ঢাকা ০৮:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ডিসেম্বর এলেই পতাকা বিক্রি করেন মোজ্জাম্মেল

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত সময় ০২:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • / 84

পতাকা বিক্রেতা মোজ্জাম্মেল হক


দিনাজপুরের বিরামপুরে বিভিন্ন হাট-বাজার ও রাস্তার পাশে ফেরি করে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ছোট বড় লাল সবুজের পতাকা। বিজয়ের মাস এলেই শহর, গ্রাম ও হাট-বাজারে দেখা মেলে ৮/১০ ফুট লম্বা বাঁশে বেঁধে বিক্রেতারা বিক্রি করছেন এসব পতাকা। রয়েছে নানা আকারের পতাকা এবং পতাকার লোগো সংবলিত মাথা ও হাতে বাঁধার ব্যান্ড। পতাকার মধ্যে লাল সবুজের জাতীয় পতাকা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন লালসবুজের মাঝে হলুদ মানচিত্র আঁকা পতাকা ও ব্যাচ।

স্থানীয়রা বলেন, বিজয়ের মাসে অনেকেই বাড়ির ছাদে, শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সামনে এমনকি বাইক ও গাড়িতেও জাতীয় পতাকা ওড়ান। ফলে বিজয়ের মাস এলেই জাতীয় পতাকার চাহিদা বেড়ে যায়। আর এই সুযোগে মৌসুমী পতাকা ব্যবসায়ীরা হাট-বাজার ও পথে পথে ঘুরে ঘুরে জাতীয় পতাকা বিক্রি করেন। শুধু পতাকা নয়, হাতে ও মাথায় বাঁধার মতো লাল-সবুজ ব্যাচও বিক্রি করছে। আর ১৬ ডিসেম্বরে লাল-সবুজ পতাকা হাতে দেখা মেলে অসংখ্য শিশু-কিশোরদের।

৫৫ উর্দ্ধ বয়সী পতাকা বিক্রেতা মোজ্জাম্মেল হক নামে এমনই এক মৌসুমী পতাকা বিক্রেতার সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, তার বাড়ি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার পাইককান্দি গ্রামে। সারাবছর সংসারে অন্যান্য কাজ করলেও বিজয়ের মাসের প্রথম থেকে পতাকা বিক্রি করার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় ঘুরে বেড়ান তিনি। থাকবেন বিজয় দিবস পর্যন্ত। তিনি আরও বলেন, আগে এই সময় টাতে পতাকা, মাথায় ও হাতে বাধার ব্যাচ ও বিজয় দিবসের অন্যান্য সামগ্রী ভালই বিক্রি হতো। তাতে এই ১৫ দিনে পতাকা বিক্রি থেকে আয় হতো প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। কিন্তুু এবারে বিজয় দিবস ও বিশ্বকাপের খেলা চলার কারণে এ সবের প্রতি তেমন আগ্রহী নেই মানুষের। তাই এবার বেঁচা-কেনা অনেকটা কম। তারপরও দিনে ৭শো টাকা বিক্রি হয়।

তিনি আরও বলেন, এই বিজয় নিশান কাঁধে নিয়ে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতে ভালোই লাগে। তার কাছে থাকা ৬ ফুটের একটি পতাকা ১৫০ টাকা, ৫ ফুট ১০০ টাকা, সাড়ে ৩ ফুট ৮০ টাকা, আড়াই ফুট ৫০ টাকা, দেড় ফুট ৩০ টাকা আর ১ ফুট ২০ টাকা এবং ফিতা আর ব্যান্ড বিক্রি করেন ১০ টাকায় তিনি বিক্রি করছেন।

এই রকম আরও টপিক

ডিসেম্বর এলেই পতাকা বিক্রি করেন মোজ্জাম্মেল

প্রকাশিত সময় ০২:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিভিন্ন হাট-বাজার ও রাস্তার পাশে ফেরি করে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ছোট বড় লাল সবুজের পতাকা। বিজয়ের মাস এলেই শহর, গ্রাম ও হাট-বাজারে দেখা মেলে ৮/১০ ফুট লম্বা বাঁশে বেঁধে বিক্রেতারা বিক্রি করছেন এসব পতাকা। রয়েছে নানা আকারের পতাকা এবং পতাকার লোগো সংবলিত মাথা ও হাতে বাঁধার ব্যান্ড। পতাকার মধ্যে লাল সবুজের জাতীয় পতাকা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন লালসবুজের মাঝে হলুদ মানচিত্র আঁকা পতাকা ও ব্যাচ।

স্থানীয়রা বলেন, বিজয়ের মাসে অনেকেই বাড়ির ছাদে, শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সামনে এমনকি বাইক ও গাড়িতেও জাতীয় পতাকা ওড়ান। ফলে বিজয়ের মাস এলেই জাতীয় পতাকার চাহিদা বেড়ে যায়। আর এই সুযোগে মৌসুমী পতাকা ব্যবসায়ীরা হাট-বাজার ও পথে পথে ঘুরে ঘুরে জাতীয় পতাকা বিক্রি করেন। শুধু পতাকা নয়, হাতে ও মাথায় বাঁধার মতো লাল-সবুজ ব্যাচও বিক্রি করছে। আর ১৬ ডিসেম্বরে লাল-সবুজ পতাকা হাতে দেখা মেলে অসংখ্য শিশু-কিশোরদের।

৫৫ উর্দ্ধ বয়সী পতাকা বিক্রেতা মোজ্জাম্মেল হক নামে এমনই এক মৌসুমী পতাকা বিক্রেতার সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, তার বাড়ি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার পাইককান্দি গ্রামে। সারাবছর সংসারে অন্যান্য কাজ করলেও বিজয়ের মাসের প্রথম থেকে পতাকা বিক্রি করার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় ঘুরে বেড়ান তিনি। থাকবেন বিজয় দিবস পর্যন্ত। তিনি আরও বলেন, আগে এই সময় টাতে পতাকা, মাথায় ও হাতে বাধার ব্যাচ ও বিজয় দিবসের অন্যান্য সামগ্রী ভালই বিক্রি হতো। তাতে এই ১৫ দিনে পতাকা বিক্রি থেকে আয় হতো প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। কিন্তুু এবারে বিজয় দিবস ও বিশ্বকাপের খেলা চলার কারণে এ সবের প্রতি তেমন আগ্রহী নেই মানুষের। তাই এবার বেঁচা-কেনা অনেকটা কম। তারপরও দিনে ৭শো টাকা বিক্রি হয়।

তিনি আরও বলেন, এই বিজয় নিশান কাঁধে নিয়ে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতে ভালোই লাগে। তার কাছে থাকা ৬ ফুটের একটি পতাকা ১৫০ টাকা, ৫ ফুট ১০০ টাকা, সাড়ে ৩ ফুট ৮০ টাকা, আড়াই ফুট ৫০ টাকা, দেড় ফুট ৩০ টাকা আর ১ ফুট ২০ টাকা এবং ফিতা আর ব্যান্ড বিক্রি করেন ১০ টাকায় তিনি বিক্রি করছেন।