ঢাকা ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

আমি তার শাস্তি কামনা করি

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৩:৪৯:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২
  • / 300

আমার নাম শ্যামলা রায়, পিতা-আনন্দ মোহন রায়, মাতা-ভারতী রানী রায়। আমার বাড়ি ঘোড়াঘাট, দিনাজপুর।

গত ২৬/০২/২০২০ তারিখে ফুলবাড়ি, বাড়াই, কালিহাট, চন্ডিপুর নিবাসী অবিনাশ চন্দ্র রায়ের ছেলে সুজন চন্দ্র রায়ের সাথে বিয়ে হয়।

বিয়ের ৩ মাস সুখেই দিন কাটছিল। কিন্তু এক সময় তার মনের পরিবর্তন ঘটে। সে নেশা, জুয়াখেলাসহ অনেক অনৈতিক কাজে সে জড়িত ছিল। বিভিন্ন মেয়েদের সাথে সে সম্পর্ক করতো। আমাকে সে অত্যাচার করতো মানসিকভাবে ও শারিরিক ভাবেও। বাবার বাড়ি থেকে টাকা পয়সা আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করতো। প্রতিবাদ করলে মারধর করতো। আমার স্বামীর সাথে তার পরিবারের লোকজনও ঝাঁপিয়ে পড়তো আমার উপর। গর্ভবতী থাকা অবস্থায় আমাকে তারা বাধ্য করে স্বামীর সংসার ত্যাগ করতে।

বাবার বাড়ি আসার পর আমার স্বামী আমার সাথে কোন রকম যোগাযোগ করেনি। মেয়ে সন্তান জন্ম হওয়ার পরও একটি বারের জন্যেও সে আমার মেয়েকে দেখতে আসেনি।

তারপর মেয়ের বয়স ৫ মাস হলে আমি একটি মামলা করি। সেখানেও তার কোন শাস্তি হয়না। কেস চলতে থাকে, কেস চলাকালীন অবস্থায় সে পরকীয়া করে আবার একটি বিবাহ করে। তারপরও তার শাস্তি হয় না।

আমাকে আমার সন্তানকেও কোন টাকা পয়সা দেয়না। আমার স্বামী আপোষে আসার জন্য আমাকে তিন লক্ষ টাকা দিতে চেয়েছিল। বিবাহের সময় যৌতুক বাবদ আমার বাবা তাকে ৬ লক্ষ ৩০,০০০ টাকা দিয়েছিল। তাহলে কেমন করে তিন লক্ষ টাকা নেবো।

আমার মেয়ের ভরণপোষণের জন্য আমি ৮ লক্ষ টাকা দাবী করছি। অন্যথায় আমি তার শাস্তি কামনা করি।

লেখক: শ্যামলা রায়
ই-মেইল: royshyamola@gmail.com

আমি তার শাস্তি কামনা করি

প্রকাশিত সময় ০৩:৪৯:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২

আমার নাম শ্যামলা রায়, পিতা-আনন্দ মোহন রায়, মাতা-ভারতী রানী রায়। আমার বাড়ি ঘোড়াঘাট, দিনাজপুর।

গত ২৬/০২/২০২০ তারিখে ফুলবাড়ি, বাড়াই, কালিহাট, চন্ডিপুর নিবাসী অবিনাশ চন্দ্র রায়ের ছেলে সুজন চন্দ্র রায়ের সাথে বিয়ে হয়।

বিয়ের ৩ মাস সুখেই দিন কাটছিল। কিন্তু এক সময় তার মনের পরিবর্তন ঘটে। সে নেশা, জুয়াখেলাসহ অনেক অনৈতিক কাজে সে জড়িত ছিল। বিভিন্ন মেয়েদের সাথে সে সম্পর্ক করতো। আমাকে সে অত্যাচার করতো মানসিকভাবে ও শারিরিক ভাবেও। বাবার বাড়ি থেকে টাকা পয়সা আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করতো। প্রতিবাদ করলে মারধর করতো। আমার স্বামীর সাথে তার পরিবারের লোকজনও ঝাঁপিয়ে পড়তো আমার উপর। গর্ভবতী থাকা অবস্থায় আমাকে তারা বাধ্য করে স্বামীর সংসার ত্যাগ করতে।

বাবার বাড়ি আসার পর আমার স্বামী আমার সাথে কোন রকম যোগাযোগ করেনি। মেয়ে সন্তান জন্ম হওয়ার পরও একটি বারের জন্যেও সে আমার মেয়েকে দেখতে আসেনি।

তারপর মেয়ের বয়স ৫ মাস হলে আমি একটি মামলা করি। সেখানেও তার কোন শাস্তি হয়না। কেস চলতে থাকে, কেস চলাকালীন অবস্থায় সে পরকীয়া করে আবার একটি বিবাহ করে। তারপরও তার শাস্তি হয় না।

আমাকে আমার সন্তানকেও কোন টাকা পয়সা দেয়না। আমার স্বামী আপোষে আসার জন্য আমাকে তিন লক্ষ টাকা দিতে চেয়েছিল। বিবাহের সময় যৌতুক বাবদ আমার বাবা তাকে ৬ লক্ষ ৩০,০০০ টাকা দিয়েছিল। তাহলে কেমন করে তিন লক্ষ টাকা নেবো।

আমার মেয়ের ভরণপোষণের জন্য আমি ৮ লক্ষ টাকা দাবী করছি। অন্যথায় আমি তার শাস্তি কামনা করি।

লেখক: শ্যামলা রায়
ই-মেইল: royshyamola@gmail.com