প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলার পলাতক ফাঁসির আসামি জাকারিয়া পিন্টু। ফাইল ছবি।

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১২:৫৯ অপরাহ্ন, ২৬ জুন ২০২২

১৯৯৪ সালে ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলি ও বোমা হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জাকারিয়া পিন্টুকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

শনিবার ২৫ জুন রাতে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলা থেকে জাকারিয়া পিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন র‍্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

গ্রেফতারকৃত জাকারিয়া পিন্টু ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

তিনি বলেন, ২৮ বছর আগে ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে ঈশ্বরদীর পাকশী এবং ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে বোমা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২০১৯ সালে ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় বিজ্ঞ আদালত। গ্রেফতারকৃত জাকারিয়া পিন্টু ঐ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত একজন পলাতক আসামি। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায়ও তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্যান্য আসামিরা হলেন- ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি একেএম আক্তারুজ্জামান (৬০), ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোখলেছুর রহমান বাবলু (৫৭), পৌর যুবদলের সভাপতি মোস্তফা নুরে আলম শ্যামল (৪০), স্থানীয় বিএনপি নেতা রেজাউল করিম শাহীন (৪৫), শহিদুল ইসলাম অটল (৪৫), আজিজুর রহমান ওরফে ফরিং শাহিন (৪৬), মাহবুবুর রহমান ওরফে পলাশ (৪০), শামসুল আলম (৫৫)। এদের মধ্যে জাকারিয়া পিন্টু পলাতক ছিলেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- আমিনুল ইসলাম ওরফে আমিন (পলাতক), আজাদ হোসেন ওরফে খোকন, ইসমাইল হোসেন জুয়েল, আলাউদ্দিন বিশ্বাস, শামসুর রহমান শিমু, আনিসুর রহমান ওরফে সেকম (পলাতক), আক্কেল আলী, মো. রবি (পলাতক), মো. এনাম, আবুল কাশেম ওরফে হালট কাশেম (পলাতক), কালাবাবু (পলাতক), মামুন (পলাতক), মামুন (পলাতক), সেলিম, কল্লোল, তুহিন, শাহ আলম লিটন, আবদুল্লাহ আল মামুন রিপন, লাইজু (পলাতক), আবদুল জব্বার, পলাশ, হাকিমুদ্দিন ওরফে টেনু, আলমগীর, আবুল কালাম (পলাতক) ও একেএম ফিরোজুল ইসলাম পায়েল।

১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নেফাউর রহমান ওরফে রাজু, ঈশ্বরদী পৌর কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনি, আজমল হোসেন ডাবলু, রনো (পলাতক), বরকত, চাঁদ আলী (পলাতক), এনামুল কবির, মুক্তা, হাফিজুর রহমান ওরফে মুকুল, হুমায়ন কবির ওরফে দুলাল (পলাতক), জামরুল (পলাতক), তুহিন বিন সিদ্দিক ও ফজলুর রহমান।