ঢাকা ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঈশ্বরদীতে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে বলৎকারের অভিযোগ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় ০৫:৪৪:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 70



পাবনার ঈশ্বরদীতে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে এক স্কুল ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত এজাহার জমা দিয়েছেন।

শুক্রবার ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের বড়ইচরা স্কুলপাড়া গ্রামে নির্জন একটি লিচু বাগানে এ ঘটনা ঘটে বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে।

এতে একই গ্রামের আব্দুর রহিম (৬০) নামেr এক অটোচালককে এজাহারে আসামি করা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়, গ্রামের প্রতিবেশী আব্দুর রহিম বেশ কিছুদিন ধরে সুযোগ পেলেই নানান উছিলায় তার শিশুপুত্রকে কাছে টেনে আদর সোহাগ করত। এরই মধ্যে শুক্রবার দুপুর আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটের দিকে তার শিশুসন্তান বাড়ির নিকটবর্তী একটি দোকানে ডিম কিনতে যায়। এই সুযোগে আব্দুর রহিম তার শিশুপুত্রকে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে অদূরে নির্জন একটি লিচু বাগানে নিয়ে যায় এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে বলাৎকার করে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কাছে সবকিছু খুলে বলে। পরিবারের সদস্যরা তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। এ ঘটনায় তিনি শুক্রবার রাতেই ঈশ্বরদী থানায় লিখিত এজাহার জমা দেন।

শনিবার ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে মুঠোফোনে শিশুটির বাবা জানান, ঘটনার পর থেকে তার শিশুপুত্র মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। কারও সঙ্গে সে খুব একটা কথা বলছে না, বাড়ির বাইরে খেলতেও যাচ্ছে না।

তিনি অভিযোগ করেন, এজাহার জমা দেওয়ার একদিন পরেও অভিযুক্ত আব্দুর রহিমকে আইনের আওতায় আনা হয়নি। বরং এজাহার তুলে না নিলে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। এতে তিনি আতঙ্কের মধ্যে আছেন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির মন্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করে হলেও তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ স ম আব্দুর নূর জানান, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ তিনি হাতে পেয়েছেন। তদন্তের জন্য রাতেই একজন পুলিশ অফিসারকে নিযুক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরপরই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এই রকম আরও টপিক

ঈশ্বরদীতে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে বলৎকারের অভিযোগ

প্রকাশিত সময় ০৫:৪৪:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫



পাবনার ঈশ্বরদীতে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে এক স্কুল ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত এজাহার জমা দিয়েছেন।

শুক্রবার ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের বড়ইচরা স্কুলপাড়া গ্রামে নির্জন একটি লিচু বাগানে এ ঘটনা ঘটে বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে।

এতে একই গ্রামের আব্দুর রহিম (৬০) নামেr এক অটোচালককে এজাহারে আসামি করা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়, গ্রামের প্রতিবেশী আব্দুর রহিম বেশ কিছুদিন ধরে সুযোগ পেলেই নানান উছিলায় তার শিশুপুত্রকে কাছে টেনে আদর সোহাগ করত। এরই মধ্যে শুক্রবার দুপুর আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটের দিকে তার শিশুসন্তান বাড়ির নিকটবর্তী একটি দোকানে ডিম কিনতে যায়। এই সুযোগে আব্দুর রহিম তার শিশুপুত্রকে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে অদূরে নির্জন একটি লিচু বাগানে নিয়ে যায় এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে বলাৎকার করে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কাছে সবকিছু খুলে বলে। পরিবারের সদস্যরা তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। এ ঘটনায় তিনি শুক্রবার রাতেই ঈশ্বরদী থানায় লিখিত এজাহার জমা দেন।

শনিবার ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে মুঠোফোনে শিশুটির বাবা জানান, ঘটনার পর থেকে তার শিশুপুত্র মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। কারও সঙ্গে সে খুব একটা কথা বলছে না, বাড়ির বাইরে খেলতেও যাচ্ছে না।

তিনি অভিযোগ করেন, এজাহার জমা দেওয়ার একদিন পরেও অভিযুক্ত আব্দুর রহিমকে আইনের আওতায় আনা হয়নি। বরং এজাহার তুলে না নিলে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। এতে তিনি আতঙ্কের মধ্যে আছেন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির মন্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করে হলেও তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ স ম আব্দুর নূর জানান, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ তিনি হাতে পেয়েছেন। তদন্তের জন্য রাতেই একজন পুলিশ অফিসারকে নিযুক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরপরই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।