ঢাকা ১২:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার ঈশ্বরদীতে যুবলীগ নেতার গুলিতে রিকসাচালক নিহত 

অনলাইন ডেস্ক:
  • প্রকাশিত সময় ১১:৫৯:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • / 167

গুলিতে নিহত মামুন হোসেন হাসপাতালে।


যুবলীগ নেতার গুলিতে মামুন হোসেন (২৬) নামের এক রিকশাচালক নিহত হয়েছেন। এঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আরও দুইজন আহত হয়েছেন। আহতদের অবস্থাও গুরুতর। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

বুধবার (০৪ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর শহরের পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত মামুন পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের পিয়ারাখালী গ্রামের মানিকের ছেলে। পেশায় রিকশাচালক।  আর আহতরা হলেন- রকি হোসেন (২৬) ও সুমন হোসেন (২৮)।  অভিযুক্তরা হলেন- ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের সদস্য আনোয়ার হোসেন, ১ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা হৃদয় হোসেন এবং ছাত্রলীগকর্মী ইব্রাহিম। আনোয়ার হোসেন ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা কামাল উদ্দিনের ভাই। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী পারভেজ বলেন, ‘আমরা দ্রুতগতির একটি ভুটভুটি গাড়ি থামিয়ে তাকে দ্রুতগতির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করছিলাম। ভুটভুটিটি থামানোর সময় পেছনে থাকা একটি লেগুনা ভুটভুটির পেছনে ধাক্কা খেয়ে সামনের গ্লাস ভেঙে যায়। এসময় ভুটভুটি চালাকের চাবি কেড়ে নিয়ে তার কাছ থেকে জরিমানা দাবি করেন লেগুনা চালক। এবিষয়ে তাকে বাধা দিলে একজন মহিলাকে ধাক্কা দেন। এসময় আমরা তাকে মহিলাকে ধাক্কা দেয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে রেগে চলে যান। পরে ভুটভুটি চালকও স্থান ত্যাগ করেন’।

তিনি আরও বলেন, ‘এঘটনার কিছুক্ষণ পর আনোয়ার, হৃদয় ও ইব্রাহিমসহ কয়েকজন লোক এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করেন- কেন আমরা জরিমানা নিতে বাধা দিয়েছি এবং লেগুনা চালককে তাড়িয়ে দিয়েছি। এসময় মামুন, রকি ও সুমনসহ আশপাশের লোকজন এসে তাদের থামানোর চেষ্টা করলে আনোয়ার হোসেন তার কোমরে থাকা পিস্তল বের করে গুলি করেন। এতে মামুন হোসেন ও রকি হোসেন গুলিবিদ্ধ হন।  পরে সুমনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। 

এসময় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন।  পরে গুলিবিদ্ধ রকি হোসেন ও ছুরিকাঘাতে আহত সুমনের অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, ‘মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

এই রকম আরও টপিক

পাবনার ঈশ্বরদীতে যুবলীগ নেতার গুলিতে রিকসাচালক নিহত 

প্রকাশিত সময় ১১:৫৯:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩

যুবলীগ নেতার গুলিতে মামুন হোসেন (২৬) নামের এক রিকশাচালক নিহত হয়েছেন। এঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আরও দুইজন আহত হয়েছেন। আহতদের অবস্থাও গুরুতর। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

বুধবার (০৪ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর শহরের পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত মামুন পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের পিয়ারাখালী গ্রামের মানিকের ছেলে। পেশায় রিকশাচালক।  আর আহতরা হলেন- রকি হোসেন (২৬) ও সুমন হোসেন (২৮)।  অভিযুক্তরা হলেন- ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের সদস্য আনোয়ার হোসেন, ১ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা হৃদয় হোসেন এবং ছাত্রলীগকর্মী ইব্রাহিম। আনোয়ার হোসেন ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা কামাল উদ্দিনের ভাই। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী পারভেজ বলেন, ‘আমরা দ্রুতগতির একটি ভুটভুটি গাড়ি থামিয়ে তাকে দ্রুতগতির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করছিলাম। ভুটভুটিটি থামানোর সময় পেছনে থাকা একটি লেগুনা ভুটভুটির পেছনে ধাক্কা খেয়ে সামনের গ্লাস ভেঙে যায়। এসময় ভুটভুটি চালাকের চাবি কেড়ে নিয়ে তার কাছ থেকে জরিমানা দাবি করেন লেগুনা চালক। এবিষয়ে তাকে বাধা দিলে একজন মহিলাকে ধাক্কা দেন। এসময় আমরা তাকে মহিলাকে ধাক্কা দেয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে রেগে চলে যান। পরে ভুটভুটি চালকও স্থান ত্যাগ করেন’।

তিনি আরও বলেন, ‘এঘটনার কিছুক্ষণ পর আনোয়ার, হৃদয় ও ইব্রাহিমসহ কয়েকজন লোক এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করেন- কেন আমরা জরিমানা নিতে বাধা দিয়েছি এবং লেগুনা চালককে তাড়িয়ে দিয়েছি। এসময় মামুন, রকি ও সুমনসহ আশপাশের লোকজন এসে তাদের থামানোর চেষ্টা করলে আনোয়ার হোসেন তার কোমরে থাকা পিস্তল বের করে গুলি করেন। এতে মামুন হোসেন ও রকি হোসেন গুলিবিদ্ধ হন।  পরে সুমনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। 

এসময় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন।  পরে গুলিবিদ্ধ রকি হোসেন ও ছুরিকাঘাতে আহত সুমনের অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, ‘মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’