ঢাকা ০৯:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবিপ্রবিতে ‘প্রমীত ভাষা ব্যবহারের গুরুত্ব’ শীর্ষক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৫:৩৪:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 59



পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের উদ্যোগে গত শনিবার ‘প্রমিত ভাষা ব্যবহারের গুরুত্ব’ নিয়ে ভাষা বক্তৃতার আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শামীমা হামিদ, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. গৌতম কুমার দাস।

স্বাগত বক্তব্য দেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম আব্দুল আলীম।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে জটিল প্রক্রিয়া ভাষা। মানুষকে ‘মানুষ’ করেছে ভাষা। সভ্যতার স্তর পরিবর্তনের সঙ্গে ভাষা জড়িত। মানুষ প্রকৃতিগতভাবে ভাষা পায় বলে এর জটিলতা বুঝতে পারে না। মানুষকে বোঝার বিষয়টি ভাষার সঙ্গে জড়িত। মানুষ তার চিন্তার বিকাশ ঘটায় ভাষার মাধ্যমে। মানুষকে বুঝতে হলে সংস্কৃতি বুঝতে হবে। জম্মস্থানের সংস্কৃতির কারণে আঞ্চলিকতা দুর হয়না। সবাইকে প্রমীত উচ্চারণ করতে হবে এমন নয়। কিন্তু যার দায়িত্ব আছে বিশেষ করে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রমীত ভাষা ব্যবহার করা দরকার। এছাড়া ক্ষেত্র বিশেষে ভাষার শুদ্ধ ব্যবহার করা দরকার।

তিনি জানান, পৃথিবীতে ভাষা আছে ৭১৫৯টি। বাংলাদেশে ভাষা আছে ৪১টি। জাতিগোষ্ঠী আছে ৫১টি। পাবনা অঞ্চলে ১০টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আছে। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা লাভের পর মাতৃভাষার উন্নয়নে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনষ্টিটিউ কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিকাশের কারণে ভাষা প্রয়োগে রুচির দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। সর্বত্র ভাষার অপপ্রয়োগ। ভাষার এই দুরবস্থার উত্তরণে কাজ করতে হবে। যে ভাষার জন্য ৫২ সালে জীবন দিলাম সেই দেশে এটা মেনে নেওয়া কষ্টকর। বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থীদের মনে বাংলাভাষার ভীতি কাজ করছে। এটাও দুর করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাইরের বই এখানে একেক জন একেক রকম করে অনুবাদ করে। ফলে অনেক গ্যাপ থেকে যায়। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রের জন্য সরকারি উদ্যোগে সবার উপযোগী এককভাবে অনুবাদ বই মুদ্রণ করা দরকার।

সভার সভাপতি বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মীর হুমায়ূন কবীর বলেন, নিজেকে আধুনিক প্রমাণের জন্য অযাযিতভাবে বাংলা শব্দের সঙ্গে ইংরেজি শব্দের ব্যবহার না করলে ভালো হয়। তবে মানুষের ব্যবহারিক জীবনে অনেক বিদেশী শব্দ গেথে গেছে। সেগুলি নিয়েই আমরা শ্রুতিমধুর ভাষা ব্যবহার করতে পারি।

গ্যালারী-২ এ অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাবিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এই রকম আরও টপিক

পাবিপ্রবিতে ‘প্রমীত ভাষা ব্যবহারের গুরুত্ব’ শীর্ষক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত সময় ০৫:৩৪:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫



পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের উদ্যোগে গত শনিবার ‘প্রমিত ভাষা ব্যবহারের গুরুত্ব’ নিয়ে ভাষা বক্তৃতার আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শামীমা হামিদ, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. গৌতম কুমার দাস।

স্বাগত বক্তব্য দেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম আব্দুল আলীম।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে জটিল প্রক্রিয়া ভাষা। মানুষকে ‘মানুষ’ করেছে ভাষা। সভ্যতার স্তর পরিবর্তনের সঙ্গে ভাষা জড়িত। মানুষ প্রকৃতিগতভাবে ভাষা পায় বলে এর জটিলতা বুঝতে পারে না। মানুষকে বোঝার বিষয়টি ভাষার সঙ্গে জড়িত। মানুষ তার চিন্তার বিকাশ ঘটায় ভাষার মাধ্যমে। মানুষকে বুঝতে হলে সংস্কৃতি বুঝতে হবে। জম্মস্থানের সংস্কৃতির কারণে আঞ্চলিকতা দুর হয়না। সবাইকে প্রমীত উচ্চারণ করতে হবে এমন নয়। কিন্তু যার দায়িত্ব আছে বিশেষ করে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রমীত ভাষা ব্যবহার করা দরকার। এছাড়া ক্ষেত্র বিশেষে ভাষার শুদ্ধ ব্যবহার করা দরকার।

তিনি জানান, পৃথিবীতে ভাষা আছে ৭১৫৯টি। বাংলাদেশে ভাষা আছে ৪১টি। জাতিগোষ্ঠী আছে ৫১টি। পাবনা অঞ্চলে ১০টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আছে। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা লাভের পর মাতৃভাষার উন্নয়নে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনষ্টিটিউ কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিকাশের কারণে ভাষা প্রয়োগে রুচির দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। সর্বত্র ভাষার অপপ্রয়োগ। ভাষার এই দুরবস্থার উত্তরণে কাজ করতে হবে। যে ভাষার জন্য ৫২ সালে জীবন দিলাম সেই দেশে এটা মেনে নেওয়া কষ্টকর। বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থীদের মনে বাংলাভাষার ভীতি কাজ করছে। এটাও দুর করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাইরের বই এখানে একেক জন একেক রকম করে অনুবাদ করে। ফলে অনেক গ্যাপ থেকে যায়। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রের জন্য সরকারি উদ্যোগে সবার উপযোগী এককভাবে অনুবাদ বই মুদ্রণ করা দরকার।

সভার সভাপতি বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মীর হুমায়ূন কবীর বলেন, নিজেকে আধুনিক প্রমাণের জন্য অযাযিতভাবে বাংলা শব্দের সঙ্গে ইংরেজি শব্দের ব্যবহার না করলে ভালো হয়। তবে মানুষের ব্যবহারিক জীবনে অনেক বিদেশী শব্দ গেথে গেছে। সেগুলি নিয়েই আমরা শ্রুতিমধুর ভাষা ব্যবহার করতে পারি।

গ্যালারী-২ এ অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাবিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।