খেলতে গিয়ে শিশুর সঙ্গে শিশুর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে এক শিশুর দাদীসহ বাবা-মাকে মারধর করার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

বুধবার ১০ (ঈদ উল ফিতরের আগের দিন) বিকেলে পাবনা ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের নতুন রুপপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় আহতরা হলেন শিশুটির দাদী ফাতেমা বেগম (৫২), বাবা শরিফুল ইসলাম (৩৩) ও অন্তঃসত্তা মা আয়েশা খাতুন (২১)।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন শরিফুলের ছেলে সঙ্গে প্রতিবেশি সোহাগের ছেলের সাথে খেলা করতে যায়। খেলার সময় দুই শিশুর মধ্যে ঝগড়া লাগে।

এতে সোহাগ, তার স্ত্রী সম্পা খাতুন ও সুমি খাতুনসহ আরও ২-৩ জন অপর শিশুর বাড়িতে গিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করে।

এসময় শিশুটির দাদী ফাতেমা বেগম বের হয়ে গালাগালি করতে নিষেধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোহাগ, সম্পা খাতুন ও সুমি খাতুনসহ অন্যান্যরা শিশুটির দাদী ফাতেমা কিল ঘুষিসহ ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়।

শিশুটির বাবা শরিফুল ও মা আয়েশা খাতুনকেউ কিল ঘুষি ও ইট দিয়ে মারধর করে।

অভিযোগকারী শরিফুল ইসলাম জানান, শিশুরা খেলার সময় একবার ঝগড়া করে। আরাব পরেক্ষণই তারা এক সঙ্গে খেলা করে। কিন্তু সোহাগরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে এভাবে মারপিট করে রক্তাক্ত করেছে আমাদের।

তিনি আরও জানান, তার চার মাসের অন্তঃসত্তা স্ত্রীকে প্রহার করে গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়েছে। তাদের অত্যাচার, জুলুম ও হুমকি খেয়ে বাঁচতে বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অবুঝ শিশুদের মধ্যে লাগা ঝগড়া কেন্দ্র করে দাদী, বাবা ও মাকে মারপিট করে রক্তাক্ত করার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ও নিন্দনীয় বলে জানান স্থানীয়রা।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, এবিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।