ঈশ্বরদী-কুষ্টিয়া মহাসড়কে বাস উল্টে আহত ২১

- প্রকাশিত সময় ০৪:৩০:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
- / 23
<>পাবনার ঈশ্বরদীতে শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কে উল্টে পড়েছে। এতে অন্তত ২১ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়াতে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
শনিবার ১৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২টার দিকে দাশুড়িয়া-কুষ্টিয়া মহাসড়কের মিরকামারী চাঁদ আলী মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে যেসকল আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায় তারা হলেন- নাটোর জেলার মোঃ সুলতানের ছেলে সোহেল, সাইফুলের ছেলে মেহেদী, মোকলেছের ছেলে রানা, ঝালকাঠি জেলার মোঃ আব্দুল কাইয়ুম খানের ছেলে ইমরুল কবির, নওগা জেলার মোঃ নিশানের স্ত্রী তামান্না খাতুন, আজাদ হোসেনের ছেলে নিশান, চুয়াডাঙ্গা জেলার আব্দুল জলিলের ছেলে আলতাব হোসেন, নওগাঁ জেলার নজরুলের ছেলে হাবিবুর রহমান, কুষ্টিয়া জেলার আলী হোসেন রানা, বগুড়া জেলার সোহাগ, পটুয়াখালী জেলার মোঃ শাহজাহানের মেয়ে তাসলিমা খাতুন, মোঃ আহমেদের ছেলে শাহজাহান, চুয়াডাঙ্গা জেলা গাংনী উপজেলার মোঃ আব্দুল জলিলের ছেলে আফতাবউদ্দিন, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার মোঃ সাইদ আলীর ছেলে বাবলু, নওগাঁর রাণীনগর গ্রামের মোঃ শাহাদত হোসেনের ছেলে সজিব, ঝালকাঠির হোসেনপুর গ্রামের মনেন্দ্র হালদারের ছেলে রঙ্গলাল হালদার, একই গ্রামের অনাতাচরন রায়ের ছেলে মাখম রায়, নওগাঁ জেলার মোঃ আনিসুর রহমানের ছেলে আল মামুন।
ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মীর আমিরুল ইসলাম জানান, বাসের ভেতরে আটকা পড়া কয়েকজন যাত্রীকে আমরা অনেক কষ্টে উদ্ধার করেছি। মোট ২১ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৪-৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঈশ্বরদী, রূপপুর মডার্ন ও গ্রিনসিটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের তিনটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে।
পাকশী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান বলেন, কুয়াকাটা থেকে নওগাঁ যাচ্ছিল শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের বাসটি। পথে মিরকামারী চাঁদ আলী মোড়ে সড়কে জমে থাকা কাদা-মাটিতে চাকা পিছলে যায়। ফলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি মহাসড়কের ওপর উল্টে পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনার কারণে প্রায় এক ঘণ্টা দাশুড়িয়া-কুষ্টিয়া মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পরে উদ্ধার অভিযান শেষে এবং দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি সরিয়ে নেয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রাইভেট কারে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ড্রাম ট্রাক থেকে পড়ে মহাসড়কে কাদামাটি জমে ছিল। ফলে বাসটি ওই স্থানে আসা মাত্রই নিয়ন্ত্রণ হারায়, বাসটি উল্টে যাওয়ার সময় বিকট শব্দ হয়। পরে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার কার্যক্রমে সহযোগিতা করে। স্থানীয়রা দ্রুত সড়কের মাটি অপসারণ ও যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ কাবেরী শাহ বলেন, রাত ১২ টার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি গাড়ি করে ২১ জন আহত রোগী নিয়ে হাসপাতালে আসে। তাদের হাত, পা এবং বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গিয়েছে তেমন রোগীও নেই। এদের মধ্যে মারা যাওয়ার আশঙ্কা খুবই কম। পরে যাদের সামর্থ্য ছিল তারা প্রাইভেট এম্বুলেন্স ভাড়া করে বগুড়া, বরিশাল, রাজশাহী, নওগাঁ সহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।