ঢাকা ০৭:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ভাঙ্গুড়ায় মাসোয়ারা দিয়ে চলছে নিষিদ্ধ পলিথিনের রমরমা ব্যবসা

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় ০৮:২৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
  • / 51



পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নির্বিঘ্নে মাসোয়ারা দিয়ে চলছে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের জমজমাট ব্যবসা।

বিপুল পরিমান নিষিদ্ধ পলিথিন ট্রাক যোগে এনে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন বছরের পর বছর। কিন্তু ভাঙ্গুড়া উপজেলায় এবিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

ফলে নির্বিঘ্নে এই নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসা করে যাচ্ছেন উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের অষ্টমনিষা বাজারের সুরুজ ও ইজাজুল নামের দুই পলিথিন ব্যবসায়ী।

জানা যায়, প্রশাসনের দৃষ্টি এড়াতে নিয়মিত মাসোয়ারা দিচ্ছেন স্থানীয় কথিত এক সাংবাদিক ও ভাঙ্গুড়া থানার এক উপ পরিদর্শককে। কথিত ওই সাংবাদিক মাসে ৮০০ টাকা ও পুলিশ নিচ্ছেন ১০০০ টাকা।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাসপাতাল গেট এলাকার একতা ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে ঢাকা থেকে আসছে এসব নিষিদ্ধ পলিথিন। ভাঙ্গুড়া বাজারে কিছু ও বেশির ভাগ পলিথিন অষ্টমনীষা বাজারের পলিথিন ব্যবসায়ী মো: সুরুজ আলী ও ইজাজুলের গোডাউনে মজুদ করে রাখা হয়।

মাঝে মাঝে তারা ঢাকা থেকেও সরাসরি ট্রাক যোগে অষ্টমনিষায় পলিথিন নিয়ে আসেন। সেখান থেকে বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে সরবরাহের কাজ করে আসছেন পলিথিন ব্যবসায়ী মো: সুরুজ আলী ও ইজাজুল। এছাড়াও তারা খুচরা হিসেবে কিছু পলিথিন পিকআপ, অটোভ্যান, সিএনজির সাহায্যে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছেন।

ঘটনার বিষয়ে পলিথিন ব্যবসায়ী সুরুজ আলী মোবাইল ফোনে বলেন, স্থানীয় সিরাজুল নামের এক ব্যক্তির ব্যবস্থাপনায় ভাঙ্গুড়া থানার উপ-পরিদর্শক আকরাম হোসেন মাসে মাসে বিশেষ সুবিধা নিয়ে থাকেন। তারাই আমাকে এই ব্যবসায় সাহস যুগিয়েছেন। এখন আপনি যদি বলেন তবে আমি এই ব্যবসা বাদ দিয়ে দিব।

স্থানীয়দের আরও অভিযোগ আছে উপ-পরিদর্শক আকরাম হোসেন মাদক ও জুয়ার সাথে সংশ্লিষ্ঠদের নিকটদের নিকটও এমন বিশেষ সুবিধা নিয়ে থাকেন।

তবে ঘটনার বিষয়ে অস্বীকার করে ভাঙ্গুড়া থানার উপ-পরিদশক আকরাম হোসেন বলেন, তার নাম করে কেউ টাকা পয়সা নিতে পারেন। তবে তিনি এসবের সাথে জড়িত নন।

ঘটনার বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো. নাজমুল হক বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরাফাত হোসেন বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ব্যবসায়ীরা তাদের নিয়মতি মাসোয়ার দেওয়ার স্বীকারোক্তি মূলক একটি এই প্রতিবেদকে হাতে রয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

ভাঙ্গুড়ায় মাসোয়ারা দিয়ে চলছে নিষিদ্ধ পলিথিনের রমরমা ব্যবসা

প্রকাশিত সময় ০৮:২৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪



পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নির্বিঘ্নে মাসোয়ারা দিয়ে চলছে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের জমজমাট ব্যবসা।

বিপুল পরিমান নিষিদ্ধ পলিথিন ট্রাক যোগে এনে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন বছরের পর বছর। কিন্তু ভাঙ্গুড়া উপজেলায় এবিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

ফলে নির্বিঘ্নে এই নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসা করে যাচ্ছেন উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের অষ্টমনিষা বাজারের সুরুজ ও ইজাজুল নামের দুই পলিথিন ব্যবসায়ী।

জানা যায়, প্রশাসনের দৃষ্টি এড়াতে নিয়মিত মাসোয়ারা দিচ্ছেন স্থানীয় কথিত এক সাংবাদিক ও ভাঙ্গুড়া থানার এক উপ পরিদর্শককে। কথিত ওই সাংবাদিক মাসে ৮০০ টাকা ও পুলিশ নিচ্ছেন ১০০০ টাকা।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাসপাতাল গেট এলাকার একতা ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে ঢাকা থেকে আসছে এসব নিষিদ্ধ পলিথিন। ভাঙ্গুড়া বাজারে কিছু ও বেশির ভাগ পলিথিন অষ্টমনীষা বাজারের পলিথিন ব্যবসায়ী মো: সুরুজ আলী ও ইজাজুলের গোডাউনে মজুদ করে রাখা হয়।

মাঝে মাঝে তারা ঢাকা থেকেও সরাসরি ট্রাক যোগে অষ্টমনিষায় পলিথিন নিয়ে আসেন। সেখান থেকে বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে সরবরাহের কাজ করে আসছেন পলিথিন ব্যবসায়ী মো: সুরুজ আলী ও ইজাজুল। এছাড়াও তারা খুচরা হিসেবে কিছু পলিথিন পিকআপ, অটোভ্যান, সিএনজির সাহায্যে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছেন।

ঘটনার বিষয়ে পলিথিন ব্যবসায়ী সুরুজ আলী মোবাইল ফোনে বলেন, স্থানীয় সিরাজুল নামের এক ব্যক্তির ব্যবস্থাপনায় ভাঙ্গুড়া থানার উপ-পরিদর্শক আকরাম হোসেন মাসে মাসে বিশেষ সুবিধা নিয়ে থাকেন। তারাই আমাকে এই ব্যবসায় সাহস যুগিয়েছেন। এখন আপনি যদি বলেন তবে আমি এই ব্যবসা বাদ দিয়ে দিব।

স্থানীয়দের আরও অভিযোগ আছে উপ-পরিদর্শক আকরাম হোসেন মাদক ও জুয়ার সাথে সংশ্লিষ্ঠদের নিকটদের নিকটও এমন বিশেষ সুবিধা নিয়ে থাকেন।

তবে ঘটনার বিষয়ে অস্বীকার করে ভাঙ্গুড়া থানার উপ-পরিদশক আকরাম হোসেন বলেন, তার নাম করে কেউ টাকা পয়সা নিতে পারেন। তবে তিনি এসবের সাথে জড়িত নন।

ঘটনার বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো. নাজমুল হক বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরাফাত হোসেন বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ব্যবসায়ীরা তাদের নিয়মতি মাসোয়ার দেওয়ার স্বীকারোক্তি মূলক একটি এই প্রতিবেদকে হাতে রয়েছে।