ঢাকা ০২:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

শ্বশুড় বাড়িতে মারধোর, নিখোঁজ বাক প্রতিবন্ধী যুবকের সন্ধান মেলেনি ১৩ দিনেও

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশিত সময় ১২:৩৯:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩
  • / 397

চাটমোহর: নিখোঁজ রিপন (২৫)।


শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে মারধোরের শিকার হওয়া পাবনার চাটমোহরের এক বাক প্রতিবন্ধী যুবক ১৩ দিন যাবত নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ যুবক রিপন (২৫) চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের ধরইল গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। পেশায় সে একজন চাল কল কর্মী। এ ঘটনায় পুত্র বধু লিজা আকতার, লিজার মা রাশিদা বেগম ও লিজার বাবা মালূ মিয়াকে বিবাদী করে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় একটি অভযোগ করেছেন রিপনের বাবা সিরাজুল ইসলাম।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মার্চ বিকেলে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের নাজিরপুর কুমিল্লা পাড়ায় শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায় রিপন। রিপনের স্ত্রী লিজা আকতার (২০) ও তখন নাজিরপুর কুমিল্লা পাড়ায় তার বাবার বাড়িতে ছিলেন। ১০ মার্চ সিরাজুল ইসলাম তার ছেলে রিপন ও তার লিজা আকতারকে আনতে নাজির পুর যান। সেখানে গেলে লিজার বাবা-মা জানান রিপন বাড়ি চলে গেছে। সিরাজুল বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন রিপন তখনও বাড়িতে পৌছেনি। তিনি এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানতে পারেন ৯ মার্চ রাতে শ্বশুর বাড়িতে রিপনকে মারধোর করে লিজার পরিবারের সদস্যরা। 

সিরাজুল ইসলাম জানান, আত্মীয় স্বজনের বাড়িসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ খবর করেও আমার ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছি না। বাক প্রতিবন্ধী হলেও জ্ঞানবুদ্ধি আছে আমার ছেলের। চাটমোহর পৌর সদরের চাল কলে কাজ করে সে। নিখোঁজ হবার পর ১১ মার্চ বড়াইগ্রাম থানায় গেলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজার পরামর্শ দেন। কোথাও খুঁজে না পেয়ে গত ১৩ মার্চ সোমবার লিখিত অভিযোগ করি। তিনি আরো জানান, ১১ মার্চ শনিবার জোনাইলের বড়ইতলা, পাগলা বাজার, নাজিরপুর স্কুল এলাকায় আমার ছেলেকে অনেকে দেখেছেন বলে জানান।

লিজার বাবা মালূ মিয়া জানান, ১১ মার্চে বিভিন্ন এলাকায় আমার জামাইকে দেখেছে মানুষ। তার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। সন্ধান চেয়ে আমি মাইকিং পর্যন্ত করেছি। এখনো সন্ধান করছি। মারধোরের বিষয়টি সঠিক নয়।   

এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি শ্বশুর বাড়িতে মারধোরের পর রিপন নিজ বাড়িতে পৌছে তার বাবা মাকে বিষয়টি অবগত করেছে। ব্যাপারটি রহস্যজনক। আমরা নিখোঁজ যুবক রিপনের সন্ধান করছি। চাটমোহর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন জানান, নিখোঁজ যুবকের বাবার মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়েছি।

এই রকম আরও টপিক

শ্বশুড় বাড়িতে মারধোর, নিখোঁজ বাক প্রতিবন্ধী যুবকের সন্ধান মেলেনি ১৩ দিনেও

প্রকাশিত সময় ১২:৩৯:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩

শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে মারধোরের শিকার হওয়া পাবনার চাটমোহরের এক বাক প্রতিবন্ধী যুবক ১৩ দিন যাবত নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ যুবক রিপন (২৫) চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের ধরইল গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। পেশায় সে একজন চাল কল কর্মী। এ ঘটনায় পুত্র বধু লিজা আকতার, লিজার মা রাশিদা বেগম ও লিজার বাবা মালূ মিয়াকে বিবাদী করে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় একটি অভযোগ করেছেন রিপনের বাবা সিরাজুল ইসলাম।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মার্চ বিকেলে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের নাজিরপুর কুমিল্লা পাড়ায় শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায় রিপন। রিপনের স্ত্রী লিজা আকতার (২০) ও তখন নাজিরপুর কুমিল্লা পাড়ায় তার বাবার বাড়িতে ছিলেন। ১০ মার্চ সিরাজুল ইসলাম তার ছেলে রিপন ও তার লিজা আকতারকে আনতে নাজির পুর যান। সেখানে গেলে লিজার বাবা-মা জানান রিপন বাড়ি চলে গেছে। সিরাজুল বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন রিপন তখনও বাড়িতে পৌছেনি। তিনি এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানতে পারেন ৯ মার্চ রাতে শ্বশুর বাড়িতে রিপনকে মারধোর করে লিজার পরিবারের সদস্যরা। 

সিরাজুল ইসলাম জানান, আত্মীয় স্বজনের বাড়িসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ খবর করেও আমার ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছি না। বাক প্রতিবন্ধী হলেও জ্ঞানবুদ্ধি আছে আমার ছেলের। চাটমোহর পৌর সদরের চাল কলে কাজ করে সে। নিখোঁজ হবার পর ১১ মার্চ বড়াইগ্রাম থানায় গেলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজার পরামর্শ দেন। কোথাও খুঁজে না পেয়ে গত ১৩ মার্চ সোমবার লিখিত অভিযোগ করি। তিনি আরো জানান, ১১ মার্চ শনিবার জোনাইলের বড়ইতলা, পাগলা বাজার, নাজিরপুর স্কুল এলাকায় আমার ছেলেকে অনেকে দেখেছেন বলে জানান।

লিজার বাবা মালূ মিয়া জানান, ১১ মার্চে বিভিন্ন এলাকায় আমার জামাইকে দেখেছে মানুষ। তার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। সন্ধান চেয়ে আমি মাইকিং পর্যন্ত করেছি। এখনো সন্ধান করছি। মারধোরের বিষয়টি সঠিক নয়।   

এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি শ্বশুর বাড়িতে মারধোরের পর রিপন নিজ বাড়িতে পৌছে তার বাবা মাকে বিষয়টি অবগত করেছে। ব্যাপারটি রহস্যজনক। আমরা নিখোঁজ যুবক রিপনের সন্ধান করছি। চাটমোহর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন জানান, নিখোঁজ যুবকের বাবার মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়েছি।