ঢাকা ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনায় ঈদের অজুহাতে অনুপস্থিত চিকিৎসকগণঃ পরিদর্শনে ক্ষুব্ধ এমপি প্রিন্স

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১১:৩৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ জুলাই ২০২২
  • / 173

রোগী ও তাদের স্বজনদের খোঁজ-খবর নিতে ঈদের পরদিন পাবনা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স।


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:৩৫ অপরাহ্ন, ১১ জুলাই ২০২২

পবিত্র ঈদ উল আজহা উপলক্ষে পাবনা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনদের খোঁজ খবর নিতে গিয়ে তাদের দূর্ভোগের চিত্র দেখে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স। ঈদের পরেরদিন সোমবার দুপুরে হাসপাতালে রোগীদের খোঁজ খবর নিতে হাসপাতাল ঝটিকা পরিদর্শন যান গোলাম ফারুক প্রিন্স। এ সময় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অনুপস্থিতি, অব্যবস্থাপনা, অপরিচ্ছন্নতা ও খাবারের নিম্নমান নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি জানান, পাবনা জেনারেল হাসপাতাল কেবল সদর উপজেলা নয় পুরো পাবনা জেলার প্রায় ত্রিশ লাখ মানুষের চিকিৎসায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। বিপদগ্রস্থ হয়েই মানুষ এ হাসপাতালে আসে। আর ঈদের দিনগুলোতে বিপদাপন্ন, সংকটে থাকা মানুষ আরো বেশী অসহায় বোধ করে। তাদের সাহস দিতে, মনোবল ধরে রাখতে প্রতি ঈদেই আমি হাসপাতাল পরিদর্শন করে রোগী ও স্বজদের খোঁজ খবর নেই। সে ধারাবাহিকতায় সোমবার হাসপাতালে গিয়েছিলাম । কিন্তু সেখানে যা দেখেছি তাতে আমি চরম হতাশ। এক কথায় চিকিৎসক ও হাসপাতাল প্রশাসন দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণ করেছেন।

এমপি প্রিন্স বলেন, জরুরী গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারী হাসপাতালে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও সোমবার হাসপাতালে গিয়ে আমি চিকিৎসক, স্বাস্থকর্মীদের অধিকাংশই অনুপস্থিত দেখেছি। এমনকি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ওমর ফারুক মীরকে জানিয়ে হাসপাতালে যাবার পরেও তিনি আসেননি। পুরো হাসপাতালে নোংরা, দুর্গন্ধ। ঈদের দিনেও হাসপাতালে দেয়া হয়েছে নি¤œ মানের খাবার। দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের নিকট থেকে সাধারণ মানুষের প্রতি এমন আচরণ অনাকাঙ্খিত, অপ্রত্যাশিত।আমার মনে হচ্ছে এ ব্যার্থ তাদেও নয় আমাদের। আমি এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে জানাবো।

গোলম ফারুক প্রিন্স এমপি আরো বলেন, সরকার সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে পাবনায় পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। অত্যাধুনিক সিটি স্ক্যান, এক্সরে মেশিন সংযোজন করেছে। কিন্ত অজ্ঞাত কারণে তা প্রায় সময় বন্ধ ও অকার্যকর থাকে। হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসেবে আমি হাসপাতালের মধ্যে ঔষধের দোকান বন্ধ, দালাদের দৌরত বন্ধ, যন্ত্রপাতিগুলা কার্যকর করা, অব্যবস্থাপনা, অপরিছন্নতা সহ বেশকিছু বিষয়ে জরুরী নির্দেশনা দিয়েছি। কিন্তু তার কোনটিই বাস্তবায়ন হয়নি। এসব কারণে সরকারের দুর্নাম হচ্ছে। জনগণের নিকট সরকার, জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহি করতে হয়। স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে অবহেলা আমরা মেনে নিতে পারিনা। আমার ধৈর্য্যরে বাঁধ ভেঙে গেছে। আগামী বৈঠকে আমি এ সকল বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইব।

এ বিষয়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ওমর ফারুক মীর বলেন, সকালে হাসপাতালে চিকিৎসকরা রাউন্ড দিয়েছেন। এমপি মহোদয় পরিদর্শনের সময় আমি নামাজের জন্য বাইরে ছিলাম। ডিউটি ডক্টররাও হাসপাতালেই থাকার কথা, কিন্তু তারা কোথায় ছিলেন আমি সঠিক জানি না। আর ঈদে একদিন উন্নত খাবার দেয়া হয়, সেটি ঈদের দিন দেয়া হয়েছে। সরকারি ছুটির দিন বলে বায়োমেট্রিক উপস্থিতি যন্ত্রেও হাজিরা নেয়া হয়নি। তাই ঠিক কতজন অনুপস্থিত তা সঠিকভাবে জানানো সম্ভব নয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. আব্দুল আহাদ বাবু, জামিরুর রহমান মাইকেল, কামরুজ্জামান রকি, হিরোক হোসেন প্রমূখ।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


পাবনায় ঈদের অজুহাতে অনুপস্থিত চিকিৎসকগণঃ পরিদর্শনে ক্ষুব্ধ এমপি প্রিন্স

প্রকাশিত সময় ১১:৩৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ জুলাই ২০২২

রোগী ও তাদের স্বজনদের খোঁজ-খবর নিতে ঈদের পরদিন পাবনা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স।


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:৩৫ অপরাহ্ন, ১১ জুলাই ২০২২

পবিত্র ঈদ উল আজহা উপলক্ষে পাবনা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনদের খোঁজ খবর নিতে গিয়ে তাদের দূর্ভোগের চিত্র দেখে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স। ঈদের পরেরদিন সোমবার দুপুরে হাসপাতালে রোগীদের খোঁজ খবর নিতে হাসপাতাল ঝটিকা পরিদর্শন যান গোলাম ফারুক প্রিন্স। এ সময় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অনুপস্থিতি, অব্যবস্থাপনা, অপরিচ্ছন্নতা ও খাবারের নিম্নমান নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি জানান, পাবনা জেনারেল হাসপাতাল কেবল সদর উপজেলা নয় পুরো পাবনা জেলার প্রায় ত্রিশ লাখ মানুষের চিকিৎসায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। বিপদগ্রস্থ হয়েই মানুষ এ হাসপাতালে আসে। আর ঈদের দিনগুলোতে বিপদাপন্ন, সংকটে থাকা মানুষ আরো বেশী অসহায় বোধ করে। তাদের সাহস দিতে, মনোবল ধরে রাখতে প্রতি ঈদেই আমি হাসপাতাল পরিদর্শন করে রোগী ও স্বজদের খোঁজ খবর নেই। সে ধারাবাহিকতায় সোমবার হাসপাতালে গিয়েছিলাম । কিন্তু সেখানে যা দেখেছি তাতে আমি চরম হতাশ। এক কথায় চিকিৎসক ও হাসপাতাল প্রশাসন দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণ করেছেন।

এমপি প্রিন্স বলেন, জরুরী গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারী হাসপাতালে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও সোমবার হাসপাতালে গিয়ে আমি চিকিৎসক, স্বাস্থকর্মীদের অধিকাংশই অনুপস্থিত দেখেছি। এমনকি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ওমর ফারুক মীরকে জানিয়ে হাসপাতালে যাবার পরেও তিনি আসেননি। পুরো হাসপাতালে নোংরা, দুর্গন্ধ। ঈদের দিনেও হাসপাতালে দেয়া হয়েছে নি¤œ মানের খাবার। দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের নিকট থেকে সাধারণ মানুষের প্রতি এমন আচরণ অনাকাঙ্খিত, অপ্রত্যাশিত।আমার মনে হচ্ছে এ ব্যার্থ তাদেও নয় আমাদের। আমি এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে জানাবো।

গোলম ফারুক প্রিন্স এমপি আরো বলেন, সরকার সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে পাবনায় পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। অত্যাধুনিক সিটি স্ক্যান, এক্সরে মেশিন সংযোজন করেছে। কিন্ত অজ্ঞাত কারণে তা প্রায় সময় বন্ধ ও অকার্যকর থাকে। হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসেবে আমি হাসপাতালের মধ্যে ঔষধের দোকান বন্ধ, দালাদের দৌরত বন্ধ, যন্ত্রপাতিগুলা কার্যকর করা, অব্যবস্থাপনা, অপরিছন্নতা সহ বেশকিছু বিষয়ে জরুরী নির্দেশনা দিয়েছি। কিন্তু তার কোনটিই বাস্তবায়ন হয়নি। এসব কারণে সরকারের দুর্নাম হচ্ছে। জনগণের নিকট সরকার, জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহি করতে হয়। স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে অবহেলা আমরা মেনে নিতে পারিনা। আমার ধৈর্য্যরে বাঁধ ভেঙে গেছে। আগামী বৈঠকে আমি এ সকল বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইব।

এ বিষয়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ওমর ফারুক মীর বলেন, সকালে হাসপাতালে চিকিৎসকরা রাউন্ড দিয়েছেন। এমপি মহোদয় পরিদর্শনের সময় আমি নামাজের জন্য বাইরে ছিলাম। ডিউটি ডক্টররাও হাসপাতালেই থাকার কথা, কিন্তু তারা কোথায় ছিলেন আমি সঠিক জানি না। আর ঈদে একদিন উন্নত খাবার দেয়া হয়, সেটি ঈদের দিন দেয়া হয়েছে। সরকারি ছুটির দিন বলে বায়োমেট্রিক উপস্থিতি যন্ত্রেও হাজিরা নেয়া হয়নি। তাই ঠিক কতজন অনুপস্থিত তা সঠিকভাবে জানানো সম্ভব নয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. আব্দুল আহাদ বাবু, জামিরুর রহমান মাইকেল, কামরুজ্জামান রকি, হিরোক হোসেন প্রমূখ।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ