ঢাকা ০৬:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

রাজশাহীতে ওসি এএসপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে এসআই আল-ইমরানের চাঁদাবাজি

রাজশাহী প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত সময় ০১:০০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / 107

সাময়িক বরখাস্তকৃত এসআই আল-ইমরান। ছবি: সংগৃহীত


রাজশাহীর বাগমারা থানার, বিকাশ প্রতারণার মামলাকে পুঁজি করে উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল-ইমরানের ধারাবাহিক চাঁদাবাজি ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভুগী আরাফাত সাইদ। আরাফাত বাঘা উপজেলার বলিহার (হাজিপাড়া) গ্রামের আফতাব হোসেনের ছেলে।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ১২.৩০ মিনিটে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী আরাফাত তার লিখিত বক্তব্যে জানান, আমি একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী। বর্তমানে আমার পরীক্ষা চলছে। গত ১০ জানুয়ারি ২০২২ সালে বাগমারা থানায় ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অজ্ঞাত আসামী উল্লেখ করে একটি প্রতারণার মামলা রুজু হয় যার নং ১০/২২। পরবর্তীতে সেই মামলায় তদন্তপুর্বক কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে আসামি করে থানা পুলিশ। যাদের অনেকের বাড়ি আমার এলাকায়। আসামীর বাড়ি আমার বাড়ির পাশে এবং সমবয়সী হওয়াতে উক্ত মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আল-ইমরান সেই আসামীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সেই জায়গায় আমাকে আসামি করবে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে ভয় ভিতি প্রদর্শন করছেন।

এছাড়াও পর পর ২ দিন মাঝরাতে আমার বাড়িতে এসে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং মোটা অংকের টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা না দিলে আমাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন। এসআই আল ইমরান ইতোমধ্যে আমার এক পরিচিতের মাধ্যমে বলেন, দাবিকৃত টাকা না দিলে আমার এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার আগেই গ্রেফতার করবেন। মামলার এজাহারে নাম না থাকলেও গ্রেফতার কৃত আসামীদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নিয়ে আমাকে যে কোন সময় আটক করতে পারবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমার নামে দেশের কোথাও কোন মামলাও নাই। তারপরও বাগমারা থানার এসআই আল-ইমরান আমার পরিবারের কাছ থেকে বার বার ফোন দিয়ে এডিশনাল এসপি এবং বাগমারা থানার ওসি সহ ৩ জন কর্মকর্তাকে দেয়ার কথা বলে টাকা দাবি করছেন। সর্বশেষ ২৬ নভেম্বর রাত ১০ টার দিকে এসআই আল ইমরানের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার (০১৭৫২৪০৪৬১২) থেকে আমার শ্বশুর আসাদুল ইসলামের (০১৮১৬৭০০১৮৩) নাম্বারে ফোন করে ৪০ হাজার টাকা ফোনে বিকাশের মাধ্যমে চান। টাকা না দিলে উক্ত মামলায় আমার নাম ঢুকিয়ে দিবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন এবং পরীক্ষা বানচালের চেষ্টা করছেন। আমার পরীক্ষা বাতিলসহ নানা ভয়ভীতির কারণে পরিবারের লোকজন খুব চিন্তিত। এমতাবস্থায় আপনাদের মাধ্যমে আমার পরিবারের নিরাপত্তা, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা প্রদান ও দোষী এসআই এর সুবিচার প্রার্থনাসহ শাস্তি কামনা করছি।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ১২.৩০ মিনিটে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী আরাফাত তার লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন। ছবি: স্বতঃকণ্ঠ

উল্লেখ্য, মামলার বাদী বাগমারা উপজেলার ঝিকড়া (কুদাপাড়া) গ্রামের মকছেদ আলীর স্ত্রী মোঃ বেদেনা বিবি (৩০)। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই মামলা সকল আসামীর নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আল ইমরান।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত এস আই আল ইমরান বলেন, সংবাদ সম্মেলন হলে তো আমার আর বক্তব্য দেওয়ার কিছুই নাই। পরে আপনাদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখার আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত এস আইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত এস আইকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।

রাজশাহীতে ওসি এএসপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে এসআই আল-ইমরানের চাঁদাবাজি

প্রকাশিত সময় ০১:০০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২

রাজশাহীর বাগমারা থানার, বিকাশ প্রতারণার মামলাকে পুঁজি করে উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল-ইমরানের ধারাবাহিক চাঁদাবাজি ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভুগী আরাফাত সাইদ। আরাফাত বাঘা উপজেলার বলিহার (হাজিপাড়া) গ্রামের আফতাব হোসেনের ছেলে।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ১২.৩০ মিনিটে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী আরাফাত তার লিখিত বক্তব্যে জানান, আমি একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী। বর্তমানে আমার পরীক্ষা চলছে। গত ১০ জানুয়ারি ২০২২ সালে বাগমারা থানায় ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অজ্ঞাত আসামী উল্লেখ করে একটি প্রতারণার মামলা রুজু হয় যার নং ১০/২২। পরবর্তীতে সেই মামলায় তদন্তপুর্বক কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে আসামি করে থানা পুলিশ। যাদের অনেকের বাড়ি আমার এলাকায়। আসামীর বাড়ি আমার বাড়ির পাশে এবং সমবয়সী হওয়াতে উক্ত মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আল-ইমরান সেই আসামীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সেই জায়গায় আমাকে আসামি করবে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে ভয় ভিতি প্রদর্শন করছেন।

এছাড়াও পর পর ২ দিন মাঝরাতে আমার বাড়িতে এসে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং মোটা অংকের টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা না দিলে আমাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন। এসআই আল ইমরান ইতোমধ্যে আমার এক পরিচিতের মাধ্যমে বলেন, দাবিকৃত টাকা না দিলে আমার এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার আগেই গ্রেফতার করবেন। মামলার এজাহারে নাম না থাকলেও গ্রেফতার কৃত আসামীদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নিয়ে আমাকে যে কোন সময় আটক করতে পারবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমার নামে দেশের কোথাও কোন মামলাও নাই। তারপরও বাগমারা থানার এসআই আল-ইমরান আমার পরিবারের কাছ থেকে বার বার ফোন দিয়ে এডিশনাল এসপি এবং বাগমারা থানার ওসি সহ ৩ জন কর্মকর্তাকে দেয়ার কথা বলে টাকা দাবি করছেন। সর্বশেষ ২৬ নভেম্বর রাত ১০ টার দিকে এসআই আল ইমরানের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার (০১৭৫২৪০৪৬১২) থেকে আমার শ্বশুর আসাদুল ইসলামের (০১৮১৬৭০০১৮৩) নাম্বারে ফোন করে ৪০ হাজার টাকা ফোনে বিকাশের মাধ্যমে চান। টাকা না দিলে উক্ত মামলায় আমার নাম ঢুকিয়ে দিবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন এবং পরীক্ষা বানচালের চেষ্টা করছেন। আমার পরীক্ষা বাতিলসহ নানা ভয়ভীতির কারণে পরিবারের লোকজন খুব চিন্তিত। এমতাবস্থায় আপনাদের মাধ্যমে আমার পরিবারের নিরাপত্তা, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা প্রদান ও দোষী এসআই এর সুবিচার প্রার্থনাসহ শাস্তি কামনা করছি।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ১২.৩০ মিনিটে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী আরাফাত তার লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন। ছবি: স্বতঃকণ্ঠ

উল্লেখ্য, মামলার বাদী বাগমারা উপজেলার ঝিকড়া (কুদাপাড়া) গ্রামের মকছেদ আলীর স্ত্রী মোঃ বেদেনা বিবি (৩০)। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই মামলা সকল আসামীর নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আল ইমরান।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত এস আই আল ইমরান বলেন, সংবাদ সম্মেলন হলে তো আমার আর বক্তব্য দেওয়ার কিছুই নাই। পরে আপনাদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখার আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত এস আইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত এস আইকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।