ঢাকা ০৯:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ট্রেন ছাড়তে দেরি কারায় যাত্রী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় ০৪:৫৯:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 26



পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার লোকাল শরৎনগর স্টেশনে একাতা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

ট্রেন ছাড়তে দেরি করায় তর্কের জেরে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সোমবার ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে মর্মে জানা গেছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এবিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ দেননি।

রেলওয়ে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোরে পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গুড়া স্টেশনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মেরামত কাজ চলায় সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শরৎনগর স্টেশনে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে থামিয়ে রাখা হয়। ভাঙ্গুড়া স্টেশনে ক্ষতিগ্রস্থ রেল লাইনে কাজ শেষ না হওয়ায় ওউ ট্রেনটি ছাড়তে বিলম্ব হয়।

কিন্তু ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়ায় যাত্রীরা হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। প্রথমে তারা স্টেশন মাস্টার তওহীদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তর্কবির্তকের ও মারধরের চেষ্টা চালান। এরপর আরও যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে স্টেশনে হইচই করে স্টেশনে ভাংচুর করে ও স্টেশন মাস্টারকে মারতে চড়াও হলে স্টেশন মাস্টার পাশের মসজিদে ঢুকে আশ্রয় নেন। প্রাণ বাঁচাতে স্টেশন মাস্টার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসি এসে বিক্ষুদ্ধ যাত্রীদের প্রতিহত করেন।

এ ঘটনায় কামরুল হাসান রিফাত ও আকাশ নামে স্থানীয় দুই যুবক আহত হন ও ট্রেনযাত্রী কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

মসজিদের মাইকে ঘোষণা শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আরও গ্রামবাসী। তারা জড়ো হয়ে যাত্রীদের প্রতিরোধ করেন। ট্রেনে উঠেও কয়েকজন যাত্রীকে মারধর করে স্থানীয় কিছু যুবক। সর্বশেষ পিছু হটে যাত্রীরা। খবর পেয়ে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ট্রেনটিকে স্টেশন থেকে এক কিলোমিটার দূরে সরিয়ে নেয়।

এবিষয়ে শরৎনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. তাওহিদ হোসেন বলেন, ভাঙ্গুড়া স্টেশনের কাছে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মেরামত কাজ চলছিল। যে কারণে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সোমবার রাত ৮টা ৩২ মিনিটে শরৎনগর স্টেশনে আসার পর কন্ট্রেল রুমের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী দাঁড় করানো হয়। ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়ায় রাত পৌনে সাড়ে ৯ টার দিকে কয়েকজন যাত্রী এসে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এসময় যাত্রীদের মধ্যেই দুই গ্রুপ হয়ে যায়। তাদের মধ্যে বেশি ক্ষুব্ধ গ্রুপটি তার কক্ষের একটি চেয়ার ভাঙচুর করে। বাধ্য হয়ে তিনি পাশের মসজিদে আশ্রায় নেন। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে আসার পর তারা চলে যায়। তখন ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ ট্রেনের জানালা ভাঙচুর করে। পুলিশ আসার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। রাত ১০টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি ছেড়ে যায় বলে জানান তিনি।

ভাঙ্গুড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পরে ট্রেনটিকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। যাত্রী ও এলাকাবাসীর মারামারিতে কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে কেউ অভিযোগ দেয়নি।

এই রকম আরও টপিক

ট্রেন ছাড়তে দেরি কারায় যাত্রী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ

প্রকাশিত সময় ০৪:৫৯:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫



পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার লোকাল শরৎনগর স্টেশনে একাতা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

ট্রেন ছাড়তে দেরি করায় তর্কের জেরে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সোমবার ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে মর্মে জানা গেছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এবিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ দেননি।

রেলওয়ে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোরে পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গুড়া স্টেশনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মেরামত কাজ চলায় সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শরৎনগর স্টেশনে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে থামিয়ে রাখা হয়। ভাঙ্গুড়া স্টেশনে ক্ষতিগ্রস্থ রেল লাইনে কাজ শেষ না হওয়ায় ওউ ট্রেনটি ছাড়তে বিলম্ব হয়।

কিন্তু ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়ায় যাত্রীরা হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। প্রথমে তারা স্টেশন মাস্টার তওহীদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তর্কবির্তকের ও মারধরের চেষ্টা চালান। এরপর আরও যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে স্টেশনে হইচই করে স্টেশনে ভাংচুর করে ও স্টেশন মাস্টারকে মারতে চড়াও হলে স্টেশন মাস্টার পাশের মসজিদে ঢুকে আশ্রয় নেন। প্রাণ বাঁচাতে স্টেশন মাস্টার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসি এসে বিক্ষুদ্ধ যাত্রীদের প্রতিহত করেন।

এ ঘটনায় কামরুল হাসান রিফাত ও আকাশ নামে স্থানীয় দুই যুবক আহত হন ও ট্রেনযাত্রী কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

মসজিদের মাইকে ঘোষণা শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আরও গ্রামবাসী। তারা জড়ো হয়ে যাত্রীদের প্রতিরোধ করেন। ট্রেনে উঠেও কয়েকজন যাত্রীকে মারধর করে স্থানীয় কিছু যুবক। সর্বশেষ পিছু হটে যাত্রীরা। খবর পেয়ে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ট্রেনটিকে স্টেশন থেকে এক কিলোমিটার দূরে সরিয়ে নেয়।

এবিষয়ে শরৎনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. তাওহিদ হোসেন বলেন, ভাঙ্গুড়া স্টেশনের কাছে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মেরামত কাজ চলছিল। যে কারণে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সোমবার রাত ৮টা ৩২ মিনিটে শরৎনগর স্টেশনে আসার পর কন্ট্রেল রুমের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী দাঁড় করানো হয়। ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়ায় রাত পৌনে সাড়ে ৯ টার দিকে কয়েকজন যাত্রী এসে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এসময় যাত্রীদের মধ্যেই দুই গ্রুপ হয়ে যায়। তাদের মধ্যে বেশি ক্ষুব্ধ গ্রুপটি তার কক্ষের একটি চেয়ার ভাঙচুর করে। বাধ্য হয়ে তিনি পাশের মসজিদে আশ্রায় নেন। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে আসার পর তারা চলে যায়। তখন ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ ট্রেনের জানালা ভাঙচুর করে। পুলিশ আসার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। রাত ১০টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি ছেড়ে যায় বলে জানান তিনি।

ভাঙ্গুড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পরে ট্রেনটিকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। যাত্রী ও এলাকাবাসীর মারামারিতে কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে কেউ অভিযোগ দেয়নি।