ঢাকা ০৬:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ভাঙ্গুড়ায় প্রতিবেশীর চক্রান্তে অপবাদের শিকার এক নারী

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৩:০৩:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • / 69

ইসলাম পিপুল: পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নে প্রতিবেশির চক্রান্তে অপবাদের শিকার হয়েছেন এক নারী। তার বাড়িতে বেড়াতে আসা এক যুবককে ঘিরে এই অপবাদ ছড়ানো হয়।

পরে পার-ভাঙ্গুড়া ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল হক সদস্য নুরুল হক ও স্থানীয় শালিসকারী সাত্তার ডাক্তার মিলে এলাকায় শালিস বৈঠকের মাধ্যমে ঐ যুবকের ৬ হাজার ও ঐ নারী ৩ হাজার টাকা জরিমানা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছন।

অপবাদের শিকার হওয়া যুবকের নাম লিটন (৩৮) সে উপজেলার ভেড়ামারা গ্রামের গফুরের ছেলে।

বুধবার রাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখে ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ঐ নারীর শোবার ঘরে এক যুবকে দড়ি দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে। পাশেই রয়েছে ঐ নারী ও তার চতুর্থ শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে।

বাইরে উত্তেজিত জনতা চিৎকার চেঁচামেচি করছে। হঠাৎ তারা ঐ নারীর ঘর লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে ও লাঠির আঘাতে টিনের ঘর ভাঙ্গতে থাকে। পরে খবর পেয়ে এলাকার চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

ঐ নারীর প্রতিবেদককে বলেন, আমার স্বামী মাছ ধরে সংসার চালায় আমি চায়ের দোকান চালিয়ে সংসারে বাড়তি আয় করি। এতেই আমার প্রতিবেশিরা আমার উন্নতি দেখে হিংসা করে আমাকে এই অপবাদ দিচ্ছে।

লিটন আমার স্বামীর বন্ধু সে দিনমজুর আমার বাড়িতেও সে বিভিন্ন সময়ে মজুর হিসেবে কাজ করেছে। আমার মেয়েকে সে নিজের মেয়ের মতই দেখে। আজ সে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আমার মেয়ে তাকে বাড়িতে ডেকে আনে।

আমি তখন গ্যাসের চুলায় ভাত রান্না করছিলাম। আমি লিটন ও আমার মেয়ে বসে কথা বলছিলাম তখনই হঠাৎ আমার প্রতিবেশিরা আমাদের উপর হামলা চালায়।

ভয়ে আমার মেয়ে চিৎকার শুরু করলে আমি দরজা ভেতর থেকে আটকে দেই এবং আমার স্বামীকে ফোন দেই। পরে এলাকার মেম্বর এখানে আসে।

পরবর্তীতে রাত ১১টায় ঐ নারী ও যুবককে নিয়ে শালিসের আয়োজন করে এলাকাবাসী সেখানে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান ও ইউপিসদস্য ছাড়াও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

সেখানেই তারা ঐ নারীকে তিন হাজার ও যুবককে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করে নগদ আদায় করে। দবে এই টাকা কোথায় কিভাবে খরচ হবে সে ব্যপারে কোন সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ তারা এই টাকা মেরে দেবে।

ভাঙ্গুড়ায় প্রতিবেশীর চক্রান্তে অপবাদের শিকার এক নারী

প্রকাশিত সময় ০৩:০৩:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ইসলাম পিপুল: পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নে প্রতিবেশির চক্রান্তে অপবাদের শিকার হয়েছেন এক নারী। তার বাড়িতে বেড়াতে আসা এক যুবককে ঘিরে এই অপবাদ ছড়ানো হয়।

পরে পার-ভাঙ্গুড়া ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল হক সদস্য নুরুল হক ও স্থানীয় শালিসকারী সাত্তার ডাক্তার মিলে এলাকায় শালিস বৈঠকের মাধ্যমে ঐ যুবকের ৬ হাজার ও ঐ নারী ৩ হাজার টাকা জরিমানা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছন।

অপবাদের শিকার হওয়া যুবকের নাম লিটন (৩৮) সে উপজেলার ভেড়ামারা গ্রামের গফুরের ছেলে।

বুধবার রাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখে ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ঐ নারীর শোবার ঘরে এক যুবকে দড়ি দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে। পাশেই রয়েছে ঐ নারী ও তার চতুর্থ শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে।

বাইরে উত্তেজিত জনতা চিৎকার চেঁচামেচি করছে। হঠাৎ তারা ঐ নারীর ঘর লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে ও লাঠির আঘাতে টিনের ঘর ভাঙ্গতে থাকে। পরে খবর পেয়ে এলাকার চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

ঐ নারীর প্রতিবেদককে বলেন, আমার স্বামী মাছ ধরে সংসার চালায় আমি চায়ের দোকান চালিয়ে সংসারে বাড়তি আয় করি। এতেই আমার প্রতিবেশিরা আমার উন্নতি দেখে হিংসা করে আমাকে এই অপবাদ দিচ্ছে।

লিটন আমার স্বামীর বন্ধু সে দিনমজুর আমার বাড়িতেও সে বিভিন্ন সময়ে মজুর হিসেবে কাজ করেছে। আমার মেয়েকে সে নিজের মেয়ের মতই দেখে। আজ সে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আমার মেয়ে তাকে বাড়িতে ডেকে আনে।

আমি তখন গ্যাসের চুলায় ভাত রান্না করছিলাম। আমি লিটন ও আমার মেয়ে বসে কথা বলছিলাম তখনই হঠাৎ আমার প্রতিবেশিরা আমাদের উপর হামলা চালায়।

ভয়ে আমার মেয়ে চিৎকার শুরু করলে আমি দরজা ভেতর থেকে আটকে দেই এবং আমার স্বামীকে ফোন দেই। পরে এলাকার মেম্বর এখানে আসে।

পরবর্তীতে রাত ১১টায় ঐ নারী ও যুবককে নিয়ে শালিসের আয়োজন করে এলাকাবাসী সেখানে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান ও ইউপিসদস্য ছাড়াও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

সেখানেই তারা ঐ নারীকে তিন হাজার ও যুবককে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করে নগদ আদায় করে। দবে এই টাকা কোথায় কিভাবে খরচ হবে সে ব্যপারে কোন সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ তারা এই টাকা মেরে দেবে।