ঢাকা ১২:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার কোলাদীতে ১৮ বিঘা জমির ধান কাটতে প্রভাবশালীদের বাধা, চাঁদা দাবি

পাবনা প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত সময় ০৫:০৫:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • / 101

ধানক্ষেত



পাবনা সদর উপজেলার কোলাদী গ্রামে ১৮ বিঘা জমির পাকা ধান কাটতে একটি প্রভাবশালী চক্র বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেইসাথে জমির মালিকদের কাছে ৭ লাখ টাকা চাঁদাও দাবি করেছেন। তাদের হুমকি ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন ভুক্তভোগী দুই ভাই। এতে জমির পাকা ধান মাঠেই নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ দুই ভাইয়ের। এ ঘটনায় তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা।লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, সদর উপজেলার কোলাদী গ্রামের ইমরান আলী শেখের দুই ছেলে রবিউল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম তাদের নিজের জমিতে ১০ বিঘা এবং সেচ স্কীমে ৮ বিঘা মোট ১৮ বিঘা জমিতে ধান লাগান। ধান পাকার পর এখন শ্রমিকরা ধান কাটতে গেলে একই এলাকার প্রভাবশালী পাঁচ ভাই জব্বার সরদার, সাচ্চু সরদার, হেলাল সরদার, বাবু সরদার, মজনু সরদার ও তাদের সন্তানরা বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী রবিউল ও রফিকুলের।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা গত ১১ নভেম্বর সকালে ধান কাটার শ্রমিকদের ধান কাটতে বাধা দেন। মাঝে মধ্যেই দুই ভাইকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। ধান কাটতে বাধা দেবার পাশাপাশি দুই ভাইয়ের কাছে এই চক্রটি ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে বলেও অভিযোগ তাদের।

রবিউল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম বলেন, তাদের হুমকি ধামকিতে বৃদ্ধ মাকে নিয়ে পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ১৮ বিঘার ধান হবে প্রায় ৫৫০ মণ। যার বাজার মুল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা। ধান কাটতে না পেরে মাঠেই নষ্ট হচ্ছে পাকা ধান। ধান কাটতে না পারলে তারা ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হবেন বলে আশঙ্কা করছেন। এ ঘটনায় ধান কাটার ব্যবস্থা গ্রহণ ও নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) সদর থানার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রবিউল ইসলাম।

এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগপত্র এখনও হাতে পাইনি। পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের একজন হেলাল সরদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ধান কাটায় বাধার দেবার বিষয়ে কিছু জানি না। তারা যে অভিযোগ দিছে তা কতুটুকু সত্য-মিথ্যা আপনারাই এলাকায় এসে খোঁজ নিয়ে দেখেন। এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নাই।

পাবনার কোলাদীতে ১৮ বিঘা জমির ধান কাটতে প্রভাবশালীদের বাধা, চাঁদা দাবি

প্রকাশিত সময় ০৫:০৫:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২


পাবনা সদর উপজেলার কোলাদী গ্রামে ১৮ বিঘা জমির পাকা ধান কাটতে একটি প্রভাবশালী চক্র বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেইসাথে জমির মালিকদের কাছে ৭ লাখ টাকা চাঁদাও দাবি করেছেন। তাদের হুমকি ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন ভুক্তভোগী দুই ভাই। এতে জমির পাকা ধান মাঠেই নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ দুই ভাইয়ের। এ ঘটনায় তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা।লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, সদর উপজেলার কোলাদী গ্রামের ইমরান আলী শেখের দুই ছেলে রবিউল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম তাদের নিজের জমিতে ১০ বিঘা এবং সেচ স্কীমে ৮ বিঘা মোট ১৮ বিঘা জমিতে ধান লাগান। ধান পাকার পর এখন শ্রমিকরা ধান কাটতে গেলে একই এলাকার প্রভাবশালী পাঁচ ভাই জব্বার সরদার, সাচ্চু সরদার, হেলাল সরদার, বাবু সরদার, মজনু সরদার ও তাদের সন্তানরা বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী রবিউল ও রফিকুলের।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা গত ১১ নভেম্বর সকালে ধান কাটার শ্রমিকদের ধান কাটতে বাধা দেন। মাঝে মধ্যেই দুই ভাইকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। ধান কাটতে বাধা দেবার পাশাপাশি দুই ভাইয়ের কাছে এই চক্রটি ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে বলেও অভিযোগ তাদের।

রবিউল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম বলেন, তাদের হুমকি ধামকিতে বৃদ্ধ মাকে নিয়ে পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ১৮ বিঘার ধান হবে প্রায় ৫৫০ মণ। যার বাজার মুল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা। ধান কাটতে না পেরে মাঠেই নষ্ট হচ্ছে পাকা ধান। ধান কাটতে না পারলে তারা ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হবেন বলে আশঙ্কা করছেন। এ ঘটনায় ধান কাটার ব্যবস্থা গ্রহণ ও নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) সদর থানার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রবিউল ইসলাম।

এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগপত্র এখনও হাতে পাইনি। পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের একজন হেলাল সরদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ধান কাটায় বাধার দেবার বিষয়ে কিছু জানি না। তারা যে অভিযোগ দিছে তা কতুটুকু সত্য-মিথ্যা আপনারাই এলাকায় এসে খোঁজ নিয়ে দেখেন। এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নাই।