তাঁতীবন্দ ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মাবুদ শেখ বলেন, সাত বছর আগে আমি ইউপি সদস্য থাকাকালীন সরকারি বরাদ্দে মাটির সড়ক ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। সে সময় কেউ নির্মাণ কাজে বাধা দেয়নি। কিন্তু হঠাৎ করে ফজল প্রামাণিক, স্বপন সরকারসহ কয়েকজন কালভার্টের জমি নিজেদের বলে দাবি করে ভেঙে নিয়ে গেছে। তাদের জমি নিয়ে দাবি থাকলে সরকারের কাছে অভিযোগ জানাতে পারতো। কিন্তু তারা তা না করে কালভার্ট ভেঙে বাড়িতে নিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে আমি উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিক ও লিখিত ভাবে জানিয়েছি। প্রকাশ্যে সরকারি সম্পদ ধ্বংস ও লুন্ঠণ কারীদের আমি বিচার দাবী করছি।

সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওশন আলম বলেন, ফুলদুলিয়া গ্রামে সরকারি কালভার্ট লুটের বিষয়ে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত ফজল প্রামাণিকের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ

পাবনায় সরকারি কালভার্ট ভেঙে নির্মাণ সামগ্রী লুটের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত সময় ০২:০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মে ২০২২
পাবনার সুজানগরে প্রকাশ্যে সরকারি রাস্তার কালভার্ট ভেঙে রড, ইটসহ নির্মাণ সামগ্রী লুট করে নিয়ে গেছে গ্রামের কিছু লোকজন। ছবি: পিপ

বার্তা সংস্থা পিপ (পাবনা)
প্রকাশিত: ১১:৪৭ রাত, ১৯ মে ২০২২

পাবনায় সরকারি কালভার্ট ভেঙে নির্মাণ সামগ্রী লুটের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি

পাবনার সুজানগরে প্রকাশ্যে সরকারি রাস্তার কালভার্ট ভেঙে রড, ইটসহ নির্মাণ সামগ্রী লুটের অভিযোগ উঠেছে। গত ৬ মে উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ফুলদুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্থানীয় গ্রামবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে প্রায় সাত বছর আগে তাঁতীবন্দ ইউপির ফুলদুলিয়া গ্রামের মাটির রাস্তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ কালভার্ট নির্মাণ করে দেয়। সড়কটি মাটির হলেও, গ্রামের চাষিদের ফসলাদি পরিবহণ, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের চলাচল ও মুমূর্ষ রোগীদের হাসপাতালে নিতে ব্যবহার হয়ে আসছে।

হঠাৎ করেই ৬ মে ভোরে ফুলদুলিয়া গ্রামের ফজল প্রাং, স্বপন সরকার, শাকিল, আমির, ভবানীপুর গ্রামের মোতালেব ও কামারদুলিয়া গ্রামের শামীম এসে কালভার্টটি ভাঙতে শুরু করে। এ সময় গ্রামবাসী বাধা দিলে তারা হুমকি ধামকি দেয়।


কালভার্ট লুট তাঁতীবন্দ ইউপির ফুলদুলিয়া গ্রামের মাটির রাস্তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক নির্মিত কালভার্ট লুটের পরের অবস্থা।

জাহাঙ্গীর আরো বলেন, জনপ্রতিনিধি হওয়ায় আমি তাদের কালভার্ট ভাঙতে নিষেধ করি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর মারমুখি আচরণ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। গ্রামবাসীর সকল অনুরোধ নিষেধ উপেক্ষা করে তারা কালভার্ট ভেঙে রড ও অন্যান্য উপকরণ বাড়িতে নিয়ে যায় যা চুরির শামিল।

ফুলদুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও তাঁতীবন্দ ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মাবুদ শেখ বলেন, সাত বছর আগে আমি ইউপি সদস্য থাকাকালীন সরকারি বরাদ্দে মাটির সড়ক ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। সে সময় কেউ নির্মাণ কাজে বাধা দেয়নি। কিন্তু হঠাৎ করে ফজল প্রামাণিক, স্বপন সরকারসহ কয়েকজন কালভার্টের জমি নিজেদের বলে দাবি করে ভেঙে নিয়ে গেছে। তাদের জমি নিয়ে দাবি থাকলে সরকারের কাছে অভিযোগ জানাতে পারতো। কিন্তু তারা তা না করে কালভার্ট ভেঙে বাড়িতে নিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে আমি উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিক ও লিখিত ভাবে জানিয়েছি। প্রকাশ্যে সরকারি সম্পদ ধ্বংস ও লুন্ঠণ কারীদের আমি বিচার দাবী করছি।

সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওশন আলম বলেন, ফুলদুলিয়া গ্রামে সরকারি কালভার্ট লুটের বিষয়ে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত ফজল প্রামাণিকের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ