অসহায় সেবা গ্রহীতাসহ সকল শ্রেণির সেবা গ্রহীতাদের দ্রুত সেবা প্রদানে প্রশংসা অর্জন করেছেন পাবনার ভাঙ্গুড়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান।

গত প্রায় ১০ মাসে তিনি জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন হালনাগাদ করণ,সংশোধনী, ভিশন-২০৪১, এসডিজি বাস্তবায়নসহ ,বিভিন্ন কাজে গবীর অসহায়দের দ্রুত প্রশাসনিক সেবা সহায়তা প্রদান করে তিনি প্রশংসায় ভাসছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান ভাঙ্গুড়া উপজেলায় যোগদান করেন গত ২৯ নভেম্বর ২০২১ তারিখে। মুলত তিনি যেগদান করেই প্রশাসনিক কাজে গতিশীলতা আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে ।

তিনি জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন হালনাগাদ করণ,সংশোধনী, ভিশন-২০৪১, এসডিজি বাস্তবায়নসহ ,বিভিন্ন কাজে গবীর অসহায়দের দ্রুত প্রশাসনিক সেবা সহায়তা প্রদান,পরিষদ চত্বরে গণপাঠাগার স্থাপন, মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিদ্যালয় চত্বরে বৃক্ষরোপণ, দুস্থ্য অসহায়দের চিকিৎসায় অর্থ প্রদান,

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণে স্থান নির্বাচন ও সঠিকভাবে তদারকি, সুশীল সমাজদের ব্যক্তিদের নিয়ে ক্লাব গঠন করে যেখানে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে আলোচনায় নিয়ে এসে তার সমাধানে পরামর্শ দেওয়া ও লংগুয়েজ ক্লাব গঠন করে শুদ্ধভাবে ভাষার চর্চায় সাধারণ জনতাকে উৎসাহিত করে সাধারণ জনতার নিকট তিনি মানবিক ইউএন হিসেবে সকল শ্রেণি পেশার নিকট থেকে অল্প সময়ে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছেন।

উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে বিদ্যালয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে মত বিনিময় করছেন। শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব পরিদর্শন করে সেটাকে যথাযথ ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করে নির্দেশনা প্রদান করছেন।

আইন শৃঙ্খলা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশের বখাটের উৎপাত বন্ধে এরই মধ্যে দুইজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে শাস্তি প্রদান করেছেন।

দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ান গ্রামের হার্টে ছিদ্রি নিয়ে জন্ম নেওয়া দুস্থ পরিবারের একটি শিশুকে নিয়ে পত্রিকায় নিউজ প্রকাশ হলে প্রধানমন্ত্রী নজরে আসলে প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার দায়িত্ব নেন।

এ সময় ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান ওই দুস্থ পরিবারকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা যাতায়াত ও সেখানে থাকা খাওয়া বাবদ ক্লাবের মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা প্রদান করেন।

এব্যপারে ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন,সরকারের লক্ষ্য ভিশন-২০৪১, এসডিজি বাস্তবায়নে ও একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে জনগণের সেবা করতে পারলেই নিজেদের ধন্য মনে করবো এর বেশী কিছু নয়।