ঢাকা ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ট্রাফিক সিগন্যাল লাইট নিয়ে পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৫:২৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩
  • / 116

রংপুর মহানগরীতে দিন দিন বাড়ছে যানজট। তীব্র যানজটের কারণে নাকাল হয়ে পড়েছেন নগরবাসী। পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে থাকলেও যানজট পরিস্থিতি অনেকটাই অনিয়ন্ত্রিত। ইশারা করে, বাঁশি বাজিয়ে যানজট নিয়ন্ত্রণে হাঁপিয়ে উঠেছে ট্রাফিক পুলিশ। অথচ নগরীতে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল পোস্ট স্থাপনের এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও চালুর কোনো উদ্যোগ নেই।

এ নিয়ে সিটি করপোরেশনের ওপর দায় চাপিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রংপুর মহানগর পুলিশ (আরপিএমপি)। অপরদিকে সিটি করপোরেশন উল্টো দায় চাপিয়েছে আরপিএমপিকে। পাল্টাপাল্টি দায় না চাপিয়ে  ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল পোস্ট চালুর দাবি সচেতন মহলের।  


জানা গেছে, রংপুর মহানগরীতে যানজট নিরসনে সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা পরীক্ষামূলকভাবে পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড় ও লালকুঠি মোড় এলাকায় ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল পোস্ট স্থাপনের উদ্যোগ নেন। এ লক্ষ্যে ২০২১ সালের ২৮ জুন লালকুঠি মোড়ে অবৈধ দখলদারদের ১৩টি দোকানপাট উচ্ছেদ করেন সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২০২২ সালের শুরুতে ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল পোস্ট স্থাপন করা হয় ওই তিন স্থানে।

নগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড় ও লালকুঠি মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যাল পরিচালনায় বসানো হয় যন্ত্রপাতি। পায়রা চত্বরে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যালের লাইটপোস্টগুলো স্থাপন করা হলেও পরবর্তী সময়ে সেগুলো সরিয়ে নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়ে স্থাপন করা হয়। বর্তমানে এসব সিগন্যাল পোস্ট চালু না হওয়ায় ৩৪ লাখ টাকার সুফল পাচ্ছেন না নগরবাসী।

এদিকে সরেজমিন দেখা গেছে, নগরীর যানজট কমাতে ট্রাফিক পুলিশকে লাঠি দিয়ে ইশারা করে, বাঁশি বাজিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, রাস্তার ধুলাবালির মাঝে যানজট নিরসনে কাজ করে যাওয়া ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। সনাতনী পদ্ধতিতে যানজট নিরসন করতে গিয়ে অনেক সময় যানবাহনগুলোর ধাক্কায় অনেক ট্রাফিক পুলিশকে আহত হতে হয়েছে।


রংপুর মহানগরীতে যানজট নিরসনে নির্দিষ্ট লেন ব্যবহারে বাধ্যবাধকতাসহ যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা ও রাস্তার ধারে দোকানপাট বন্ধ অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ট্রাফিক আইন মেনে চলাচলের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ প্রয়োগে তৎপরতাও চালাচ্ছেন। তারপরও অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন নির্দিষ্ট লেন ব্যবহার না করার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে, যানজট বাড়ছে।

রংপুর নগরীর সাহেবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আমির হোসেন রিংকু বলেন, রংপুর নগরীতে যানজট এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। নগরীর তিনটি পয়েন্টে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন করা হলেও সেটি আজও চালু হয়নি। দেশ ডিজিটাল হলেও রংপুরের ট্রাফিক ব্যবস্থা কেন ডিজিটাল হচ্ছে না।

রংপুর ট্রাফিক বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. মেনহাজুল আলম বলেন, ‘সিটি করপোরেশন আমাদেরকে বলে নাই কাজ শুরু করার।’


এ ব্যাপারে রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান সময় সংবাদকে বলেন, ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপনের পর কিছু ত্রুটির কথা জানায় ট্রাফিক বিভাগ। বিষয়টি ঢাকার সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে জানালে তারা রংপুরে এসে সিগন্যালের ত্রুটিগুলো সারিয়ে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এখন লাইটের সবকিছু পরীক্ষা করে ওকে করে একটি চলতি বিল দিয়েছি কিন্তু ফাইনাল বিল দিই নাই। ট্রাফিক বিভাগ বলছে আমরা যেদিন চালু করার তারিখ দিব সেদিন চালু করবেন।’

এই রকম আরও টপিক

ট্রাফিক সিগন্যাল লাইট নিয়ে পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

প্রকাশিত সময় ০৫:২৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩

রংপুর মহানগরীতে দিন দিন বাড়ছে যানজট। তীব্র যানজটের কারণে নাকাল হয়ে পড়েছেন নগরবাসী। পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে থাকলেও যানজট পরিস্থিতি অনেকটাই অনিয়ন্ত্রিত। ইশারা করে, বাঁশি বাজিয়ে যানজট নিয়ন্ত্রণে হাঁপিয়ে উঠেছে ট্রাফিক পুলিশ। অথচ নগরীতে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল পোস্ট স্থাপনের এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও চালুর কোনো উদ্যোগ নেই।

এ নিয়ে সিটি করপোরেশনের ওপর দায় চাপিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রংপুর মহানগর পুলিশ (আরপিএমপি)। অপরদিকে সিটি করপোরেশন উল্টো দায় চাপিয়েছে আরপিএমপিকে। পাল্টাপাল্টি দায় না চাপিয়ে  ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল পোস্ট চালুর দাবি সচেতন মহলের।  


জানা গেছে, রংপুর মহানগরীতে যানজট নিরসনে সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা পরীক্ষামূলকভাবে পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড় ও লালকুঠি মোড় এলাকায় ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল পোস্ট স্থাপনের উদ্যোগ নেন। এ লক্ষ্যে ২০২১ সালের ২৮ জুন লালকুঠি মোড়ে অবৈধ দখলদারদের ১৩টি দোকানপাট উচ্ছেদ করেন সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২০২২ সালের শুরুতে ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল পোস্ট স্থাপন করা হয় ওই তিন স্থানে।

নগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড় ও লালকুঠি মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যাল পরিচালনায় বসানো হয় যন্ত্রপাতি। পায়রা চত্বরে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যালের লাইটপোস্টগুলো স্থাপন করা হলেও পরবর্তী সময়ে সেগুলো সরিয়ে নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়ে স্থাপন করা হয়। বর্তমানে এসব সিগন্যাল পোস্ট চালু না হওয়ায় ৩৪ লাখ টাকার সুফল পাচ্ছেন না নগরবাসী।

এদিকে সরেজমিন দেখা গেছে, নগরীর যানজট কমাতে ট্রাফিক পুলিশকে লাঠি দিয়ে ইশারা করে, বাঁশি বাজিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, রাস্তার ধুলাবালির মাঝে যানজট নিরসনে কাজ করে যাওয়া ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। সনাতনী পদ্ধতিতে যানজট নিরসন করতে গিয়ে অনেক সময় যানবাহনগুলোর ধাক্কায় অনেক ট্রাফিক পুলিশকে আহত হতে হয়েছে।


রংপুর মহানগরীতে যানজট নিরসনে নির্দিষ্ট লেন ব্যবহারে বাধ্যবাধকতাসহ যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা ও রাস্তার ধারে দোকানপাট বন্ধ অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ট্রাফিক আইন মেনে চলাচলের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ প্রয়োগে তৎপরতাও চালাচ্ছেন। তারপরও অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন নির্দিষ্ট লেন ব্যবহার না করার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে, যানজট বাড়ছে।

রংপুর নগরীর সাহেবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আমির হোসেন রিংকু বলেন, রংপুর নগরীতে যানজট এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। নগরীর তিনটি পয়েন্টে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন করা হলেও সেটি আজও চালু হয়নি। দেশ ডিজিটাল হলেও রংপুরের ট্রাফিক ব্যবস্থা কেন ডিজিটাল হচ্ছে না।

রংপুর ট্রাফিক বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. মেনহাজুল আলম বলেন, ‘সিটি করপোরেশন আমাদেরকে বলে নাই কাজ শুরু করার।’


এ ব্যাপারে রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান সময় সংবাদকে বলেন, ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপনের পর কিছু ত্রুটির কথা জানায় ট্রাফিক বিভাগ। বিষয়টি ঢাকার সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে জানালে তারা রংপুরে এসে সিগন্যালের ত্রুটিগুলো সারিয়ে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এখন লাইটের সবকিছু পরীক্ষা করে ওকে করে একটি চলতি বিল দিয়েছি কিন্তু ফাইনাল বিল দিই নাই। ট্রাফিক বিভাগ বলছে আমরা যেদিন চালু করার তারিখ দিব সেদিন চালু করবেন।’