ঢাকা ১১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ’ শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১২:২০:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২
  • / 52

সম্মাননা প্রদান

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথি বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তারকে সম্মননা ক্রেস্ট তুলে দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। ছবি: মোঃ ফারুক হোসেন চৌধুরী

পাবিপ্রবি সংবাদদাতা, পাবনা
প্রকাশিত: ১১:৪৬ ,৩ জুন ২০২২

শুক্রবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণামূলক একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার।

নারী মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার ২০২০ সালে বেগম রোকেয়া পদকে ভুষিত হন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান।

আলোচনা অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারী-২তে অনুষ্ঠানটি শুর হয়ে সন্ধ্যা ৬ টায় শেষ হয়।

প্রধান অতিথি বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, আমাদের একটি শব্দ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জেগে উঠেছিল এবং বাঙালি জাতি একত্রে মিলিত হয়েছিল। হাজারো মা বোনেরা সেদিন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কিন্তু অনেক মা বোন তাঁদের স্বীকৃতি পাননি। মুক্তিযুদ্ধ একটি নিরবচ্ছিন্ন, একটি ইতিহাস ও মহাকাব্যিক শব্দ। শব্দটিকে স্মরণ করলে আমরা শক্তি পাই, সাহস পাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের সবার ভিতরে থাকতে হবে। সামনে তাকাতে হলে আমাদের পিছনের ইতিহাসও স্মরণ করতে হবে। তিনি মাঠের যোদ্ধাদের কথা স্মরণ করে বলেন, তাঁরা কোনো কিছু না ভেবেই দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন এবং জীবন দিয়েছেন। তিনি বলেন, সঠিক তথ্য এবং বিভিন্ন কারণে তাঁদের মূল্যায়িত করতে পারিনি। সকলে মিলে আমাদের দেশকে ভালোবাসতে হবে। আমাদের নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধকে উপলব্ধি এবং অন্তরে ধারণ করে, দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে।

উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, বিভক্তি এবং বৈষম্যের কারণেই মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার মাধ্যমে জাতি দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছিল ।আদেমের মাঝে এখনও বিভক্তি আছে। এ সকল মতভেদ ভুলে দেশ ও জাতি গঠনে আমাদেরকে কাজ করতে হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন অনুষ্ঠানে সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আজ আমাদের জন্য একটি বিশেষ ও আনন্দের দিন। আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের উপর বেশি বেশি আলোচনা করতে হবে। তাহলে নতুন প্রজন্ম আমাদের বীরত্বগাঁথা সংগ্রামের কথা জানতে পারবে। তিনি বলেন, আমাদেরকে জয়ী ও সংগ্রামী মানুষকে অনুসরণ করতে হবে। সংগ্রামী মানুষের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষাক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুল্লাহ।

– প্রেস রিলিজ

 
 

 

 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ’ শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত সময় ১২:২০:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথি বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তারকে সম্মননা ক্রেস্ট তুলে দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। ছবি: মোঃ ফারুক হোসেন চৌধুরী

পাবিপ্রবি সংবাদদাতা, পাবনা
প্রকাশিত: ১১:৪৬ ,৩ জুন ২০২২

শুক্রবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণামূলক একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার।

নারী মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার ২০২০ সালে বেগম রোকেয়া পদকে ভুষিত হন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান।

আলোচনা অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারী-২তে অনুষ্ঠানটি শুর হয়ে সন্ধ্যা ৬ টায় শেষ হয়।

প্রধান অতিথি বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, আমাদের একটি শব্দ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জেগে উঠেছিল এবং বাঙালি জাতি একত্রে মিলিত হয়েছিল। হাজারো মা বোনেরা সেদিন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কিন্তু অনেক মা বোন তাঁদের স্বীকৃতি পাননি। মুক্তিযুদ্ধ একটি নিরবচ্ছিন্ন, একটি ইতিহাস ও মহাকাব্যিক শব্দ। শব্দটিকে স্মরণ করলে আমরা শক্তি পাই, সাহস পাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের সবার ভিতরে থাকতে হবে। সামনে তাকাতে হলে আমাদের পিছনের ইতিহাসও স্মরণ করতে হবে। তিনি মাঠের যোদ্ধাদের কথা স্মরণ করে বলেন, তাঁরা কোনো কিছু না ভেবেই দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন এবং জীবন দিয়েছেন। তিনি বলেন, সঠিক তথ্য এবং বিভিন্ন কারণে তাঁদের মূল্যায়িত করতে পারিনি। সকলে মিলে আমাদের দেশকে ভালোবাসতে হবে। আমাদের নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধকে উপলব্ধি এবং অন্তরে ধারণ করে, দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে।

উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, বিভক্তি এবং বৈষম্যের কারণেই মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার মাধ্যমে জাতি দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছিল ।আদেমের মাঝে এখনও বিভক্তি আছে। এ সকল মতভেদ ভুলে দেশ ও জাতি গঠনে আমাদেরকে কাজ করতে হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন অনুষ্ঠানে সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আজ আমাদের জন্য একটি বিশেষ ও আনন্দের দিন। আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের উপর বেশি বেশি আলোচনা করতে হবে। তাহলে নতুন প্রজন্ম আমাদের বীরত্বগাঁথা সংগ্রামের কথা জানতে পারবে। তিনি বলেন, আমাদেরকে জয়ী ও সংগ্রামী মানুষকে অনুসরণ করতে হবে। সংগ্রামী মানুষের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষাক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুল্লাহ।

– প্রেস রিলিজ

 
 

 

 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ