ঢাকা ০২:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঈশ্বরদীতে থার্টি ফার্স্টের অনুষ্ঠানে বিবাদ, এসএসসি পরীক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত সময় ১০:৪৫:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / 263

পাবনার ঈশ্বরদীতে থার্টি ফাস্ট নাইটের অনুষ্ঠানে সাউন্ড সিস্টেমের বঙ্ বাজানোকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিবাদে রোহান (১৫) নামের এক কিশোরের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। 

গত ৩১শে ডিসেম্বর (শনিবার) রাত সাড়ে ১১ টায় ঈশ্বরদীর সঁাড়া ঝঁাউদিয়া থানাপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত রোহান ওই এলাকার মিজানুর রহমান মিন্নুর ছেলে। সে সঁাড়া ঝাউদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখা  ( ভোকেশনাল) থেকে এসএসসি পরীক্ষাথর্ী ছিলো। তবে রোহানের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে পারেনি ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী। 

প্রতক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানায়, থার্টিফাস্টকে কেন্দ্র করে রোহান তার বন্ধুদের সাথে পিকনিকের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ভাড়াকৃত সমস্যাজনিত সাউন্ড সিস্টেম বঙ্ মেরামত করে দেওয়াকে কেন্দ্র করে মাঝদিয়া নতুন পাড়া এলাকার মামুনের ছেলে পাভেলের মধ্যে বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। তখন পাভেলসহ তার ৭/৮ জন বন্ধুকে পিকনিকে আসা অন্যান্যরা তাড়িয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর পাভেলসহ প্রায় ২০/২৫ জন লাঠি ও গাছের ডাল নিয়ে রোহানদের উপর হামলা করে। এতে রোহানের সঙ্গে পিকনিকে থাকা আসিবের মাথা কেটে রক্তত্ব হয়ে পালিয়ে যায়। 

ভিক্টিম রোহানের দুলাভাই তরিকুল ইসলাম জানান, রাতে রোহান তার সঙ্গেই দোকানে ছিলো। থার্টিফাস্টের আয়োজনে ঝামেলা হয়েছে বলে রোহানকে ফোনে আসিফ, রিজভী এবং তানিম ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাত আনুমানিক সোয়া ১২ টার দিকে রোহানকে অচেতন অবস্থায় বাড়ির বাইরের গেট থেকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েনেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোহানকে মৃত ঘোষণা করেন।  

তিনি আরও জানান, বাড়ির গেটে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকা রোহানের পাশে দুটি স্মার্ট মোবাইল ফোন ও একটি ছেড়া জ্যাকেট পাওয়া গেছে। এগুলো রোহানের বন্ধু রিজভী, সাঈম ও মেহেদির বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে জানান, উঠতি বয়সি এসব ছেলেরা গ্রুপ ধরে এলাকায় প্রায়ই বিভিন্ন ধরণের ঝামেলা সৃষ্টি করতো। তাতে প্রাণহানির আশংকা থাকতো। রোহানের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে এলাকাবাসীর সেই আশংকা সত্য হতো। 

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, রোহানের মৃত্যুও আসল কারণ জানা যায়নি। তার শরীরে আঘাতের কোন চিহৃ নেই। মৃত্যুর কারণ জানতে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

এই ব্যাপারে মৃত রোহানের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পোস্ট মর্টেমের রিপোর্ট দেখে পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এই রকম আরও টপিক

ঈশ্বরদীতে থার্টি ফার্স্টের অনুষ্ঠানে বিবাদ, এসএসসি পরীক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশিত সময় ১০:৪৫:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩

পাবনার ঈশ্বরদীতে থার্টি ফাস্ট নাইটের অনুষ্ঠানে সাউন্ড সিস্টেমের বঙ্ বাজানোকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিবাদে রোহান (১৫) নামের এক কিশোরের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। 

গত ৩১শে ডিসেম্বর (শনিবার) রাত সাড়ে ১১ টায় ঈশ্বরদীর সঁাড়া ঝঁাউদিয়া থানাপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত রোহান ওই এলাকার মিজানুর রহমান মিন্নুর ছেলে। সে সঁাড়া ঝাউদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখা  ( ভোকেশনাল) থেকে এসএসসি পরীক্ষাথর্ী ছিলো। তবে রোহানের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে পারেনি ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী। 

প্রতক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানায়, থার্টিফাস্টকে কেন্দ্র করে রোহান তার বন্ধুদের সাথে পিকনিকের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ভাড়াকৃত সমস্যাজনিত সাউন্ড সিস্টেম বঙ্ মেরামত করে দেওয়াকে কেন্দ্র করে মাঝদিয়া নতুন পাড়া এলাকার মামুনের ছেলে পাভেলের মধ্যে বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। তখন পাভেলসহ তার ৭/৮ জন বন্ধুকে পিকনিকে আসা অন্যান্যরা তাড়িয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর পাভেলসহ প্রায় ২০/২৫ জন লাঠি ও গাছের ডাল নিয়ে রোহানদের উপর হামলা করে। এতে রোহানের সঙ্গে পিকনিকে থাকা আসিবের মাথা কেটে রক্তত্ব হয়ে পালিয়ে যায়। 

ভিক্টিম রোহানের দুলাভাই তরিকুল ইসলাম জানান, রাতে রোহান তার সঙ্গেই দোকানে ছিলো। থার্টিফাস্টের আয়োজনে ঝামেলা হয়েছে বলে রোহানকে ফোনে আসিফ, রিজভী এবং তানিম ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাত আনুমানিক সোয়া ১২ টার দিকে রোহানকে অচেতন অবস্থায় বাড়ির বাইরের গেট থেকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েনেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোহানকে মৃত ঘোষণা করেন।  

তিনি আরও জানান, বাড়ির গেটে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকা রোহানের পাশে দুটি স্মার্ট মোবাইল ফোন ও একটি ছেড়া জ্যাকেট পাওয়া গেছে। এগুলো রোহানের বন্ধু রিজভী, সাঈম ও মেহেদির বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে জানান, উঠতি বয়সি এসব ছেলেরা গ্রুপ ধরে এলাকায় প্রায়ই বিভিন্ন ধরণের ঝামেলা সৃষ্টি করতো। তাতে প্রাণহানির আশংকা থাকতো। রোহানের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে এলাকাবাসীর সেই আশংকা সত্য হতো। 

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, রোহানের মৃত্যুও আসল কারণ জানা যায়নি। তার শরীরে আঘাতের কোন চিহৃ নেই। মৃত্যুর কারণ জানতে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

এই ব্যাপারে মৃত রোহানের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পোস্ট মর্টেমের রিপোর্ট দেখে পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।