ঢাকা ০৫:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

বিশ্বকাপ ট্রফি দেখতে বসুন্ধরা সিটিতে উপচেপড়া ভিড়

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০২:৪৫:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / 53

ক্রিকেটপ্রেমী বাঙালিদের কাছে বিশ্বকাপ ট্রফি যেন এক উন্মাদনার নাম হয়ে এসেছে। যার প্রকৃত চিত্র ফুটে উঠেছে বসুন্ধরা শপিংমল সেন্টারে। হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেছেন একনজর স্বপ্নের শিরোপা দেখতে। সেজন্য অনেকে দাঁড়িয়েছেন লাইনেও।

বুধবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর বসুন্ধরা শপিংমল সেন্টারে সকাল ১১টায় জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় বাংলাদেশে সফররত ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফি। তিন দিনের সফরের শেষ দিন আজ। এরপরেই বিশ্ব ভ্রমণের অংশ হিসেবে ট্রফিটি চলে যাবে কুয়েতে।

বসুন্ধরা সিটিতে বিশ্বকাপ ট্রফি দেখতে আসা ক্রিকেটপ্রেমী মাহমুদ সজলের সঙ্গে কথা হয় সময় সংবাদের। মিরপুর থেকে তিনি এসেছেন ট্রফি দেখতে। সজল বলেন, ‘দুই দিন ধরে বিশ্বকাপ ট্রফির ফটোসেশন ও নানা আয়োজন দেখছিলাম। খুব এক্সাইটেড ছিলাম কবে বসুন্ধরায় আসবে। একটা ছবি তুলবো। তারপর যখনই আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জন্য ট্রফিটি বসুন্ধরা সিটিতে নিয়ে আসা হলো, তখনই এক নজর ট্রফিটি দেখতে চলে আসলাম।’


কথা হয় আরেক ক্রিকেটপ্রেমী রতন দেওয়ানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দুই ঘন্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় আছি। এখনো ছবি তুলতে পারিনি। দূর থেকে দেখেই প্রাণ জুড়িয়ে গেছে। বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে একটা ছবি তুলতে পারলেই জীবনটা সার্থক হবে।’

এ সময় কথা হয় বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরিরত আদনান সামির সঙ্গে। সামি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভক্ত। প্রায় সব খেলা দেখি। আর বিশ্বকাপ তো এক আলাদা উত্তেজনার বিষয়। সেই বিশ্বকাপের ট্রফি যখন বাংলাদেশে আছে, জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। তাহলে তো সুযোগটা মিস করা যায় না। এজন্যই অফিস থেকে ছুটি নিয়ে চলে এসেছি। এখনো ছবি তুলতে পারিনি। আশা করি, স্বপ্নের ট্রফির সঙ্গে দূর থেকে হলেও একটা ছবি তুলতে পারবো।’

এমন অসংখ্য ক্রিকেটপাগল ভক্ত বিশ্বকাপে শিরোপা একনজর দেখতে বসুন্ধরা শপিংমল সেন্টারে এসেছেন। এ ট্রফি দেখা যাবে রাত ৮টা পর্যন্ত। ট্রফি দেখার বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, নির্দিষ্ট একটি দূরত্বে থেকে ভক্তরা বিশ্বকাপ শিরোপার সঙ্গে ছবি তুলতে পারবেন। এজন্য কোনো টিকিট লাগবে না। অধিক সংখ্যক মানুষকে ট্রফি দেখা ও ছবি তোলার সুযোগ করে দিতেই বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে ট্রফি প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এর আগে বাংলাদেশে বিশ্বকাপ ট্রফির তিন দিনের সফরের প্রথম দিনে সোমবার (৭ আগস্ট) পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের ১ নাম্বার পিলারের পাশে উন্মুক্ত করা হয়। সে দিন বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হয়েছিল বিশ্বকাপ ট্রফির আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন।


শুরুতে হেলিকপ্টারে আসার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথে পদ্মা সেতুতে নিয়ে যাওয়া হয় বিশ্বকাপ ট্রফি। সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি ও মেঘলা আকাশের কারণে নির্ধারিত সময় ৩ টার পরিবর্তে বেলা সাড়ে ৪টায় শুরু হয় ফটোসেশন। অনেক জল্পনা-কল্পনা শেষে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই শেষ হয় প্রথমদিনের বিশ্বকাপ ট্রফির কার্যক্রম।

এরপর মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে বিশ্বকাপ ট্রফির দ্বিতীয় দিনে ফটোসেশন চলে হোম অব ক্রিকেট মিরপুর স্টেডিয়ামে। সকাল ৮টা ৩৭ মিনিটে মিরপুরে ট্রফি আসলেও ফটোসেশন শুরু হয় ৯ টা ৪০ মিনিটে। ওইদিন শুরুতে বাংলাদেশ জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দল স্টেডিয়ামের মাঠেই ফটোসেশন করেন। পরে নারী ক্রিকেট দল, বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটার, অফিসিয়াল, সংগঠক ও গণমাধ্যমের জন্য ট্রফিটি উন্মুক্ত করা হয়েছিল।

বুধবার (৯ আগস্ট) বিশ্বকাপ ট্রফির বাংলাদেশ ভ্রমণের শেষ দিন। বসুন্ধরা সিটিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জনসাধারণ ট্রফিটি দেখার পরে ট্রফিটি চলে যাবে কুয়েতে।

এই রকম আরও টপিক

বিশ্বকাপ ট্রফি দেখতে বসুন্ধরা সিটিতে উপচেপড়া ভিড়

প্রকাশিত সময় ০২:৪৫:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩

ক্রিকেটপ্রেমী বাঙালিদের কাছে বিশ্বকাপ ট্রফি যেন এক উন্মাদনার নাম হয়ে এসেছে। যার প্রকৃত চিত্র ফুটে উঠেছে বসুন্ধরা শপিংমল সেন্টারে। হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেছেন একনজর স্বপ্নের শিরোপা দেখতে। সেজন্য অনেকে দাঁড়িয়েছেন লাইনেও।

বুধবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর বসুন্ধরা শপিংমল সেন্টারে সকাল ১১টায় জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় বাংলাদেশে সফররত ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফি। তিন দিনের সফরের শেষ দিন আজ। এরপরেই বিশ্ব ভ্রমণের অংশ হিসেবে ট্রফিটি চলে যাবে কুয়েতে।

বসুন্ধরা সিটিতে বিশ্বকাপ ট্রফি দেখতে আসা ক্রিকেটপ্রেমী মাহমুদ সজলের সঙ্গে কথা হয় সময় সংবাদের। মিরপুর থেকে তিনি এসেছেন ট্রফি দেখতে। সজল বলেন, ‘দুই দিন ধরে বিশ্বকাপ ট্রফির ফটোসেশন ও নানা আয়োজন দেখছিলাম। খুব এক্সাইটেড ছিলাম কবে বসুন্ধরায় আসবে। একটা ছবি তুলবো। তারপর যখনই আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জন্য ট্রফিটি বসুন্ধরা সিটিতে নিয়ে আসা হলো, তখনই এক নজর ট্রফিটি দেখতে চলে আসলাম।’


কথা হয় আরেক ক্রিকেটপ্রেমী রতন দেওয়ানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দুই ঘন্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় আছি। এখনো ছবি তুলতে পারিনি। দূর থেকে দেখেই প্রাণ জুড়িয়ে গেছে। বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে একটা ছবি তুলতে পারলেই জীবনটা সার্থক হবে।’

এ সময় কথা হয় বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরিরত আদনান সামির সঙ্গে। সামি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভক্ত। প্রায় সব খেলা দেখি। আর বিশ্বকাপ তো এক আলাদা উত্তেজনার বিষয়। সেই বিশ্বকাপের ট্রফি যখন বাংলাদেশে আছে, জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। তাহলে তো সুযোগটা মিস করা যায় না। এজন্যই অফিস থেকে ছুটি নিয়ে চলে এসেছি। এখনো ছবি তুলতে পারিনি। আশা করি, স্বপ্নের ট্রফির সঙ্গে দূর থেকে হলেও একটা ছবি তুলতে পারবো।’

এমন অসংখ্য ক্রিকেটপাগল ভক্ত বিশ্বকাপে শিরোপা একনজর দেখতে বসুন্ধরা শপিংমল সেন্টারে এসেছেন। এ ট্রফি দেখা যাবে রাত ৮টা পর্যন্ত। ট্রফি দেখার বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, নির্দিষ্ট একটি দূরত্বে থেকে ভক্তরা বিশ্বকাপ শিরোপার সঙ্গে ছবি তুলতে পারবেন। এজন্য কোনো টিকিট লাগবে না। অধিক সংখ্যক মানুষকে ট্রফি দেখা ও ছবি তোলার সুযোগ করে দিতেই বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে ট্রফি প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এর আগে বাংলাদেশে বিশ্বকাপ ট্রফির তিন দিনের সফরের প্রথম দিনে সোমবার (৭ আগস্ট) পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের ১ নাম্বার পিলারের পাশে উন্মুক্ত করা হয়। সে দিন বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হয়েছিল বিশ্বকাপ ট্রফির আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন।


শুরুতে হেলিকপ্টারে আসার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথে পদ্মা সেতুতে নিয়ে যাওয়া হয় বিশ্বকাপ ট্রফি। সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি ও মেঘলা আকাশের কারণে নির্ধারিত সময় ৩ টার পরিবর্তে বেলা সাড়ে ৪টায় শুরু হয় ফটোসেশন। অনেক জল্পনা-কল্পনা শেষে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই শেষ হয় প্রথমদিনের বিশ্বকাপ ট্রফির কার্যক্রম।

এরপর মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে বিশ্বকাপ ট্রফির দ্বিতীয় দিনে ফটোসেশন চলে হোম অব ক্রিকেট মিরপুর স্টেডিয়ামে। সকাল ৮টা ৩৭ মিনিটে মিরপুরে ট্রফি আসলেও ফটোসেশন শুরু হয় ৯ টা ৪০ মিনিটে। ওইদিন শুরুতে বাংলাদেশ জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দল স্টেডিয়ামের মাঠেই ফটোসেশন করেন। পরে নারী ক্রিকেট দল, বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটার, অফিসিয়াল, সংগঠক ও গণমাধ্যমের জন্য ট্রফিটি উন্মুক্ত করা হয়েছিল।

বুধবার (৯ আগস্ট) বিশ্বকাপ ট্রফির বাংলাদেশ ভ্রমণের শেষ দিন। বসুন্ধরা সিটিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জনসাধারণ ট্রফিটি দেখার পরে ট্রফিটি চলে যাবে কুয়েতে।