ঢাকা ০৫:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবলুকে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

পাবনা প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত সময় ০২:২৩:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২
  • / 140

পাবনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবলুর ওপর হামলার ঘটনায় পাবনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন।


পাবনায় ভারতীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জেলা প্রশাসকের অফিস চত্বরে কয়েকজন অমুক্তযোদ্ধা কর্তৃক লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবী করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তারা অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সকল কর্মসূচী বর্জনসহ প্রতিবাদ চলমান রাখার ঘোষণা দেন।

গতকাল (১৯ নভেম্বর) শনিবার সকাল ১১ টায় পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ভারতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৭১’র মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পাবনা জেলা ইউনিট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন তারা।

লিখিত অভিযোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান বলেন, গত ১ নভেম্বর ২০২২ ইং আনুমানি দুপুর দেড়টার দিকে পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বেরে ভারতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আলহাজ্ব সাইফুল আলম বাবলুকে জামুকায় শুনানীতে বাদ পড়া বেশ কয়েকজন অমুক্তিযোদ্ধা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময়
আরও কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবলুকে কিল-ঘুষি দেন। একই সময় অভিযুক্ত মেজর (অবঃ) ডাঃ মনসুর পেছন থেকে ছাতা দিয়ে বাবলুকে আঘাত করেন। তিনি অভিযুক্ত অমুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে সামসুল আলম পানসেরসহ অপরাপর ব্যক্তিদের শাস্তি দাবী করেন।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে অমুক্তিযোদ্ধাদের বিতারিত করণের লক্ষে পাবনার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা কিছু অমুক্তিযোদ্ধার নাম জামুকায় প্রেরন করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দীর্ঘ শুনানীর পর তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজেদের কোনো প্রকার প্রমান দিতে ব্যর্থ হলে তাদের সকল প্রকার প্রকাশিত গেজেট বাতিল করাসহ ভাতা বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকা।

এতে গেজেট বাতিল হওয়া ও অভিযুক্ত অমুক্তিযোদ্ধারা ক্ষীপ্ত হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. সাইফুল আলম বাবলুকে এই লাঞ্চিত করার ঘটনা ঘটান বলে দাবী করেন।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে উত্তরে ঘটনার শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবলু বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে ভারতে গিয়ে দেরাদনে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে এসে পাকহানাদারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি। যারা ভারতে যেতে পারেন নি তারা আমাদের সাথে থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের আমরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গ্রহণ করি। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি এবং যাদের বয়স এখন ৫০ বছর এবং যারা রাজাকার ছিল তারা আত্মীয়ের খাতিরে, টাকার বিনীময়ে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লিখিয়েছেন তাদের আমরা মুক্তিযোদ্ধা বলে মেনে নিতে পারিনা।

তিনি বলেন, জামুকায় শুনানীতে বাদপরা অমুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কিছু মুক্তিযোদ্ধাও ঘটনার সাথে জরিত। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাবনা জেলা প্রশাসক ও পাবনা পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা না হবে ততক্ষণ আমাদের প্রতিবাদ অব্যহত থাকবে। তিনি বলেন, অপরাধিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে, আগামীতে জেলা প্রশাসকের তত্ত¡াবধানে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য জাতীয় দিবসে নির্ধারিত সকল অনুষ্ঠান ৭১’র মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বর্জন করবে বলে ঘোষণা দেন।

এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মমিনুর রহমান বরুণ বলেন, অমুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সূর মিলিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন সন্টুকে ডিসি অফিসের এক মিটিংয়ে অমুক্তিযোদ্ধা বলেছেন, এজন্য পাবনার মানুষের কাছে তার ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মমিনুর রহমান বরুণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর, বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুর রহমানসহ শতাধিক ভারতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন।

পাবনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবলুকে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত সময় ০২:২৩:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২

পাবনায় ভারতীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জেলা প্রশাসকের অফিস চত্বরে কয়েকজন অমুক্তযোদ্ধা কর্তৃক লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবী করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তারা অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সকল কর্মসূচী বর্জনসহ প্রতিবাদ চলমান রাখার ঘোষণা দেন।

গতকাল (১৯ নভেম্বর) শনিবার সকাল ১১ টায় পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ভারতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৭১’র মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পাবনা জেলা ইউনিট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন তারা।

লিখিত অভিযোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান বলেন, গত ১ নভেম্বর ২০২২ ইং আনুমানি দুপুর দেড়টার দিকে পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বেরে ভারতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আলহাজ্ব সাইফুল আলম বাবলুকে জামুকায় শুনানীতে বাদ পড়া বেশ কয়েকজন অমুক্তিযোদ্ধা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময়
আরও কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবলুকে কিল-ঘুষি দেন। একই সময় অভিযুক্ত মেজর (অবঃ) ডাঃ মনসুর পেছন থেকে ছাতা দিয়ে বাবলুকে আঘাত করেন। তিনি অভিযুক্ত অমুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে সামসুল আলম পানসেরসহ অপরাপর ব্যক্তিদের শাস্তি দাবী করেন।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে অমুক্তিযোদ্ধাদের বিতারিত করণের লক্ষে পাবনার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা কিছু অমুক্তিযোদ্ধার নাম জামুকায় প্রেরন করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দীর্ঘ শুনানীর পর তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজেদের কোনো প্রকার প্রমান দিতে ব্যর্থ হলে তাদের সকল প্রকার প্রকাশিত গেজেট বাতিল করাসহ ভাতা বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকা।

এতে গেজেট বাতিল হওয়া ও অভিযুক্ত অমুক্তিযোদ্ধারা ক্ষীপ্ত হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. সাইফুল আলম বাবলুকে এই লাঞ্চিত করার ঘটনা ঘটান বলে দাবী করেন।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে উত্তরে ঘটনার শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবলু বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে ভারতে গিয়ে দেরাদনে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে এসে পাকহানাদারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি। যারা ভারতে যেতে পারেন নি তারা আমাদের সাথে থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের আমরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গ্রহণ করি। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি এবং যাদের বয়স এখন ৫০ বছর এবং যারা রাজাকার ছিল তারা আত্মীয়ের খাতিরে, টাকার বিনীময়ে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লিখিয়েছেন তাদের আমরা মুক্তিযোদ্ধা বলে মেনে নিতে পারিনা।

তিনি বলেন, জামুকায় শুনানীতে বাদপরা অমুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কিছু মুক্তিযোদ্ধাও ঘটনার সাথে জরিত। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাবনা জেলা প্রশাসক ও পাবনা পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা না হবে ততক্ষণ আমাদের প্রতিবাদ অব্যহত থাকবে। তিনি বলেন, অপরাধিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে, আগামীতে জেলা প্রশাসকের তত্ত¡াবধানে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য জাতীয় দিবসে নির্ধারিত সকল অনুষ্ঠান ৭১’র মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বর্জন করবে বলে ঘোষণা দেন।

এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মমিনুর রহমান বরুণ বলেন, অমুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সূর মিলিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন সন্টুকে ডিসি অফিসের এক মিটিংয়ে অমুক্তিযোদ্ধা বলেছেন, এজন্য পাবনার মানুষের কাছে তার ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মমিনুর রহমান বরুণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর, বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুর রহমানসহ শতাধিক ভারতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন।