চাটমোহরে গৃহবধূ জাহানারা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

- প্রকাশিত সময় ০৯:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
- / 3
পাবনার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের উথলী গ্রামে গৃহবধূ জাহানারা খাতুনকে নির্যাতন ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোমবার (১৮ই আগস্ট) বেলা বারোটার দিকে মানববন্ধন, বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী দাবি করেন অজ্ঞাত কারণে মামলাটির কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না থানা পুলিশ। থানা পুলিশের রহস্যজনক আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে এই মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী পরিবার।
চাটমোহর পাবনা মহাসড়কের মিশন গেট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে ভুক্তভোগীর বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় সংবাদ সম্মেলন।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা জানান, গত (৫ জুন) ভুক্তভোগীর বাড়ির অদূরে একটি লিচু বাগান থেকে গৃহবধূ জাহানারা খাতুনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পরে পরিবার দাবি করেন পার্শ্ববর্তী সাগর হোসেন গং এর সাথে প্রায় ৩০ বছর ধরে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ঘটনার দিন সেই দ্বন্দ্বের জের ধরেই মূলত জাহানারা খাতুনকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারপিট করে সাগর হোসেনসহ পরিবারের লোকজন। এক দফা মারপিট করে আবারো খুঁজতে থাকে মারধর করার জন্য। ঘটনার দিন (৪ জুন) জাহানারা খাতুন বিষয়টি নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে বিচারের দাবিতে যান। কিন্তু রাত হলেও তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরের দিন পার্শ্ববর্তী আব্দুল গফুরের লিচু বাগান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় জাহানারা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার দিন পরিবার থেকে হত্যা মামলা করার চেষ্টা করা হলেও থানা পুলিশের কর্তব্যরত ব্যক্তিগণ ভুক্তভোগী পরিবারের কথা না শুনেই আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে লাশ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। কিন্তু ঘটনার পরে দুই মাস পার হয়ে গেলেও মামলার কোন অগ্রগতি হয়নি। এমনকি নামীয় আসামিরাও আটক হয়নি পুলিশের হাতে। ঘটনার দিনের থানার বর্ণনা দিতে গিয়ে পরিবারের লোকজন জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা অশৌজন্য মূলক আচরণ করেন ভুক্তভোগীর পরিবারের সাথে। একই সাথে তারা জানান এখন আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা হলেও পরে হত্যা মামলা দায়ের করা যাবে। এরকম নানাবিদ বুঝ দিয়ে সেদিন বিদায় করে দেওয়া হয় ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজনকে।
ঘটনার দুই মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামি আটক না হওয়ায় অথবা মামলার সাথে সংশ্লিষ্ট কোন পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনার কোন তদন্ত না করায় পুলিশের আচরণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে ভুক্তভোগীর পরিবার। তাদের দাবি পুলিশ তাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করছে না। পরিবার পাবনা পুলিশ সুপার এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত হত্যাকারীদের আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।