ঢাকা ০২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

দাশুড়িয়া ভূমি অফিসে চুনোপুঁটির শাস্তি হলেও বহাল তবিয়তে নাটেরগুরু

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৩:৫০:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২
  • / 146
দাশুড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ঈশ্বরদী

ঈশ্বরদী সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৩:৫০ অপরাহ্ন, আগষ্ট ২২, ২০২২


দাশুড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস – যেন দূর্নীতির স্বর্গরাজ্য। অনিয়মই যেন নিয়ম সেখানে। টাকা ছাড়া কোন কাজই হয়না ওই ভুমি অফিসে। ফলে ভূমি সেবা নিতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ে নাজেহাল হচ্ছেন দাশুড়িয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। এক পর্যায়ের ত্যাক্ত-বিরক্ত হয়ে ভুক্তভোগী মানুষগুলো প্রতিবাদ জানালে টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। তড়িঘড়ি করে সহকারী নায়েবকে শাস্তিমূলক বদলি করা হলেও দুর্নীতির নাটেরগুরু ভুমি অফিসের কর্মকর্তা (নায়েব) হারুন অর রশিদ এখনও রয়েছেন বহাল তবিয়তে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই দাশুড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে তিনি দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ভুক্তভোগী জানান, নায়েব হারুন অর রশিদ খারিজ প্রতি ২/৩ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। কোন কোন খারিজে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নেন। এছাড়াও প্রতি দাখিলাতেও তিনি ইচ্ছেমত টাকা আদায় করেন। আর খারিজে হয়রানী ও ভোগান্তি তো নিত্যদিনের ঘটনা।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, সম্প্রতি বিভিন্ন অভিযোগে দাশুড়িয়া ভূমি অফিসের সহকারী নায়েব শাস্তিমুলক বদলি হলেও অদৃশ্য কারণে বহাল তবিয়তে রয়েছেন হারুন অর রশিদ। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তার শাস্তিসহ বদলির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

এদিকে নিজের অবস্থান ঠিক রাখতে স্থানীয় কিছু দালাল নিয়োগ করে রেখেছেন তিনি। তারা সার্বক্ষণিক ভূমি অফিসের আশে-পাশে ঘোরাফেরা করে। মক্কেল ধরা থেকে শুরু করে যে কোন প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভূমিকা রাখে ওই সমস্ত দালালেরা।

জানা গেছে, ভূমি সেবা মানুষের দৌড় গোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হলেও সরকারের সেই ভাল উদ্যোগকে নস্যাৎ করতে নানাভাবে চক্রান্ত করছেন কতিপয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তরা। ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কর্মকর্তা (নায়েব) হারুন অর রশিদ তাদেরই একজন। ঘুষ-দূর্নীতির বিরুদ্ধে মাননীয় ভূমি মন্ত্রীর জিরো টলারেন্সের ঘোষণাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ওপেন সিক্রেট ভাবেই ঘুষ গ্রহণ করছেন দাশুড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা।

সম্প্রতি ভূমিমন্ত্রী বেশ কিছু অনুষ্ঠানে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করেছিলেন ভূমি অফিসে কোন প্রকার হয়রানী, ঘুষ গ্রহণ ও দূর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। কিন্ত কে শোনে কার কথা!

দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন থেকে ভূমি অফিসটি একটু দূরে হওয়ায় পোয়াবারো হয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভূমি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের। অফিসটি ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিশিষ্টজনদের চোখের আড়ালে হওয়ায় ইচ্ছেমত অনিয়ম-দুর্নীতি আর গ্রাহক হয়রানীর মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা।

ইউনিয়নের বিশিষ্টজনেরা অভিযোগ করেন, তারা কোন কাজ নিয়ে গেলেই ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ তাদের সাফ জানিয়ে দেন ‘টাকা ছাড়া কোন কাজ হবে না’।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, ইউনিয়নের বিভিন্ন মানুষের জায়গা-জমি খাজনা খারিজের জন্য ভূমি অফিসে গেলে প্রথমেই টাকার কথা বলেন তিনি।

তিনি এও বলেন, প্রতিটি কাজের জন্য এই টাকার ভাগ ঈশ্বরদী এসিল্যান্ড অফিসে দিতে হয়। তিনি যদি টাকা না নিয়েও কোন কাজ করেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তা বিশ্বাস করেন না। তাই বাধ্য হয়েই তিনি টাকা নেন।

দাশুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, টাকা ছাড়া কোন কাজই হয় না দাশুড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। সামান্য খতিয়ান বই দেখতে গেলেও টাকা দিতে হয়। সম্প্রতি একটি মেয়ের বিয়ের জন্য তার বাবা জমি বিক্রির জন্য ওই ভূমি অফিসে তার জমি খাজনা-খারিজ করতে গেলে প্রথমে মোটা অংকের টাকা দাবি করে বসেন ওই কর্মকর্তা। পরে সেই দাবি মিটিয়েই খাজনা-খারিজের জন্য কাগজপত্র জমা দেন। এমন অভিযোগ করেন দাশুড়িয়া ইউনিয়নের অসংখ্য মানুষ।

বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে ওই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভূমি অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন দাশুড়িয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


দাশুড়িয়া ভূমি অফিসে চুনোপুঁটির শাস্তি হলেও বহাল তবিয়তে নাটেরগুরু

প্রকাশিত সময় ০৩:৫০:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২
দাশুড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ঈশ্বরদী

ঈশ্বরদী সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৩:৫০ অপরাহ্ন, আগষ্ট ২২, ২০২২


দাশুড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস – যেন দূর্নীতির স্বর্গরাজ্য। অনিয়মই যেন নিয়ম সেখানে। টাকা ছাড়া কোন কাজই হয়না ওই ভুমি অফিসে। ফলে ভূমি সেবা নিতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ে নাজেহাল হচ্ছেন দাশুড়িয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। এক পর্যায়ের ত্যাক্ত-বিরক্ত হয়ে ভুক্তভোগী মানুষগুলো প্রতিবাদ জানালে টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। তড়িঘড়ি করে সহকারী নায়েবকে শাস্তিমূলক বদলি করা হলেও দুর্নীতির নাটেরগুরু ভুমি অফিসের কর্মকর্তা (নায়েব) হারুন অর রশিদ এখনও রয়েছেন বহাল তবিয়তে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই দাশুড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে তিনি দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ভুক্তভোগী জানান, নায়েব হারুন অর রশিদ খারিজ প্রতি ২/৩ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। কোন কোন খারিজে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নেন। এছাড়াও প্রতি দাখিলাতেও তিনি ইচ্ছেমত টাকা আদায় করেন। আর খারিজে হয়রানী ও ভোগান্তি তো নিত্যদিনের ঘটনা।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, সম্প্রতি বিভিন্ন অভিযোগে দাশুড়িয়া ভূমি অফিসের সহকারী নায়েব শাস্তিমুলক বদলি হলেও অদৃশ্য কারণে বহাল তবিয়তে রয়েছেন হারুন অর রশিদ। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তার শাস্তিসহ বদলির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

এদিকে নিজের অবস্থান ঠিক রাখতে স্থানীয় কিছু দালাল নিয়োগ করে রেখেছেন তিনি। তারা সার্বক্ষণিক ভূমি অফিসের আশে-পাশে ঘোরাফেরা করে। মক্কেল ধরা থেকে শুরু করে যে কোন প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভূমিকা রাখে ওই সমস্ত দালালেরা।

জানা গেছে, ভূমি সেবা মানুষের দৌড় গোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হলেও সরকারের সেই ভাল উদ্যোগকে নস্যাৎ করতে নানাভাবে চক্রান্ত করছেন কতিপয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তরা। ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কর্মকর্তা (নায়েব) হারুন অর রশিদ তাদেরই একজন। ঘুষ-দূর্নীতির বিরুদ্ধে মাননীয় ভূমি মন্ত্রীর জিরো টলারেন্সের ঘোষণাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ওপেন সিক্রেট ভাবেই ঘুষ গ্রহণ করছেন দাশুড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা।

সম্প্রতি ভূমিমন্ত্রী বেশ কিছু অনুষ্ঠানে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করেছিলেন ভূমি অফিসে কোন প্রকার হয়রানী, ঘুষ গ্রহণ ও দূর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। কিন্ত কে শোনে কার কথা!

দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন থেকে ভূমি অফিসটি একটু দূরে হওয়ায় পোয়াবারো হয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভূমি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের। অফিসটি ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিশিষ্টজনদের চোখের আড়ালে হওয়ায় ইচ্ছেমত অনিয়ম-দুর্নীতি আর গ্রাহক হয়রানীর মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা।

ইউনিয়নের বিশিষ্টজনেরা অভিযোগ করেন, তারা কোন কাজ নিয়ে গেলেই ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ তাদের সাফ জানিয়ে দেন ‘টাকা ছাড়া কোন কাজ হবে না’।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, ইউনিয়নের বিভিন্ন মানুষের জায়গা-জমি খাজনা খারিজের জন্য ভূমি অফিসে গেলে প্রথমেই টাকার কথা বলেন তিনি।

তিনি এও বলেন, প্রতিটি কাজের জন্য এই টাকার ভাগ ঈশ্বরদী এসিল্যান্ড অফিসে দিতে হয়। তিনি যদি টাকা না নিয়েও কোন কাজ করেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তা বিশ্বাস করেন না। তাই বাধ্য হয়েই তিনি টাকা নেন।

দাশুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, টাকা ছাড়া কোন কাজই হয় না দাশুড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। সামান্য খতিয়ান বই দেখতে গেলেও টাকা দিতে হয়। সম্প্রতি একটি মেয়ের বিয়ের জন্য তার বাবা জমি বিক্রির জন্য ওই ভূমি অফিসে তার জমি খাজনা-খারিজ করতে গেলে প্রথমে মোটা অংকের টাকা দাবি করে বসেন ওই কর্মকর্তা। পরে সেই দাবি মিটিয়েই খাজনা-খারিজের জন্য কাগজপত্র জমা দেন। এমন অভিযোগ করেন দাশুড়িয়া ইউনিয়নের অসংখ্য মানুষ।

বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে ওই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভূমি অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন দাশুড়িয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ