ঈশ্বরদীতে পৃথক পৃথক সংঘর্ষে আহত ৫
- প্রকাশিত সময় ০১:০৬:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪
- / 72
পাবনার ঈশ্বরদীতে পৃথক পৃথক সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর দুপুরে ও সন্ধ্যায় এসকল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দুপুরের সংঘর্ষে আহতরা হলেন- ঈশ্বরদী পৌরসভার বকুলের মোড় আমিন পাড়ার আব্দুল মজিদ চাঁদের ছেলে সালমান (১৯), বকুলের মোড় আমিন পাড়া মাঠ পাড়ার মোঃ শহিদুল প্রামানিকের ছেলে সুরুজ (২৪) ও সুলতান (১৮)।
আহত সালমান আকবর হাজীর আটার মিলের শ্রমিক, আহত সুরুজ ও সুলতান শাটার মিস্ত্রির কাজ করেন।
আহতরা সকলেই বিএনপি’র কর্মী এবং রফিকুল ইসলাম নয়নের সাথে রাজনীতি করেন বলে জানিয়েছেন। অপরদিকে হামলাকারীরাও রফিকুল ইসলাম নয়ন সমর্থিত বিএনপি কর্মী।
হামলার শিকার আহতরা বলেন- নির্জন, বিশাল, নিলয়, শাওন, পারভেজ সহ ৫-৭ জন পাবনা থেকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রোগ্রাম শেষ করে ঈশ্বরদীতে ফিরে বাস থেকে নামার পরপরই আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এর আগে সকালে ঈশ্বরদীতে প্রোগ্রাম চলাকালীন সময়েও ওরা আমাদের পিছ থেকে মাথায় মারছিল। আমরা সেসময় প্রতিবাদ করলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তখন নয়ন ভাই এসে সবাইকে শান্ত করে।
আহতরা আরও বলেন- এরা আগে সবাই আওয়ামীলীগ করতো। এখন প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সাথে সাথে নয়ন ভাইয়ের মাধ্যমে বিএনপিতে যোগ দিছে। ওরা গতমাসেও আমাদের উপর হামলা করেছিল। আমরা নয়ন ভাইকে আগেও বিচার দিছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এখন আবার হামলা করলো। নয়ন ভাইকে জানিয়েছি, সে বলছে দেখতেছি। পুলিশ এসে দেখে চলে গেছে।
এবিষয়ে রফিকুল ইসলাম নয়ন বলেন, এটা কোন রাজানৈতিক দ্বন্দ নয়। ওরা সবাই আমাদের এলাকার ছেলেপেলে, ব্যক্তিগত ভুলবোঝাবুঝিতে মারামারি হয়েছে।
আর হামলাকারীরা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৫ তারিখে আগের অবস্থা তো সবাই জানেন স্কুলের ছেলেদেরও জোর করে ধরে নিয়ে যেত আওয়ামীলীগের প্রোগ্রামে।
এছাড়াও রাতে শহরের আকবরের মোড়ে একদল দুর্বৃত্তরা ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি প্রিন্স মাহমুদ (৩৫) কে বেধড়ক পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থা গুরুতর হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
প্রিন্স মাহমুদ পৌর ৪নং ওয়ার্ডের মশুড়িয়া পাড়া এলাকার মোঃ গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। প্রিন্সের পিতা ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি। গিয়াস উদ্দিনকে গতকাল পুলিশ ঈশ্বরদী বাজার থেকে গ্রেফতার করে।
বিএনপি’র নয়ন গ্রুপের সন্ত্রাসীরা আমার ছেলেকে মেরেছে বলে দাবী করেন প্রিন্সের মা।
অপরদিকে, সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী খাদ্য গুদামের সরদার মোঃ আশরাফ আলী (৪৫) কে চাঁদা না দেওয়ায় পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে এক দল সন্ত্রাসী।
মোঃ আশরাফ আলী হামলাকারীদের নামে থানায় একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নসিব, সাকিব, নাজমুল, রাজা নামের কয়েকজন আওয়ামীলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী তার কাছে বেশ কিছুদিন যাবৎ চাঁদা দাবি করছিল। চাঁদা না দেওয়ায় আজ সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার চেষ্টা করে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন পৃথক পৃথক জায়গায় মারামারির ঘটনা ঘটছে। থানায় আশরাফ নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ দিয়েছেন। আর কেউ থানায় অভিযোগ নিয়ে আসে নাই। অভিযোগ আসলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।