ঢাকা ০৯:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঢাকায় ডেঙ্গু পাবনায় টাইফয়েড আল্লাহ জানে বাঁচবো না মরবো

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৮:০০:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০১৯
  • / 90

ইসলাম পিপুল: গত দুই বছর ধরে ঢাকার একটি কোম্পানিতে কাজ করেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মন্ডুতোষ ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম রায়হান (২২)। থাকতেন রাজধানীর গুলশানে।

জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। বনশ্রী এলাকার এডভান্স হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সেখানকার চিকিৎসক ডঃ ফজলুর রহমান চৌধুরীর চিকিৎসা নেন ১১ জুলাই।

ঐ হাসপাতালে ভর্তির পর রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গুর উপস্থিতি নিশ্চিত করে সেখানকার প্যাথলজি বিভাগ সে ই অনুযায়ী ব্যবস্থাপত্র দেয় কর্তৃপক্ষ।

এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে ব্যবস্থাপত্র ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়ে তিনি বাসায় ফেরেন। কিছুদিন পরে আবার অসুস্থ হয়ে চাকরি ছেড়ে দিয়ে জুলাই মাসের ২৫ তারিখে ভাঙ্গুড়ায় চলে আসেন।

পরদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে আবারও রক্ত পরীক্ষা করান।

সদর হাসপাতালের সামনের পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১ আগস্ট রায়হান পুনরায় রক্ত পরীক্ষা করালে রক্তে টাইফয়েডের জীবাণু আছে বলে জানায় পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এবং কখনোই সে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়নি বলে জানানো হয় তাকে।

এরপর থেকে রায়হানের টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসা শুরু করে চিকিৎসক। পরে পাবনা সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে আবারো ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে ভর্তি হয় রায়হান।

ভাঙ্গুড়া হাসপাতালে দুই দিন অবস্থান করার পর চিকিৎসকের পরামর্শে গত শনিবার অসুস্থ শরীরে রায়হান বাড়ি ফিরে যায়।

রায়হান এখন পাবনা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শে টাইফয়েড জ্বরের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ঔষধ সেবন করছেন। তবে টাইফয়েড নাকি ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে এ নিয়ে রায়হান এখনো মহা দুশ্চিন্তায় ভুগছেন।

রায়হান বলেন, ‘আমি জানিনা আমার ডেঙ্গু নাকি টাইফয়েড জ্বর হয়েছে। ডাক্তাররা রিপোর্ট দেখে যেভাবে বলছে সেভাবইে ঔষধ খাচ্ছি। আল্লাহতায়ালা জানেন আমি সুস্থ হবো না মারা যাবো।’

ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আব্দুর রহমান বলেন, প্রথমে ঢাকার একটি ক্লিনিক থেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট নিয়ে রায়হান ভাঙ্গুড়া হাসপাতালে এসে ভর্তি হন।

পরে বিষয়টি নিশ্চিত হতে তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসকের পরামর্শে একটি প্যাথলজি সেন্টারে রক্ত পরীক্ষা করে তার শরীরে ডেঙ্গুর পরিবর্তে টাইফয়েডের জীবানু ধরা পরে।

কোন প্যাথলজীর পরীক্ষা সঠিক জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা নিশ্চিত হতে আরও উচ্চতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন।

ঢাকায় ডেঙ্গু পাবনায় টাইফয়েড আল্লাহ জানে বাঁচবো না মরবো

প্রকাশিত সময় ০৮:০০:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০১৯

ইসলাম পিপুল: গত দুই বছর ধরে ঢাকার একটি কোম্পানিতে কাজ করেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মন্ডুতোষ ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম রায়হান (২২)। থাকতেন রাজধানীর গুলশানে।

জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। বনশ্রী এলাকার এডভান্স হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সেখানকার চিকিৎসক ডঃ ফজলুর রহমান চৌধুরীর চিকিৎসা নেন ১১ জুলাই।

ঐ হাসপাতালে ভর্তির পর রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গুর উপস্থিতি নিশ্চিত করে সেখানকার প্যাথলজি বিভাগ সে ই অনুযায়ী ব্যবস্থাপত্র দেয় কর্তৃপক্ষ।

এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে ব্যবস্থাপত্র ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়ে তিনি বাসায় ফেরেন। কিছুদিন পরে আবার অসুস্থ হয়ে চাকরি ছেড়ে দিয়ে জুলাই মাসের ২৫ তারিখে ভাঙ্গুড়ায় চলে আসেন।

পরদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে আবারও রক্ত পরীক্ষা করান।

সদর হাসপাতালের সামনের পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১ আগস্ট রায়হান পুনরায় রক্ত পরীক্ষা করালে রক্তে টাইফয়েডের জীবাণু আছে বলে জানায় পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এবং কখনোই সে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়নি বলে জানানো হয় তাকে।

এরপর থেকে রায়হানের টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসা শুরু করে চিকিৎসক। পরে পাবনা সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে আবারো ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে ভর্তি হয় রায়হান।

ভাঙ্গুড়া হাসপাতালে দুই দিন অবস্থান করার পর চিকিৎসকের পরামর্শে গত শনিবার অসুস্থ শরীরে রায়হান বাড়ি ফিরে যায়।

রায়হান এখন পাবনা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শে টাইফয়েড জ্বরের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ঔষধ সেবন করছেন। তবে টাইফয়েড নাকি ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে এ নিয়ে রায়হান এখনো মহা দুশ্চিন্তায় ভুগছেন।

রায়হান বলেন, ‘আমি জানিনা আমার ডেঙ্গু নাকি টাইফয়েড জ্বর হয়েছে। ডাক্তাররা রিপোর্ট দেখে যেভাবে বলছে সেভাবইে ঔষধ খাচ্ছি। আল্লাহতায়ালা জানেন আমি সুস্থ হবো না মারা যাবো।’

ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আব্দুর রহমান বলেন, প্রথমে ঢাকার একটি ক্লিনিক থেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট নিয়ে রায়হান ভাঙ্গুড়া হাসপাতালে এসে ভর্তি হন।

পরে বিষয়টি নিশ্চিত হতে তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসকের পরামর্শে একটি প্যাথলজি সেন্টারে রক্ত পরীক্ষা করে তার শরীরে ডেঙ্গুর পরিবর্তে টাইফয়েডের জীবানু ধরা পরে।

কোন প্যাথলজীর পরীক্ষা সঠিক জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা নিশ্চিত হতে আরও উচ্চতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন।