ঢাকা ০২:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪
অন্য বিদেশি ঋনের দরজাও খুলবে

আইএমএফ-এর সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋন পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • প্রকাশিত সময় ০৫:৪১:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২
  • / 115

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ পেতে সমঝোতায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ; যা অর্থনীতির চলমান চাপ সামলাতে সহায়তার পাশাপাশি বিদেশি অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকে ‍নিকট ভবিষ্যতে আরও অর্থায়ন পাওয়ার সুযোগকে প্রশস্ত করবে বলে ভাবা হচ্ছে।

তবে এক দশকের বেশি সময় পর আবার এ আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার দারস্থ হওয়ার সূত্র ধরে তাদের পরামর্শ এবং কিছুক্ষেত্রে শর্ত মেনে আর্থিক খাতসহ বিভিন্ন খাতের সংস্কারের মধ্য দিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশকে।

সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেইন-রাশিয়া যুদ্ধের জেরে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে আইএমএফের কাছ থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের এ ঋণের বিষয়ে প্রাথমিক সমঝোতার কথা জানান অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল।

দুই সপ্তাহের আলোচনা শেষে বুধবার ঋণ দেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক সুবজ সংকেতের বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে আইএমএফ।

বাংলাদেশের ঋনপ্রাপ্তির বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসের লিড ইকনোমিস্ট কনসালটেন্ট অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেছেন, সংস্কারের জায়গাগুলো সরকার ও আইএমএফ চিহ্নিত করেছে। তার মতে, আইএমএফের সঙ্গে এ ধরনের ঋণচুক্তি বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির। এখন দেখা যাক কোন কোন উদ্যোগগুলো নেয়। হয়ত আগামী ফ্রেব্রুয়ারি নাগাদ তা জানা যাবে।

তিনি বলেন, “এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঋণ প্যাকেজ থাকলে বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক বা এডিবি কিংবা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে আর মাথা ঘামায় না “

এমন ক্ষেত্রে তাদের কাছে কোনো ঋণ চাইলে তারা সহজেই দিয়ে দেয় বলেও জানান তিনি।

আবার সরকারের সঙ্গে ঢাকায় দীর্ঘ আলোচনায় আইএমএফ প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তা রাহুল আনন্দ মনে করছেন, বাংলাদেশ এ ঋণ পেলে তা বিদেশ থেকে আরও অর্থায়ন পাওয়াকে সহজ করবে। রাহুল আনন্দ জানিয়েছেন, সংস্কারের পুরো গুচ্ছ প্রস্তাবটি সংস্থার সদর দপ্তরে উপস্থাপন করা হবে। পরিচালনা পর্ষদের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া স্বাপেক্ষে তা বিতরণ শুরু হবে।

ঋণের টাকা পাওয়ার পর বাংলাদেশের ‘অর্থনীতি স্থিতিশীল’ হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তবে এজন্য সরকারকে আর্থিক খাতের সংস্কার কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, যা তারা করছে।”

এ প্রক্রিয়া শেষ করতে এক থেকে দুই মাস সময়ের প্রয়োজন হয় বলেও সাংবাদিকদের জানান তিনি।

এই রকম আরও টপিক

অন্য বিদেশি ঋনের দরজাও খুলবে

আইএমএফ-এর সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋন পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত সময় ০৫:৪১:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ পেতে সমঝোতায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ; যা অর্থনীতির চলমান চাপ সামলাতে সহায়তার পাশাপাশি বিদেশি অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকে ‍নিকট ভবিষ্যতে আরও অর্থায়ন পাওয়ার সুযোগকে প্রশস্ত করবে বলে ভাবা হচ্ছে।

তবে এক দশকের বেশি সময় পর আবার এ আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার দারস্থ হওয়ার সূত্র ধরে তাদের পরামর্শ এবং কিছুক্ষেত্রে শর্ত মেনে আর্থিক খাতসহ বিভিন্ন খাতের সংস্কারের মধ্য দিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশকে।

সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেইন-রাশিয়া যুদ্ধের জেরে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে আইএমএফের কাছ থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের এ ঋণের বিষয়ে প্রাথমিক সমঝোতার কথা জানান অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল।

দুই সপ্তাহের আলোচনা শেষে বুধবার ঋণ দেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক সুবজ সংকেতের বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে আইএমএফ।

বাংলাদেশের ঋনপ্রাপ্তির বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসের লিড ইকনোমিস্ট কনসালটেন্ট অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেছেন, সংস্কারের জায়গাগুলো সরকার ও আইএমএফ চিহ্নিত করেছে। তার মতে, আইএমএফের সঙ্গে এ ধরনের ঋণচুক্তি বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির। এখন দেখা যাক কোন কোন উদ্যোগগুলো নেয়। হয়ত আগামী ফ্রেব্রুয়ারি নাগাদ তা জানা যাবে।

তিনি বলেন, “এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঋণ প্যাকেজ থাকলে বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক বা এডিবি কিংবা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে আর মাথা ঘামায় না “

এমন ক্ষেত্রে তাদের কাছে কোনো ঋণ চাইলে তারা সহজেই দিয়ে দেয় বলেও জানান তিনি।

আবার সরকারের সঙ্গে ঢাকায় দীর্ঘ আলোচনায় আইএমএফ প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তা রাহুল আনন্দ মনে করছেন, বাংলাদেশ এ ঋণ পেলে তা বিদেশ থেকে আরও অর্থায়ন পাওয়াকে সহজ করবে। রাহুল আনন্দ জানিয়েছেন, সংস্কারের পুরো গুচ্ছ প্রস্তাবটি সংস্থার সদর দপ্তরে উপস্থাপন করা হবে। পরিচালনা পর্ষদের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া স্বাপেক্ষে তা বিতরণ শুরু হবে।

ঋণের টাকা পাওয়ার পর বাংলাদেশের ‘অর্থনীতি স্থিতিশীল’ হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তবে এজন্য সরকারকে আর্থিক খাতের সংস্কার কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, যা তারা করছে।”

এ প্রক্রিয়া শেষ করতে এক থেকে দুই মাস সময়ের প্রয়োজন হয় বলেও সাংবাদিকদের জানান তিনি।