ঢাকা ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঈশ্বরদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত-১, আহত-৩০

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় ১০:০৫:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
  • / 87



চলাচলের রাস্তা ও নির্বাচনী দ্বন্দ্বের জেরে জামায়াত-বিএনপি সমর্থিত হুদি বংশ ও আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রামানিক বংশের সংঘর্ষে খায়রুল ইসলাম (৪০) নামের একজন নিহত হয়েছেন।

আহত হয়েছেন উভয় গ্রুপের অন্তত ৩০জন। এলাকা জুড়ে চলছে তীব্র উত্তেজনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ, ডিবি ও র‍্যাব সদস্যরা।

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল বিকেলে পাবনা ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি আলহাজ্বমোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত খায়রুল ইসলাম ওই এলাকার মৃত নসিম উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে। তিনি সাহাপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি।

তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের মধ্যে সাজু হুদী (৫০), সাহাবুদ্দিন (৫০), জামাত ফকির (৫০), নাসিরউদ্দিন (৩০), জিল্লুর (৫০), তরিকুল (৪০), শাহ জামাল (৪০), আন্টু (৩০), হুজুর আলী (৫৮), নাসির (৩০), ওলিউর রহমান (৩৫), মজিদ (৩৫), আরিফ আলী (৩২), ওলিবুল (৩২), মোঃ মিঠুন (৩৫), মোসলেম উদ্দিন (৬০), মানু প্রামানিক (৫৫), মোঃ খোকন প্রামাণিক (৩৫), নুর বেগমের (৫০) নাম জানা গেছে।

তবে আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সুত্র মতে, বেশ কিছুদিন ধরে চলাচলের রাস্তা, জমিজমা ও নির্বাচনীকালিন বিষয় নিয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রামানিক বংশের সঙ্গে বিএনপি জামায়াত সমর্থিত হুদি বংশের বিরোধ চলে আসছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার আওয়ামীলীগ সমর্থিত হুজুর আলীকে মারধর করে হুদি বংশের লোকজন।

বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করা হলেও উত্তেজনা থেকেই যায়। এই উত্তেজনা থেকেই শুক্রবার দুই গ্রুপের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ বাধে।

এতে ধারালো হাসুয়া, চাপাতি, লোহার রডের আঘাতে দুই পক্ষের অন্ততপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। এর মধ্যে খায়রুল ইসলাম নামের একজন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। হুদি বংশের ঈসাই প্রামানিক (৪৮) হাসুয়ার আঘাতে বাম হাতের কনুই পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

নিহত খায়রুল ইসলাম প্রামানিকের ভাতিজা মাহমুদ জুয়েল অভিযোগ করে জানান, ঘটনার দিন দুপুরে জামাত ফকির নামে তার এক চাচা বাড়িতে আসার সময় হুদিদের লোকজন মারধর করে। খবর শুনে লোকজন এগিয়ে গেলে হুদিদের মকলেছুর রহমান মজনু, রিয়াজুল, শাহিন ও নুরুর নেতৃত্বে ২০-৩০ জনের একটি সশস্ত্র দল তাদের উপর হামলা চালায়। এতে তার চাচা খায়রুল মারা যায়। আহত হয়েছে আরও ১২-১৫ জন।

মকলেছুর রহমান মজনু অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর থেকে প্রামানিক বংশের লোকজন অত্যাচার শুরু করেছে। এলাকায় বসবাস করা কঠিন হয়ে উঠেছে। মারপিট, লুটপাট, জমি দখলসহ নানা রকম অপকর্ম চালিয়ে আসছে। কয়েকদিন পুর্বে হুজুর আলীর সঙ্গে ঝামেলা হয়। বিষয়টি বৃহস্প্রতিবার বসে মিমাংসা হয়ে যায়। কিন্তু দলীয় ও বংশীয় ক্ষমতা দেখিয়ে ঘটনার সময় খায়রুল ইসলাম প্রামানিক ধারালো অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষের লোকজনই গুরুতর আহত হয়েছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঋত্তিকা ইসলাম জানান, আহতদের অধিকাংশই গুরুতর হওয়ায় পাবনা ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে ৮ জনের অবস্থা আশংকাজনক।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এই ঘটনায় খায়রুল ইসলাম নামের একজন মারা গেছে। অনেকেই আহত হয়েছে। মরদেহ থানা নেওয়া হয়েছে। এলাকার উত্তেজনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ, ডিবিপুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে। মারামারির আসল কারণ জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

এই রকম আরও টপিক

ঈশ্বরদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত-১, আহত-৩০

প্রকাশিত সময় ১০:০৫:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪



চলাচলের রাস্তা ও নির্বাচনী দ্বন্দ্বের জেরে জামায়াত-বিএনপি সমর্থিত হুদি বংশ ও আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রামানিক বংশের সংঘর্ষে খায়রুল ইসলাম (৪০) নামের একজন নিহত হয়েছেন।

আহত হয়েছেন উভয় গ্রুপের অন্তত ৩০জন। এলাকা জুড়ে চলছে তীব্র উত্তেজনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ, ডিবি ও র‍্যাব সদস্যরা।

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল বিকেলে পাবনা ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি আলহাজ্বমোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত খায়রুল ইসলাম ওই এলাকার মৃত নসিম উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে। তিনি সাহাপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি।

তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের মধ্যে সাজু হুদী (৫০), সাহাবুদ্দিন (৫০), জামাত ফকির (৫০), নাসিরউদ্দিন (৩০), জিল্লুর (৫০), তরিকুল (৪০), শাহ জামাল (৪০), আন্টু (৩০), হুজুর আলী (৫৮), নাসির (৩০), ওলিউর রহমান (৩৫), মজিদ (৩৫), আরিফ আলী (৩২), ওলিবুল (৩২), মোঃ মিঠুন (৩৫), মোসলেম উদ্দিন (৬০), মানু প্রামানিক (৫৫), মোঃ খোকন প্রামাণিক (৩৫), নুর বেগমের (৫০) নাম জানা গেছে।

তবে আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সুত্র মতে, বেশ কিছুদিন ধরে চলাচলের রাস্তা, জমিজমা ও নির্বাচনীকালিন বিষয় নিয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রামানিক বংশের সঙ্গে বিএনপি জামায়াত সমর্থিত হুদি বংশের বিরোধ চলে আসছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার আওয়ামীলীগ সমর্থিত হুজুর আলীকে মারধর করে হুদি বংশের লোকজন।

বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করা হলেও উত্তেজনা থেকেই যায়। এই উত্তেজনা থেকেই শুক্রবার দুই গ্রুপের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ বাধে।

এতে ধারালো হাসুয়া, চাপাতি, লোহার রডের আঘাতে দুই পক্ষের অন্ততপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। এর মধ্যে খায়রুল ইসলাম নামের একজন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। হুদি বংশের ঈসাই প্রামানিক (৪৮) হাসুয়ার আঘাতে বাম হাতের কনুই পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

নিহত খায়রুল ইসলাম প্রামানিকের ভাতিজা মাহমুদ জুয়েল অভিযোগ করে জানান, ঘটনার দিন দুপুরে জামাত ফকির নামে তার এক চাচা বাড়িতে আসার সময় হুদিদের লোকজন মারধর করে। খবর শুনে লোকজন এগিয়ে গেলে হুদিদের মকলেছুর রহমান মজনু, রিয়াজুল, শাহিন ও নুরুর নেতৃত্বে ২০-৩০ জনের একটি সশস্ত্র দল তাদের উপর হামলা চালায়। এতে তার চাচা খায়রুল মারা যায়। আহত হয়েছে আরও ১২-১৫ জন।

মকলেছুর রহমান মজনু অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর থেকে প্রামানিক বংশের লোকজন অত্যাচার শুরু করেছে। এলাকায় বসবাস করা কঠিন হয়ে উঠেছে। মারপিট, লুটপাট, জমি দখলসহ নানা রকম অপকর্ম চালিয়ে আসছে। কয়েকদিন পুর্বে হুজুর আলীর সঙ্গে ঝামেলা হয়। বিষয়টি বৃহস্প্রতিবার বসে মিমাংসা হয়ে যায়। কিন্তু দলীয় ও বংশীয় ক্ষমতা দেখিয়ে ঘটনার সময় খায়রুল ইসলাম প্রামানিক ধারালো অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষের লোকজনই গুরুতর আহত হয়েছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঋত্তিকা ইসলাম জানান, আহতদের অধিকাংশই গুরুতর হওয়ায় পাবনা ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে ৮ জনের অবস্থা আশংকাজনক।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এই ঘটনায় খায়রুল ইসলাম নামের একজন মারা গেছে। অনেকেই আহত হয়েছে। মরদেহ থানা নেওয়া হয়েছে। এলাকার উত্তেজনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ, ডিবিপুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে। মারামারির আসল কারণ জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।