ঢাকা ০১:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার সাঁথিয়ায় মাদক ও খাস পুকুর দখলের জের ধরে রাজা হত্যা: মামলার রহস্য উদঘাটন

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১২:০০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / 84
রাজা হত্যার প্রতিবাদে গ্রামবাসী, ইনসেটে বাম থেকে নিহত রাজা, আসামী মামুন ও আশিক।

স্বতঃকণ্ঠ নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০০ পূর্বাহ্ন, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২


পাবনার সাঁথিয়ায় আলোচিত রাজা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পাবনা জেলা পুলিশ। বুধবার ৭ সেপ্টেম্বর পাবনা জেলা পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা পুলিশ সুপার মোঃ আকবর আলী মুনসী।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ইং ১৭ জুলাই ২০২২ সন্ধ্যা অনুমান ৭ ঘটিকার সময় ভিকটিম রাজা প্রাং (৫০), পিতা-মৃত সিরাজ প্রাং, সাং-শ্রীধরকুড়া, থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনা তার পরিচিত মোঃ অনিক হোসেন (১৮) ও হৃদয় হোসেনর (১৯) সাথে প্রতিবেশি জয়নালের (২৫) সিএনজি করে পিকনিক খাওয়ার কথা বলে বরাট, কাশিনাথপুরের দিকে যায়। যথাসময়ে রাজা বাড়ীতে না ফেরায় তার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা স্বামীর মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে সিএনজি চালক জয়নাল ফোনটি রিসিভ করে বলে যে, তার কাছে ভিকটিম রাজা মোবাইল ফোনটি রেখে কোথায় যেন চলে গেছে। ঐ দিন রাত্রিতে রাজা বাড়ীতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করতে থাকে।

খোঁজাখুজির তিন দিন পর গত ২০ জুলাই ২০২২ তারিখ সকাল অনুমান সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় সাঁথিয়া থানাধীন সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের কচুরি পানার মধ্যে ভিকটিম রাজার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়।

বিষয়টি হত্যাকান্ড হিসেবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা হওয়ায় রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন যার মামলা নং-২২, তাং-২১ জুলাই ২০২২, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড।

ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎকালীন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম’র নির্দেশনায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে সিএনজি চালক জয়নাল (২৫), মোঃ হৃদয় হোসেন (২০) এবং পিয়াস সরকার (২৩)-দের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসামীগণ এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করলে তাদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

পরবর্তীতে পাবনা জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুনসীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জনাব মোঃ মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), জনাব কল্লোল কুমার দত্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (বেড়া সার্কেল), জনাব আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইমতিয়াজ এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ঢাকা, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ এর শাহজাদপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে মোঃ মামুন খান (২৩), পিতা-মোঃ দুলাল খান এবং মোঃ আশিক ফকির (২৫), পিতা-মোঃ আনিছ ফকির, উভয় সাং-সোনাকুড়া বরাট, থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনাদ্বয়কে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) এর প্রদত্ত জবানবন্দিতে জানা যায় যে, ভিকটিম রাজা প্রাং মাদকের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। মাদক খাওয়ার টাকা পয়সাকে কেন্দ্র করে আসামী হৃদয় এবং অনিকের সাথে ঝামেলা ছিল। অপর আসামী মামুন এবং জুয়েলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে সাথিয়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটা মামলা হয়। এই মামলার সোর্স হিসেবে ভিকটিম রাজা ছিল বলে আসামীদের ধারণা। আর এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রনির সাথে খাস পুকুর ও জমির দখল নিয়ে বিরোধ ছিল।

উক্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে কৌশলে ভিকটিম রাজা প্রাং-কে মোঃ জয়নাল এর সিএনজি যোগে মোঃ হৃদয় ও মোঃ অনিককে দিয়ে ডেকে নিয়ে আসার পর মাদকদ্রব্য গাঁজা খাওয়ার কথা বলে সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানালের ধারে পাটক্ষেতে নিয়ে যায় এবং রাত্রি অনুমান ১০.০০ ঘটিকা হতে ১১.০০ ঘটিকার মধ্যে আসামী মোঃ রনির নেতৃত্বে মোঃ হৃদয়, মোঃ জয়নাল, মোঃ অনিক, মোঃ জুয়েল, মোঃ মামুন, মোঃ আশিক, এনামুল হক ও মোঃ সোহেল মিলে ভিকটিম রাজাকে গলাটিপে হত্যা করে মৃতদেহ পার্শ্ববর্তী ক্যানালের কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে।

আসামী মোঃ জয়নালের নিকট হতে ভিকটিম রাজা প্রাং-এর ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন ও সিএনজি গাড়ী উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা আছে।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


পাবনার সাঁথিয়ায় মাদক ও খাস পুকুর দখলের জের ধরে রাজা হত্যা: মামলার রহস্য উদঘাটন

প্রকাশিত সময় ১২:০০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজা হত্যার প্রতিবাদে গ্রামবাসী, ইনসেটে বাম থেকে নিহত রাজা, আসামী মামুন ও আশিক।

স্বতঃকণ্ঠ নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০০ পূর্বাহ্ন, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২


পাবনার সাঁথিয়ায় আলোচিত রাজা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পাবনা জেলা পুলিশ। বুধবার ৭ সেপ্টেম্বর পাবনা জেলা পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা পুলিশ সুপার মোঃ আকবর আলী মুনসী।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ইং ১৭ জুলাই ২০২২ সন্ধ্যা অনুমান ৭ ঘটিকার সময় ভিকটিম রাজা প্রাং (৫০), পিতা-মৃত সিরাজ প্রাং, সাং-শ্রীধরকুড়া, থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনা তার পরিচিত মোঃ অনিক হোসেন (১৮) ও হৃদয় হোসেনর (১৯) সাথে প্রতিবেশি জয়নালের (২৫) সিএনজি করে পিকনিক খাওয়ার কথা বলে বরাট, কাশিনাথপুরের দিকে যায়। যথাসময়ে রাজা বাড়ীতে না ফেরায় তার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা স্বামীর মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে সিএনজি চালক জয়নাল ফোনটি রিসিভ করে বলে যে, তার কাছে ভিকটিম রাজা মোবাইল ফোনটি রেখে কোথায় যেন চলে গেছে। ঐ দিন রাত্রিতে রাজা বাড়ীতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করতে থাকে।

খোঁজাখুজির তিন দিন পর গত ২০ জুলাই ২০২২ তারিখ সকাল অনুমান সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় সাঁথিয়া থানাধীন সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের কচুরি পানার মধ্যে ভিকটিম রাজার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়।

বিষয়টি হত্যাকান্ড হিসেবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা হওয়ায় রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন যার মামলা নং-২২, তাং-২১ জুলাই ২০২২, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড।

ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎকালীন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম’র নির্দেশনায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে সিএনজি চালক জয়নাল (২৫), মোঃ হৃদয় হোসেন (২০) এবং পিয়াস সরকার (২৩)-দের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসামীগণ এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করলে তাদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

পরবর্তীতে পাবনা জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুনসীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জনাব মোঃ মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), জনাব কল্লোল কুমার দত্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (বেড়া সার্কেল), জনাব আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইমতিয়াজ এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ঢাকা, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ এর শাহজাদপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে মোঃ মামুন খান (২৩), পিতা-মোঃ দুলাল খান এবং মোঃ আশিক ফকির (২৫), পিতা-মোঃ আনিছ ফকির, উভয় সাং-সোনাকুড়া বরাট, থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনাদ্বয়কে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) এর প্রদত্ত জবানবন্দিতে জানা যায় যে, ভিকটিম রাজা প্রাং মাদকের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। মাদক খাওয়ার টাকা পয়সাকে কেন্দ্র করে আসামী হৃদয় এবং অনিকের সাথে ঝামেলা ছিল। অপর আসামী মামুন এবং জুয়েলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে সাথিয়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটা মামলা হয়। এই মামলার সোর্স হিসেবে ভিকটিম রাজা ছিল বলে আসামীদের ধারণা। আর এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রনির সাথে খাস পুকুর ও জমির দখল নিয়ে বিরোধ ছিল।

উক্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে কৌশলে ভিকটিম রাজা প্রাং-কে মোঃ জয়নাল এর সিএনজি যোগে মোঃ হৃদয় ও মোঃ অনিককে দিয়ে ডেকে নিয়ে আসার পর মাদকদ্রব্য গাঁজা খাওয়ার কথা বলে সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানালের ধারে পাটক্ষেতে নিয়ে যায় এবং রাত্রি অনুমান ১০.০০ ঘটিকা হতে ১১.০০ ঘটিকার মধ্যে আসামী মোঃ রনির নেতৃত্বে মোঃ হৃদয়, মোঃ জয়নাল, মোঃ অনিক, মোঃ জুয়েল, মোঃ মামুন, মোঃ আশিক, এনামুল হক ও মোঃ সোহেল মিলে ভিকটিম রাজাকে গলাটিপে হত্যা করে মৃতদেহ পার্শ্ববর্তী ক্যানালের কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে।

আসামী মোঃ জয়নালের নিকট হতে ভিকটিম রাজা প্রাং-এর ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন ও সিএনজি গাড়ী উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা আছে।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ