ঢাকা ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঈশ্বরদীতে বিএনপির দু-গ্রুপের সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় ০৭:২৭:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 21



পাবনার ঈশ্বরদীতে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রুহুল কুদ্দুস নামে এক স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন।

পরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ একে অপরকে পাল্টা দোষারোপ করছেন।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের মসজিদ মোড় এলাকায় বিকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দফায় দফায় এসব ঘটনা ঘটে।

এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুলিবর্ষণকারী গ্রুপের তিনজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয় বলে দাবি স্থানীয় এলাকাবাসী সহ রাসেল গ্রুপের লোকজনের।

রবিবার সকাল থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে সাহাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মোঃ রাসেল পারভেজের জামিনে মুক্তি পাওয়া উপলক্ষে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে রুহুল কুদ্দুস নামে ওই স্কুল ছাত্র যোগদান করা ও পূর্ব শত্রুতাকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার বিকালে স্থানীয় প্রতিপক্ষ গ্রুপ কাজী শাহিনুর রহমান বাপ্পীর নেতৃত্বে লাঠিসোঁটা সজ্জিত একদল যুবক তাকে তুলে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলে আবারো দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় কাজী শাহিনুর রহমান ওরফে কালা বাপ্পী ও পাবনা জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য মোঃ নুরুন্নবীর নেতৃত্বে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়।

পরে সাহাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি রাসেল পারভেজ গ্রুপের লোকজন ও স্থানীয় এলাকাবাসী অপর গ্রুপের অস্ত্রসহ ৩ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন বলে দাবী করেন।

এসময় অস্ত্রধারী কালা বাপ্পী গ্রুপের লোকজন জোর করে আটককৃত তিনজনকে পুলিশের নিকট থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এসকল ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ও নিরাপত্তা চেয়ে সাহাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি রাসেল পারভেজ ও তার সমর্থকরা আজ দুপুরে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে রাসেল পারভেজ বলেন, দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর আমরা বাশ বাগানে নয়, রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আওয়ামীলীগ কর্তৃক মামলা, হামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এখন আবার সেইসকল আওয়ামীলীগের লোকজন হাবিব ভাইয়ের আশ্রয় প্রশ্রয়ে আমাদের উপর হামলা করছে। অতএব যে নেতার কাছে আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রগামী নেতাকর্মীরা নিরাপদ নয় সে কখনই বিএনপির ভালো চাই না। সে আওয়ামীলীগের নেতা ছিলেন এবং এসকল আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা করানোতে এটাই প্রমাণ হয়ে যে এখনো তার আওয়ামী প্রীতি যায়নি।

উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ঈদে মিলাদুন নবীর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ছোটদের মধ্যে কিছু গোলযোগ হয়। পরে রাসেল পারভেজ গতকাল পুলিশের সামনেই বাপ্পিসহ ৪-৫ জনকে পিটিয়ে আহত করে। এ কেমন পুলিশ যারা মেরে আহত করলো তাদের কিছুই না বলে উলটা তাদেরই পাহারা দিচ্ছে। যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেখানেই আমার বাড়ি। এখন আমি যদি লোকজন ডেকে সেখানে যায় তাহলে সেখানে একটা বড় ধরনের অঘটন ঘটবে। সেকারনে আমি সকলকে শান্ত থাকতে বলেছি। এঘটনায় গতকাল রাতেই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার না করে তালবাহানা করে যাচ্ছে।

ঈশ্বরদী থানার ওসি মোঃ আ স ম আব্দুন নূর বলেন, ছোটখাটো বিষয়ে একটি ঝামেলা হয়েছে তার সূত্র ধরেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে স্কুল ছাত্রকে মারধরের ব্যাপারে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আটককৃতদের পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাইনা।

এই রকম আরও টপিক

ঈশ্বরদীতে বিএনপির দু-গ্রুপের সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

প্রকাশিত সময় ০৭:২৭:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫



পাবনার ঈশ্বরদীতে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রুহুল কুদ্দুস নামে এক স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন।

পরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ একে অপরকে পাল্টা দোষারোপ করছেন।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের মসজিদ মোড় এলাকায় বিকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দফায় দফায় এসব ঘটনা ঘটে।

এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুলিবর্ষণকারী গ্রুপের তিনজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয় বলে দাবি স্থানীয় এলাকাবাসী সহ রাসেল গ্রুপের লোকজনের।

রবিবার সকাল থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে সাহাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মোঃ রাসেল পারভেজের জামিনে মুক্তি পাওয়া উপলক্ষে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে রুহুল কুদ্দুস নামে ওই স্কুল ছাত্র যোগদান করা ও পূর্ব শত্রুতাকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার বিকালে স্থানীয় প্রতিপক্ষ গ্রুপ কাজী শাহিনুর রহমান বাপ্পীর নেতৃত্বে লাঠিসোঁটা সজ্জিত একদল যুবক তাকে তুলে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলে আবারো দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় কাজী শাহিনুর রহমান ওরফে কালা বাপ্পী ও পাবনা জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য মোঃ নুরুন্নবীর নেতৃত্বে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়।

পরে সাহাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি রাসেল পারভেজ গ্রুপের লোকজন ও স্থানীয় এলাকাবাসী অপর গ্রুপের অস্ত্রসহ ৩ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন বলে দাবী করেন।

এসময় অস্ত্রধারী কালা বাপ্পী গ্রুপের লোকজন জোর করে আটককৃত তিনজনকে পুলিশের নিকট থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এসকল ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ও নিরাপত্তা চেয়ে সাহাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি রাসেল পারভেজ ও তার সমর্থকরা আজ দুপুরে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে রাসেল পারভেজ বলেন, দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর আমরা বাশ বাগানে নয়, রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আওয়ামীলীগ কর্তৃক মামলা, হামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এখন আবার সেইসকল আওয়ামীলীগের লোকজন হাবিব ভাইয়ের আশ্রয় প্রশ্রয়ে আমাদের উপর হামলা করছে। অতএব যে নেতার কাছে আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রগামী নেতাকর্মীরা নিরাপদ নয় সে কখনই বিএনপির ভালো চাই না। সে আওয়ামীলীগের নেতা ছিলেন এবং এসকল আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা করানোতে এটাই প্রমাণ হয়ে যে এখনো তার আওয়ামী প্রীতি যায়নি।

উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ঈদে মিলাদুন নবীর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ছোটদের মধ্যে কিছু গোলযোগ হয়। পরে রাসেল পারভেজ গতকাল পুলিশের সামনেই বাপ্পিসহ ৪-৫ জনকে পিটিয়ে আহত করে। এ কেমন পুলিশ যারা মেরে আহত করলো তাদের কিছুই না বলে উলটা তাদেরই পাহারা দিচ্ছে। যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেখানেই আমার বাড়ি। এখন আমি যদি লোকজন ডেকে সেখানে যায় তাহলে সেখানে একটা বড় ধরনের অঘটন ঘটবে। সেকারনে আমি সকলকে শান্ত থাকতে বলেছি। এঘটনায় গতকাল রাতেই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার না করে তালবাহানা করে যাচ্ছে।

ঈশ্বরদী থানার ওসি মোঃ আ স ম আব্দুন নূর বলেন, ছোটখাটো বিষয়ে একটি ঝামেলা হয়েছে তার সূত্র ধরেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে স্কুল ছাত্রকে মারধরের ব্যাপারে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আটককৃতদের পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাইনা।