ঢাকা ০৪:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পূর্ব শত্রুতার জেরে জনিকে হাতুড়ি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে বাপ্পি বাহিনী 

পাবনা প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত সময় ০৯:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / 122

আহত জনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।


পূর্ব শত্রুতার জেরে নাজিরপুরে চায়ের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে দুই যুবককে হাতুড়ি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বাপ্পি বাহিনীর বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে পাবনা সদর উপজেলার নাজিরপুর আফতাবের মোড়ে ।

ঘটনার কারণ হিসেবে প্রত্যক্ষদোর্শী ও আহতর ভাই মোঃ জসিম উদ্দিন জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তার ভাই মোঃ জনির সাথে নিয়ামত উল্লাহপুরের বাবু সরদারের ছেলে বাপ্পি বাহিনীর বিরোধ চলে আসছিল ।‌ এর আগে বেশ কয়েকবার বাপ্পি বাহিনী এই জনির উপর হামলা ও তাকে মারধর করার চেষ্টা করে । কিন্তু ভাগ্যক্রমে সেবার জনি‌ মারধরের হাত থেকে বেঁচে যায় । এরই জেরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বাপ্পি বাহিনীর সাথে মোঃ জনির কথা কাটাকাটি একপর্যায়ে হাতাহাতি বেধে গেলে আশপাশের লোকজন তাদেরকে থামায় ।

এরপরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাপ্পি বাহিনী গত ১৭ ই ফেব্রুয়ারি রাতে তার আরো ১০/১৫ জন সহযোগী নিয়ে নাজিরপুর আফতাবের মোড়ে অবস্থান নেয়। কৌশলে জনির পরিচিত একজনকে দিয়ে চা খাওয়ানোর নাম করে পাশের আড়ালের একটি চায়ের দোকানে জনিকে ডেকে নিয়ে আসে । জনি কথামতো সেখানে উপস্থিত হলে পূর্ব থেকেই ওত পেতে থাকা বাপ্পি বাহিনীর সদস্যরা হাতুড়ি ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে জনিকে পিটাতে ও কুপাতে থাকে । এই ঘটনায় জনি কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে প্রায় ১০-১৫ জন অস্ত্র ও হাতুড়ি দিয়ে পিটাতে থাকলে এক পর্যায়ে জনির চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন সেখানে উপস্থিত হয় । আশপাশের লোকজনের আসার খবর বুঝতে পেরে বাপ্পি বাহিনী জনিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ।

লোকজন দেখতে পায় জনি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে আছে । এ ঘটনায় জনির শরীরে ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ির আঘাতে তার মাথা কেটে যাওয়াসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে বড় বড় ক্ষতের সৃষ্টি  ও জখম হয়ে গেছে । তখন তারা জনির পরিবারকে খবর দিলে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে জনিকে উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে ।

এ ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর জনির মাথায় প্রায় দশটি সেলাই দেওয়া হয়েছে ও সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ।

ঘটনার পর থেকে এলাকার ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক নিন্দার ঝড় উঠেছে । সাধারণ এলাকাবাসী বলছে এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা খুবই দুঃখজনক । জনির মত একজন দিনমজুর নিরপরাধ ছেলেকে এভাবে মারধরের ঘটনায় আমরা চরম নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি ‌। সেই সাথে পাবনা পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন ঘটনার সাথে জড়িতদের অতি দ্রুত গ্রেফতার করা হয় ।

উল্লেখ্য এ ঘটনায় জনির সাথে থাকা  তার আরেকজন বন্ধু জনিকে বাঁচাতে গেলে তাকেও বাপ্পি বাহিনীর লোকজন পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এই ঘটনায় সেও গুরুতর আহত হয়ে জনির সাথে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

এ ব্যাপারে জনির পরিবারের সাথে কথা হলে তারা জানান , জনিকে এভাবে মারধর করা হলো এই ঘটনার আমরা সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি । আমরা প্রতিনিয়ত বাপ্পি বাহিনীর ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এই ভেবে কখন জানি আমাদের উপর হামলা হয়। তাই আমরা এ ঘটনায় পাবনা পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সাথে জড়িত বাপ্পি বাহিনীর সদস্যদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

পূর্ব শত্রুতার জেরে জনিকে হাতুড়ি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে বাপ্পি বাহিনী 

প্রকাশিত সময় ০৯:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

পূর্ব শত্রুতার জেরে নাজিরপুরে চায়ের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে দুই যুবককে হাতুড়ি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বাপ্পি বাহিনীর বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে পাবনা সদর উপজেলার নাজিরপুর আফতাবের মোড়ে ।

ঘটনার কারণ হিসেবে প্রত্যক্ষদোর্শী ও আহতর ভাই মোঃ জসিম উদ্দিন জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তার ভাই মোঃ জনির সাথে নিয়ামত উল্লাহপুরের বাবু সরদারের ছেলে বাপ্পি বাহিনীর বিরোধ চলে আসছিল ।‌ এর আগে বেশ কয়েকবার বাপ্পি বাহিনী এই জনির উপর হামলা ও তাকে মারধর করার চেষ্টা করে । কিন্তু ভাগ্যক্রমে সেবার জনি‌ মারধরের হাত থেকে বেঁচে যায় । এরই জেরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বাপ্পি বাহিনীর সাথে মোঃ জনির কথা কাটাকাটি একপর্যায়ে হাতাহাতি বেধে গেলে আশপাশের লোকজন তাদেরকে থামায় ।

এরপরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাপ্পি বাহিনী গত ১৭ ই ফেব্রুয়ারি রাতে তার আরো ১০/১৫ জন সহযোগী নিয়ে নাজিরপুর আফতাবের মোড়ে অবস্থান নেয়। কৌশলে জনির পরিচিত একজনকে দিয়ে চা খাওয়ানোর নাম করে পাশের আড়ালের একটি চায়ের দোকানে জনিকে ডেকে নিয়ে আসে । জনি কথামতো সেখানে উপস্থিত হলে পূর্ব থেকেই ওত পেতে থাকা বাপ্পি বাহিনীর সদস্যরা হাতুড়ি ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে জনিকে পিটাতে ও কুপাতে থাকে । এই ঘটনায় জনি কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে প্রায় ১০-১৫ জন অস্ত্র ও হাতুড়ি দিয়ে পিটাতে থাকলে এক পর্যায়ে জনির চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন সেখানে উপস্থিত হয় । আশপাশের লোকজনের আসার খবর বুঝতে পেরে বাপ্পি বাহিনী জনিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ।

লোকজন দেখতে পায় জনি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে আছে । এ ঘটনায় জনির শরীরে ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ির আঘাতে তার মাথা কেটে যাওয়াসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে বড় বড় ক্ষতের সৃষ্টি  ও জখম হয়ে গেছে । তখন তারা জনির পরিবারকে খবর দিলে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে জনিকে উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে ।

এ ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর জনির মাথায় প্রায় দশটি সেলাই দেওয়া হয়েছে ও সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ।

ঘটনার পর থেকে এলাকার ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক নিন্দার ঝড় উঠেছে । সাধারণ এলাকাবাসী বলছে এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা খুবই দুঃখজনক । জনির মত একজন দিনমজুর নিরপরাধ ছেলেকে এভাবে মারধরের ঘটনায় আমরা চরম নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি ‌। সেই সাথে পাবনা পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন ঘটনার সাথে জড়িতদের অতি দ্রুত গ্রেফতার করা হয় ।

উল্লেখ্য এ ঘটনায় জনির সাথে থাকা  তার আরেকজন বন্ধু জনিকে বাঁচাতে গেলে তাকেও বাপ্পি বাহিনীর লোকজন পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এই ঘটনায় সেও গুরুতর আহত হয়ে জনির সাথে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

এ ব্যাপারে জনির পরিবারের সাথে কথা হলে তারা জানান , জনিকে এভাবে মারধর করা হলো এই ঘটনার আমরা সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি । আমরা প্রতিনিয়ত বাপ্পি বাহিনীর ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এই ভেবে কখন জানি আমাদের উপর হামলা হয়। তাই আমরা এ ঘটনায় পাবনা পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সাথে জড়িত বাপ্পি বাহিনীর সদস্যদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।