ঢাকা ১১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনায় প্রতিবন্ধী শিশু নক্ষত্রদের জয়জয়কার

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৩:৪০:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / 94

প্রতিবন্ধীর সকল প্রতিবন্ধকতা হটিয়ে সাফল্যোর চূড়ায় নক্ষত্র হয়ে বিজয় এঁকে চলেছে পাবনার প্রতিবন্ধী শিশুরা। সমাজের অন্য দশ জন শিশুর মত প্রতিবন্ধী শিশুরা স্বাভাবিক না।

তাদের চোখ ভাসা ভাসা তবু সেই চোখে শুধু তাদের জয়ের স্বপ্ন। ঈশ্বরের লিখা ভাগ্য নিয়ে জীবন যুদ্ধে হার না মেনে তারা এগিয়ে যাচ্ছে স্বগৌরবে। পাশাপাশি তাদের পরিবারের জন্যও তারা হয়েছে আর্শীবাদ, পরিবারকে করেছে সাবলম্বী।

এটা এক অভূতপূর্ব হার না মানার গল্প। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খেলায় পাবনার প্রতিবন্ধী শিশুদের রের্কড স্বর্ণজয় এই বার্তা দেয় যে, তারা সমাজে পিছিয়ে থাকতে চায় না।

এবছর আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড সামারর্স গেমসে ১৪ টা স্বর্ণ, ৬ টা ব্রোঞ্চ জিতে বিশ্ব দরবারে স্বগৌরবে দেশের পতাকা তুলে ধরেছেন পাবনার ভাসা ভাসা চোখের এসব নক্ষত্ররা।

২০১৭ তে অষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড উইন্টার গেমসে বাংলাদেশ থেকে ১৩ জন প্রতিবন্ধী শিশু অংশ গ্রহণ করেন সেখানে পাবনার ছিলো ৬ জন। ফ্লোর হকিতে পাবনার লড়াকু মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন এবং ছেলেরা রার্নারআপ হয় ।

২০১৫ সালে আমেরিকারর লস অ্যাঞ্জেলস এ অনুষ্ঠিত ওয়াল্ড সামার্রস গেমসে অংশগ্রহণ করে পাবনার খুশী খাতুন ও রোহান হোসেন। খুশি খাতুন স্বর্ণ আর রোহান হোসেন ব্রোঞ্চ জয় করে দেশের ঝুলিতে জয় এনে দেন।

২০১৩ সালে অস্ট্রলিয়ায় অনুষ্টিত এশিয়া প্যাসিফিক গেমসে বাংলাদেশ থেকে একজন অংশগ্রহণ করেন সে পাবনার খুশি খাতুন। স্বর্ণজয়ী প্রতিবন্ধী খুশি খাতুনের বাড়ি পাবনা সদরের জালালপুরে।

জম্মের পর থেকেই তাদের সংসারে দারিদ্রতা তার উপর প্রতিবন্ধী শিশুটিকে নিয়ে রাজ্যর চিন্তায় পড়ে যান তার ভ্যানচালক বাবা।

কিন্তু প্রতিবন্ধী হয়েও হাল না ছাড়া খুশি খাতুন জিতেছেন স্বর্ণ আর পুরুষ্কারের টাকায় বাবাকে কিনে দিয়েছেন সিএনজি গাড়ী। তার জন্যই পরিবারটি এখন সাবলম্বী। সুন্দরভাবেই চলছে সংসার।

স্বর্নজয়ী প্রতিবন্ধী রোহানের বাড়ি পাবনা শহরের কৃষ্ণপুর মাঠপাড়ায়। তার অভাব অনটনের সংসারেও এখন আলোর দিশা। সেইও পুরুষ্কারের টাকায় বাবাকে সিএনজি কিনে দিয়েছেন।

তাদের পরিবারও এখন স্বচ্ছল। যেখানে প্রতিবন্ধীদের পরিবারে ও সমাজে বোঝা মনে করা হয় সেখানে আজ তারা অর্শীবাদ। এমন এক, একটি গল্প বলে দেয় মেধাবী এসব প্রতিবন্ধীদের দিন বদল এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

পাবনার প্রতিবন্ধী এসব শিশুদের কাঁচ থেকে হিরা বানানোর পেছনে অবদান রেখে চলেছেন স্পেশাল অলিম্পিক এর পরিচালক ও পাবনা স্পেশাল অলিম্পিকস এর সাধারন সম্পাদক রেজাউল হোসেন বাদশা। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীরা আজ সমাজে পিছিয়ে নেই।

পাবনার প্রতিবন্ধীরা ক্রিয়া অঙ্গনে যে ভূমিকা রাখছেন অবাক করার মত। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তারা অভূতপূর্ব স্যাফল্যর বয়ে এনেছে। তাদের এই সাফল্য শুধু তাদের নয় সকল স্তরের প্রতিবন্ধী শিশুদের অনুপ্রেরণা দান করেছে।

পাশাপাশি তারা তাদের পরিবারকে সাবলম্বী করার স্বপ্ন দেখছে। তাদের আর্তবিশ্বাস সত্যি সবার জন্য অনুপ্রেরণাকর। শ্রীলংকা নেপাল সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি ২০২১ সালে সুইডেন যাবে পাবনার ভাসা ভাসা চোখের এসব প্রতিবন্ধীরা।

সেখানে তারা ওয়াড উইন্টার গেমসে অংশগ্রহণ করবে। বর্তমানে পাবনা শহরের শহীদ আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতিভা অন্বেষণ চলছে।

ফুটবল ভলিবল টেবিলটেনিস এ্যাথলেকিকস সহ বিভিন্ন খেলায় এসব শিশুরা কে কেমন পারদর্শী এবং কোন শিশু কোন খেলায় ভালো করবে সে বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।

তাদের কোচ হিসেবে দায়ীত্ব পালন করছেন রাশিদা আক্তার রিপা,কোচ মাহিদুল হাসান নিক্কন,কোচ সজিব হোসেন, কোচ খুরশীদ আলম, কোচ মোহাম্মদ আলী। এসব প্রতিবন্ধী শিশুরা সমাজ ও পরিবারের জন্য অভিসাপ নয় আর্শীবাদ বয়ে আনছে।

দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করে বিশ্ব দরবারে স্বগৌরবে তুলে ধরছেন লাল সবুজের পতাকা। পাশাপাশি সমাজে পিছিয়ে পড়া প্রতিবন্ধী শিশুদের থেমে না থাকার জন্য উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে।

পাবনায় প্রতিবন্ধী শিশু নক্ষত্রদের জয়জয়কার

প্রকাশিত সময় ০৩:৪০:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৯

প্রতিবন্ধীর সকল প্রতিবন্ধকতা হটিয়ে সাফল্যোর চূড়ায় নক্ষত্র হয়ে বিজয় এঁকে চলেছে পাবনার প্রতিবন্ধী শিশুরা। সমাজের অন্য দশ জন শিশুর মত প্রতিবন্ধী শিশুরা স্বাভাবিক না।

তাদের চোখ ভাসা ভাসা তবু সেই চোখে শুধু তাদের জয়ের স্বপ্ন। ঈশ্বরের লিখা ভাগ্য নিয়ে জীবন যুদ্ধে হার না মেনে তারা এগিয়ে যাচ্ছে স্বগৌরবে। পাশাপাশি তাদের পরিবারের জন্যও তারা হয়েছে আর্শীবাদ, পরিবারকে করেছে সাবলম্বী।

এটা এক অভূতপূর্ব হার না মানার গল্প। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খেলায় পাবনার প্রতিবন্ধী শিশুদের রের্কড স্বর্ণজয় এই বার্তা দেয় যে, তারা সমাজে পিছিয়ে থাকতে চায় না।

এবছর আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড সামারর্স গেমসে ১৪ টা স্বর্ণ, ৬ টা ব্রোঞ্চ জিতে বিশ্ব দরবারে স্বগৌরবে দেশের পতাকা তুলে ধরেছেন পাবনার ভাসা ভাসা চোখের এসব নক্ষত্ররা।

২০১৭ তে অষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড উইন্টার গেমসে বাংলাদেশ থেকে ১৩ জন প্রতিবন্ধী শিশু অংশ গ্রহণ করেন সেখানে পাবনার ছিলো ৬ জন। ফ্লোর হকিতে পাবনার লড়াকু মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন এবং ছেলেরা রার্নারআপ হয় ।

২০১৫ সালে আমেরিকারর লস অ্যাঞ্জেলস এ অনুষ্ঠিত ওয়াল্ড সামার্রস গেমসে অংশগ্রহণ করে পাবনার খুশী খাতুন ও রোহান হোসেন। খুশি খাতুন স্বর্ণ আর রোহান হোসেন ব্রোঞ্চ জয় করে দেশের ঝুলিতে জয় এনে দেন।

২০১৩ সালে অস্ট্রলিয়ায় অনুষ্টিত এশিয়া প্যাসিফিক গেমসে বাংলাদেশ থেকে একজন অংশগ্রহণ করেন সে পাবনার খুশি খাতুন। স্বর্ণজয়ী প্রতিবন্ধী খুশি খাতুনের বাড়ি পাবনা সদরের জালালপুরে।

জম্মের পর থেকেই তাদের সংসারে দারিদ্রতা তার উপর প্রতিবন্ধী শিশুটিকে নিয়ে রাজ্যর চিন্তায় পড়ে যান তার ভ্যানচালক বাবা।

কিন্তু প্রতিবন্ধী হয়েও হাল না ছাড়া খুশি খাতুন জিতেছেন স্বর্ণ আর পুরুষ্কারের টাকায় বাবাকে কিনে দিয়েছেন সিএনজি গাড়ী। তার জন্যই পরিবারটি এখন সাবলম্বী। সুন্দরভাবেই চলছে সংসার।

স্বর্নজয়ী প্রতিবন্ধী রোহানের বাড়ি পাবনা শহরের কৃষ্ণপুর মাঠপাড়ায়। তার অভাব অনটনের সংসারেও এখন আলোর দিশা। সেইও পুরুষ্কারের টাকায় বাবাকে সিএনজি কিনে দিয়েছেন।

তাদের পরিবারও এখন স্বচ্ছল। যেখানে প্রতিবন্ধীদের পরিবারে ও সমাজে বোঝা মনে করা হয় সেখানে আজ তারা অর্শীবাদ। এমন এক, একটি গল্প বলে দেয় মেধাবী এসব প্রতিবন্ধীদের দিন বদল এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

পাবনার প্রতিবন্ধী এসব শিশুদের কাঁচ থেকে হিরা বানানোর পেছনে অবদান রেখে চলেছেন স্পেশাল অলিম্পিক এর পরিচালক ও পাবনা স্পেশাল অলিম্পিকস এর সাধারন সম্পাদক রেজাউল হোসেন বাদশা। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীরা আজ সমাজে পিছিয়ে নেই।

পাবনার প্রতিবন্ধীরা ক্রিয়া অঙ্গনে যে ভূমিকা রাখছেন অবাক করার মত। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তারা অভূতপূর্ব স্যাফল্যর বয়ে এনেছে। তাদের এই সাফল্য শুধু তাদের নয় সকল স্তরের প্রতিবন্ধী শিশুদের অনুপ্রেরণা দান করেছে।

পাশাপাশি তারা তাদের পরিবারকে সাবলম্বী করার স্বপ্ন দেখছে। তাদের আর্তবিশ্বাস সত্যি সবার জন্য অনুপ্রেরণাকর। শ্রীলংকা নেপাল সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি ২০২১ সালে সুইডেন যাবে পাবনার ভাসা ভাসা চোখের এসব প্রতিবন্ধীরা।

সেখানে তারা ওয়াড উইন্টার গেমসে অংশগ্রহণ করবে। বর্তমানে পাবনা শহরের শহীদ আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতিভা অন্বেষণ চলছে।

ফুটবল ভলিবল টেবিলটেনিস এ্যাথলেকিকস সহ বিভিন্ন খেলায় এসব শিশুরা কে কেমন পারদর্শী এবং কোন শিশু কোন খেলায় ভালো করবে সে বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।

তাদের কোচ হিসেবে দায়ীত্ব পালন করছেন রাশিদা আক্তার রিপা,কোচ মাহিদুল হাসান নিক্কন,কোচ সজিব হোসেন, কোচ খুরশীদ আলম, কোচ মোহাম্মদ আলী। এসব প্রতিবন্ধী শিশুরা সমাজ ও পরিবারের জন্য অভিসাপ নয় আর্শীবাদ বয়ে আনছে।

দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করে বিশ্ব দরবারে স্বগৌরবে তুলে ধরছেন লাল সবুজের পতাকা। পাশাপাশি সমাজে পিছিয়ে পড়া প্রতিবন্ধী শিশুদের থেমে না থাকার জন্য উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে।