ঢাকা ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে নামানো হলো সেনাবাহিনী

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০২:০৫:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / 55

টানা চারদিন ধরে রাঙ্গামাটিতে চলছে ভারী বর্ষণ। এতে পাহাড় ধসের শঙ্কা বেড়ে গেছে বহুগুণ। ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে সহায়তা দিচ্ছে সেনাবাহিনী। কোন মানুষই যাতে ঝুঁকিতে না থাকে সেজন্য সমন্বিতভাবে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

গত চার দিন ধরে রাঙ্গামাটিতে চলছে ভারী বর্ষণ। ফলে দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের শঙ্কা। রাঙামাটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, শনিবার সকাল ৬টা থেকে থেকে সন্ধ্যায় ৬ পর্যন্ত ৬৪.০৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাই ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে করা হয়েছে
মাইকিং। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চালানো হয় নানা প্রচেষ্টা। কিন্তু তাতে সাড়া দিচ্ছিলেন না বাসবাসকারীরা। শত প্রচেষ্টার পরও অধিকাংশ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে ব্যর্থ হয় প্রশাসন। অবশেষে নেয়া হয় সেনাবাহিনীর সহায়তা।


শনিবার রাত জেলা প্রশাসনের সাথে মাঠে নামে সেনাবাহিনী। বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে নিয়ে আসা হয় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে। তাতেও নানার টালবাহানা স্থানীয়দের।


রমিজ আক্তার নামে একজন বলেন, আমার ঘর আমি বানিয়েছি, এটা ছেড়ে আমি কোথাও যাবো না, মরলে এখানেই মরবো।


শিমুলতলীর বাসিন্দা আক্কাস আলী বলেন, আপনারা কি আমাকে জোর করে আশ্রয় কেন্দ্র নিয়ে যাবেন? আমার ঘরের এতো মালামাল কি আপনারা পাহারা দিবেন?

সাইদুল হোসেন বলেন, রাতে সেনাবাহিনী গিয়ে আমাদের বাসা থেকে আশ্রয় কেন্দ্র নিয়ে এসেছে।

রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহম্মেদ বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলার সকল থানায় পুলিশ সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রের নিরাপত্তায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক  মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, কোন মানুষই যাতে ঝুঁকির
মধ্যে না থাকে সেই জন্য কাজ করা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষে সরিয়ে নিতে আমরা সেনাবাহিনীর সহায়তা নিয়েছি। তারা আমাদের সাথে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্র পাঠাচ্ছেন। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খাবার, পানি, বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকল কাজ তদারকি করার জন্য আমি নিজে ও চার জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করছে। আমরা চাই না পাহাড় ধস হোক, বা এতে কোন প্রাণহানি ঘটুক।

যে কোন দুর্ঘটনায় মোকাবেলায় প্রস্তুতির কথা জানালেন রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক দি-দারুল আলম। তিনি বলেন, টানা কয়েক দিন ধরে চলছে ভারী বর্ষণ। তাই আমরা প্রতিদিন প্রশাসনের সাথে কাজ করে যাচ্ছি। যদি পাহাড়-ধস হয় তাহলে আমরা দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারবো। বেশ কয়েটি টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আমরা চাই না কোন বিপর্যয় ঘটুক। যদি ঘটে উদ্ধার কাজ চালানোর সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।


রাঙামাটিতে ২০১৭ সালে পাহাড় ধসে ১২০ এবং ২০১৮ সালে ১১ জনের মৃত্যু হয়।

এই রকম আরও টপিক

ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে নামানো হলো সেনাবাহিনী

প্রকাশিত সময় ০২:০৫:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩

টানা চারদিন ধরে রাঙ্গামাটিতে চলছে ভারী বর্ষণ। এতে পাহাড় ধসের শঙ্কা বেড়ে গেছে বহুগুণ। ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে সহায়তা দিচ্ছে সেনাবাহিনী। কোন মানুষই যাতে ঝুঁকিতে না থাকে সেজন্য সমন্বিতভাবে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

গত চার দিন ধরে রাঙ্গামাটিতে চলছে ভারী বর্ষণ। ফলে দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের শঙ্কা। রাঙামাটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, শনিবার সকাল ৬টা থেকে থেকে সন্ধ্যায় ৬ পর্যন্ত ৬৪.০৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাই ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে করা হয়েছে
মাইকিং। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চালানো হয় নানা প্রচেষ্টা। কিন্তু তাতে সাড়া দিচ্ছিলেন না বাসবাসকারীরা। শত প্রচেষ্টার পরও অধিকাংশ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে ব্যর্থ হয় প্রশাসন। অবশেষে নেয়া হয় সেনাবাহিনীর সহায়তা।


শনিবার রাত জেলা প্রশাসনের সাথে মাঠে নামে সেনাবাহিনী। বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে নিয়ে আসা হয় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে। তাতেও নানার টালবাহানা স্থানীয়দের।


রমিজ আক্তার নামে একজন বলেন, আমার ঘর আমি বানিয়েছি, এটা ছেড়ে আমি কোথাও যাবো না, মরলে এখানেই মরবো।


শিমুলতলীর বাসিন্দা আক্কাস আলী বলেন, আপনারা কি আমাকে জোর করে আশ্রয় কেন্দ্র নিয়ে যাবেন? আমার ঘরের এতো মালামাল কি আপনারা পাহারা দিবেন?

সাইদুল হোসেন বলেন, রাতে সেনাবাহিনী গিয়ে আমাদের বাসা থেকে আশ্রয় কেন্দ্র নিয়ে এসেছে।

রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহম্মেদ বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলার সকল থানায় পুলিশ সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রের নিরাপত্তায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক  মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, কোন মানুষই যাতে ঝুঁকির
মধ্যে না থাকে সেই জন্য কাজ করা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষে সরিয়ে নিতে আমরা সেনাবাহিনীর সহায়তা নিয়েছি। তারা আমাদের সাথে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্র পাঠাচ্ছেন। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খাবার, পানি, বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকল কাজ তদারকি করার জন্য আমি নিজে ও চার জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করছে। আমরা চাই না পাহাড় ধস হোক, বা এতে কোন প্রাণহানি ঘটুক।

যে কোন দুর্ঘটনায় মোকাবেলায় প্রস্তুতির কথা জানালেন রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক দি-দারুল আলম। তিনি বলেন, টানা কয়েক দিন ধরে চলছে ভারী বর্ষণ। তাই আমরা প্রতিদিন প্রশাসনের সাথে কাজ করে যাচ্ছি। যদি পাহাড়-ধস হয় তাহলে আমরা দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারবো। বেশ কয়েটি টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আমরা চাই না কোন বিপর্যয় ঘটুক। যদি ঘটে উদ্ধার কাজ চালানোর সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।


রাঙামাটিতে ২০১৭ সালে পাহাড় ধসে ১২০ এবং ২০১৮ সালে ১১ জনের মৃত্যু হয়।