ঢাকা ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

বৃদ্ধ বাবা-মাকে বাড়ি ছাড়া করলো মেয়ে

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় ০৮:৩৬:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪
  • / 60



পাবনার সাঁথিয়ায় জমি লিখে নেওয়ার পর অসুস্থ বাবা-মাকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে মেয়ে ও জামাতা।

ঘটনাটি ঘটেছে সাঁথিয়া পৌরসভার মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে ওবাইদুল ইসলাম (৭০) ও তার স্ত্রীর মেরিনা ইসলামের সাথে।

এব্যাপারে বৃদ্ধা মা বাদী হয়ে মেয়ের বিরুদ্ধে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত মেয়ে সোনিয়া ইসলাম ও জামাতা কাওসার হাসান।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওবাইদুল ইসলাম ২০২২ সালে ব্রেন স্ট্রোক করলে তিনি ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করান। কিছুটা সুস্থ হলে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বাড়িতে এসে সে আবারও অসুস্থ হলে চিকিৎসার নাম করে তার ছোট মেয়ে সোনিয়া ও জামাতা কাওসার সাঁথিয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে নিয়ে কাগজে স্বাক্ষর ও টিপসহি দিতে বলে। তাতে সে রাজী না হওয়ায় মেয়ে ও জামাতা জোড় পূর্বক মেয়ে সোনিয়া ইসলামের নামে ২২ সালের ১১ ডিসেম্বর দলিল সম্পন্ন করে নেয়। নিজ বসত বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গার ২ একর ৩৩শতক জমি লিখে নেয় মেয়ে সনিয়া। জমি লিখে নেওয়ার পর থেকেই বৃদ্ধ অসুস্থ বাবা-মার প্রতি অমানসিক নির্যাতন করতে থাকে।

এক পর্যায়ে জেলা জজ আদালতে গত ২০২৩ সালের জুন মাসের ৪ তারিখে দলিল বাতিলের জন্য মামলা করেন ওবাইদুল ইসলাম।
বিষয়টি জানতে পেরে মেয়ে ও জামাতা বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে নির্যাতন করে গত ১০ মার্চ বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

এবিষয়ে সরেজমিনে ওবাইদুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাসাটি সোনিয়া ইসলাম দখল করে নির্মান কাজ করছে। তার বাবা-মার শয়ন কক্ষ ভাড়া দিয়েছে এবং অন্যান্য কক্ষে নিজেরা বসবাস করছে।

ওবাইদুল ইসলাম জানান, আমি অসুস্থ হলে চিকিৎিসার কথা বলে আমার জমি লেখে নেয়। আমার স্ত্রীর নামে ৬ শতক জমি ছিল, সেই জমিও সোনিয়া লিখে নিয়েছে।

তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন বলেন, আমি প্রশাসনের নিকট তদন্ত পূর্বক এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনিয়া জানান, আমার বাবা আমাকে ওই জমি লেখে দিয়েছে।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, সোনিয়ার বিরুদ্ধে মা মেরিনা ইসলাম বাদী হয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

বৃদ্ধ বাবা-মাকে বাড়ি ছাড়া করলো মেয়ে

প্রকাশিত সময় ০৮:৩৬:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪



পাবনার সাঁথিয়ায় জমি লিখে নেওয়ার পর অসুস্থ বাবা-মাকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে মেয়ে ও জামাতা।

ঘটনাটি ঘটেছে সাঁথিয়া পৌরসভার মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে ওবাইদুল ইসলাম (৭০) ও তার স্ত্রীর মেরিনা ইসলামের সাথে।

এব্যাপারে বৃদ্ধা মা বাদী হয়ে মেয়ের বিরুদ্ধে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত মেয়ে সোনিয়া ইসলাম ও জামাতা কাওসার হাসান।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওবাইদুল ইসলাম ২০২২ সালে ব্রেন স্ট্রোক করলে তিনি ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করান। কিছুটা সুস্থ হলে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বাড়িতে এসে সে আবারও অসুস্থ হলে চিকিৎসার নাম করে তার ছোট মেয়ে সোনিয়া ও জামাতা কাওসার সাঁথিয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে নিয়ে কাগজে স্বাক্ষর ও টিপসহি দিতে বলে। তাতে সে রাজী না হওয়ায় মেয়ে ও জামাতা জোড় পূর্বক মেয়ে সোনিয়া ইসলামের নামে ২২ সালের ১১ ডিসেম্বর দলিল সম্পন্ন করে নেয়। নিজ বসত বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গার ২ একর ৩৩শতক জমি লিখে নেয় মেয়ে সনিয়া। জমি লিখে নেওয়ার পর থেকেই বৃদ্ধ অসুস্থ বাবা-মার প্রতি অমানসিক নির্যাতন করতে থাকে।

এক পর্যায়ে জেলা জজ আদালতে গত ২০২৩ সালের জুন মাসের ৪ তারিখে দলিল বাতিলের জন্য মামলা করেন ওবাইদুল ইসলাম।
বিষয়টি জানতে পেরে মেয়ে ও জামাতা বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে নির্যাতন করে গত ১০ মার্চ বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

এবিষয়ে সরেজমিনে ওবাইদুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাসাটি সোনিয়া ইসলাম দখল করে নির্মান কাজ করছে। তার বাবা-মার শয়ন কক্ষ ভাড়া দিয়েছে এবং অন্যান্য কক্ষে নিজেরা বসবাস করছে।

ওবাইদুল ইসলাম জানান, আমি অসুস্থ হলে চিকিৎিসার কথা বলে আমার জমি লেখে নেয়। আমার স্ত্রীর নামে ৬ শতক জমি ছিল, সেই জমিও সোনিয়া লিখে নিয়েছে।

তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন বলেন, আমি প্রশাসনের নিকট তদন্ত পূর্বক এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনিয়া জানান, আমার বাবা আমাকে ওই জমি লেখে দিয়েছে।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, সোনিয়ার বিরুদ্ধে মা মেরিনা ইসলাম বাদী হয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।