ঢাকা ০৭:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঈদকে উপলক্ষ্য করে বাজারে মসলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১২:৩১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ জুলাই ২০২২
  • / 77

ঈদকে উপলক্ষ্য করে বাজারে মসলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।


পাবনা সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১২:৩১ অপরাহ্ন, ৩ জুলাই ২০২২

ভোজ্য তেলের অস্থিরতার মধ্যেই বাজারে মসলাজাতীয় পণ্যের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে দুই/একটি ছাড়া প্রায় সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে সর্বনিম্ন ৫ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। ক্রেতাদের অভিযোগ, কোনো কারণ ছাড়াই প্রায় সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। আসলে বাজার এখন ব্যবসায়ীদের হাতে। তারা যখন-তখন জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছেন। নিরুপায় হয়ে ক্রেতাদের তা মেনে নিতে হচ্ছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) দৈনিক বাজার দর বলছে, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গসহ সব ধরনের মসলার কেজিতে দাম বেড়েছে ৩ থেকে ১১ শতাংশ পর্যন্ত।

কাওরান বাজারে কেনাকাটা করতে আসা আবদুল আলী বলেন, কয়েক মাস ধরে ধাপে ধাপে বেড়ে সয়াবিন তেলের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এখন মসলারও একই অবস্থা। এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গসহ সব ধরনের মসলার কেজিতে রমজানের আগের চেয়ে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা।
বাজারে প্রতি কেজি দারুচিনির দাম ছিল ৩৬০ থেকে ৩৬৫ টাকা। ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা দাম বেড়ে এখন পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ৪৩০ থেকে ৫০০ টাকা। টিসিবি’র দৈনিক বাজারদর বলছে, সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৩.৩৩ শতাংশ।
কেজিপ্রতি ১০০ টাকার মতো বেড়েছে লবঙ্গের দাম।

মাসখানেক আগে প্রতি কেজি লবঙ্গ পাওয়া যেত এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ১৫০ টাকায়। এখন কিনতে খরচ পড়ছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ২৫০ টাকা।

দাম বেড়েছে এলাচেরও। এক মাস আগে ভালো মানের এলাচের কেজি দুই হাজার থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন তা কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে দুই হাজার ৩০০ থেকে দুই হাজার ৭০০ টাকা।

এদিকে দেশি পিয়াজের ফলন এবার ভালো হওয়ায় দাম মোটামুটি ক্রেতার নাগালের মধ্যে রয়েছে। তবে গত চার-পাঁচ দিনের ব্যবধানে পিয়াজের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা। বর্তমানে দেশি পিয়াজের দাম কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, যার দাম গত সপ্তাহে ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। ভারতীয় পিয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৪০ টাকায়, যা আগে কেনা যেত ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।

আদা ও রসুনের দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ টাকা। প্রতি কেজি রসুন ৫০ থেকে ৬০ টাকায় এবং আমদানি করা রসুন ১১০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আমদানি করা আদার দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১২০ টাকা। টিসিবি’র দৈনিক বাজারদর বলছে, সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১১.৬৭ শতাংশ। তবে আগের মতোই দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে।

টিসিবি’র দৈনিক বাজার দরের তথ্যমতে, গত এক মাসের ব্যবধানে দেশি রসুনের দাম ১০ শতাংশ, জিরার ৮ শতাংশ ও এলাচের দাম ৫ শতাংশ বেড়েছে। আর এক বছরের ব্যবধানে দারুচিনির দাম বেড়েছে সাড়ে ১২ শতাংশ।

কাওরান বাজারের মাহমুদা জেনারেল স্টোরের আলম বলেন, পাইকারি পর্যায়ে মসলার দাম বেড়ে গেছে। কোনো মসলার দাম বেড়েছে এক মাস আগে, কোনোটির আবার বেড়েছে ১৮ থেকে ২০ দিন আগে। খুচরা ব্যবসায়ীদের খুব বেশি বাড়তি দাম নেয়ার সুযোগ থাকে না। কারণ বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের তদারকি থাকায় খুচরা পর্যায়ে ক্রেতার কাছ থেকে বেশি দাম নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

পাইকাররা বলছেন, পাইকারি পর্যায়ে এ বছর মসলার দাম বাড়েনি। বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর কোনো মসলার দাম বাড়েনি; বরং কমেছে। পাইকারদের কাছে প্রচুর পরিমাণে পণ্য মজুত রয়েছে। পাইকারি বাজারে মসলার দাম বাড়েনি। খুচরা বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ তাদের জানা নেই।

এদিকে খুচরা বাজারে গতকাল শুক্রবার প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অনেকে বোতলজাত সয়াবিন কিনে তা ভেঙে খোলা হিসেবে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট কমানোর পর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসা ভোজ্য তেলের বাজার আবার অস্থির হয়ে গেছে ইন্দোনেশিয়ার পাম তেল রপ্তানি নিষিদ্ধের খবরে। দোকান থেকে উধাও হয়ে গেছে বোতলজাত সয়াবিন তেল। খোলা মিললেও এক লিটার বিক্রি হচ্ছে নির্ধারিত দরের চেয়ে ৫০ টাকা বেশিতে। টিসিবি বলছে, এক বছরের ব্যবধানে তেলের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ। আর মাসের ব্যবধানে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


ঈদকে উপলক্ষ্য করে বাজারে মসলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত সময় ১২:৩১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ জুলাই ২০২২

ঈদকে উপলক্ষ্য করে বাজারে মসলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।


পাবনা সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১২:৩১ অপরাহ্ন, ৩ জুলাই ২০২২

ভোজ্য তেলের অস্থিরতার মধ্যেই বাজারে মসলাজাতীয় পণ্যের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে দুই/একটি ছাড়া প্রায় সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে সর্বনিম্ন ৫ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। ক্রেতাদের অভিযোগ, কোনো কারণ ছাড়াই প্রায় সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। আসলে বাজার এখন ব্যবসায়ীদের হাতে। তারা যখন-তখন জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছেন। নিরুপায় হয়ে ক্রেতাদের তা মেনে নিতে হচ্ছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) দৈনিক বাজার দর বলছে, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গসহ সব ধরনের মসলার কেজিতে দাম বেড়েছে ৩ থেকে ১১ শতাংশ পর্যন্ত।

কাওরান বাজারে কেনাকাটা করতে আসা আবদুল আলী বলেন, কয়েক মাস ধরে ধাপে ধাপে বেড়ে সয়াবিন তেলের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এখন মসলারও একই অবস্থা। এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গসহ সব ধরনের মসলার কেজিতে রমজানের আগের চেয়ে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা।
বাজারে প্রতি কেজি দারুচিনির দাম ছিল ৩৬০ থেকে ৩৬৫ টাকা। ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা দাম বেড়ে এখন পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ৪৩০ থেকে ৫০০ টাকা। টিসিবি’র দৈনিক বাজারদর বলছে, সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৩.৩৩ শতাংশ।
কেজিপ্রতি ১০০ টাকার মতো বেড়েছে লবঙ্গের দাম।

মাসখানেক আগে প্রতি কেজি লবঙ্গ পাওয়া যেত এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ১৫০ টাকায়। এখন কিনতে খরচ পড়ছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ২৫০ টাকা।

দাম বেড়েছে এলাচেরও। এক মাস আগে ভালো মানের এলাচের কেজি দুই হাজার থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন তা কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে দুই হাজার ৩০০ থেকে দুই হাজার ৭০০ টাকা।

এদিকে দেশি পিয়াজের ফলন এবার ভালো হওয়ায় দাম মোটামুটি ক্রেতার নাগালের মধ্যে রয়েছে। তবে গত চার-পাঁচ দিনের ব্যবধানে পিয়াজের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা। বর্তমানে দেশি পিয়াজের দাম কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, যার দাম গত সপ্তাহে ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। ভারতীয় পিয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৪০ টাকায়, যা আগে কেনা যেত ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।

আদা ও রসুনের দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ টাকা। প্রতি কেজি রসুন ৫০ থেকে ৬০ টাকায় এবং আমদানি করা রসুন ১১০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আমদানি করা আদার দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১২০ টাকা। টিসিবি’র দৈনিক বাজারদর বলছে, সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১১.৬৭ শতাংশ। তবে আগের মতোই দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে।

টিসিবি’র দৈনিক বাজার দরের তথ্যমতে, গত এক মাসের ব্যবধানে দেশি রসুনের দাম ১০ শতাংশ, জিরার ৮ শতাংশ ও এলাচের দাম ৫ শতাংশ বেড়েছে। আর এক বছরের ব্যবধানে দারুচিনির দাম বেড়েছে সাড়ে ১২ শতাংশ।

কাওরান বাজারের মাহমুদা জেনারেল স্টোরের আলম বলেন, পাইকারি পর্যায়ে মসলার দাম বেড়ে গেছে। কোনো মসলার দাম বেড়েছে এক মাস আগে, কোনোটির আবার বেড়েছে ১৮ থেকে ২০ দিন আগে। খুচরা ব্যবসায়ীদের খুব বেশি বাড়তি দাম নেয়ার সুযোগ থাকে না। কারণ বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের তদারকি থাকায় খুচরা পর্যায়ে ক্রেতার কাছ থেকে বেশি দাম নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

পাইকাররা বলছেন, পাইকারি পর্যায়ে এ বছর মসলার দাম বাড়েনি। বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর কোনো মসলার দাম বাড়েনি; বরং কমেছে। পাইকারদের কাছে প্রচুর পরিমাণে পণ্য মজুত রয়েছে। পাইকারি বাজারে মসলার দাম বাড়েনি। খুচরা বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ তাদের জানা নেই।

এদিকে খুচরা বাজারে গতকাল শুক্রবার প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অনেকে বোতলজাত সয়াবিন কিনে তা ভেঙে খোলা হিসেবে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট কমানোর পর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসা ভোজ্য তেলের বাজার আবার অস্থির হয়ে গেছে ইন্দোনেশিয়ার পাম তেল রপ্তানি নিষিদ্ধের খবরে। দোকান থেকে উধাও হয়ে গেছে বোতলজাত সয়াবিন তেল। খোলা মিললেও এক লিটার বিক্রি হচ্ছে নির্ধারিত দরের চেয়ে ৫০ টাকা বেশিতে। টিসিবি বলছে, এক বছরের ব্যবধানে তেলের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ। আর মাসের ব্যবধানে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ