ঢাকা ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের দু’পাশে ময়লা আবর্জনার স্তূপ : দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ জনজীবন

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০১:১১:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২০
  • / 89

ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের দু’পাশ। এ সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। 

শার্শা উপজেলার নাভারণ ও বেনাপোলের মাঝ বরাবর যা উপজেলার খুব কাছেই এমন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হলেও তা যেন দেখার কেউ নেই।

যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। ময়লা ফেলার নির্ধারিত জায়গা ও ডাস্টবিনের অভাবে আবর্জনার স্তূপ তৈরি হয়েছে দীর্ঘতম সড়কের বিভিন্ন জায়গায়। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ  ।

মানুষকে নাকে রুমাল দিয়ে চলাচল করতে হয় সড়কের পাশে গড়ে উঠা এসব ময়লার ভাগাড়ের কারনে। দিন যত যাচ্ছে সড়কের দুই পাশে ময়লার স্তূপ তত বড় হচ্ছে। স্থানীয় হাটবাজার, পাড়া-মহল্লার বর্জ্য ফেলার স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে সড়ককের দুই ধারকে। 

ফলে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে প্রচন্ড গন্ধে। এতে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ পথচারীদের চরম ভোগান্তি পোহোতে হচ্ছে। সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ জানায় কর্তৃপক্ষের  অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিদিন ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে সড়কের ওপর। এতে অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হলেও ময়লা-আবর্জনা সরানোর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ। 

সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের দুধারে ফেলানো এসব ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থেকে দুর্গন্ধে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহনে চলাচলরত যাত্রী এবং এসব এলাকার বসবাসকারীরা। দুর্গন্ধের কারণে পেটের পীড়া সহ নানাবিধ রোগাক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: অশোক কুমার সাহা।

শার্শা উপজেলা থেকে বার বার পরিবেশ পদক পাওয়া উদ্ভাবক মিজানুর রহমান জানান, ব্যাস্ততম এই সড়কের অনেক জায়গায় ময়লা-আবর্জনার স্তূপ রয়েছে। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ শিশুসহ নারী-পুরুষ সবাই। ফলে সংশ্লিষ্টদের নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।

পথচারী জোছনা বানু বলেন, সড়কে স্তূপ করে রাখা ময়লা-আবর্জনা ও মরা মুরগির বিষ্ঠার  গন্ধে চলাচল করতে কষ্ট হয়। মুখ চেপে শ্বাস বন্ধ করে হাঁটতে হয়। আমরা এ দুর্গন্ধ থেকে পরিত্রাণ চাই। 

এমতাবস্থায় কর্তৃপক্ষের এবিষয়ের উপর সুদৃষ্টি একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল।

 

যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের দু’পাশে ময়লা আবর্জনার স্তূপ : দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ জনজীবন

প্রকাশিত সময় ০১:১১:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২০

ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের দু’পাশ। এ সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। 

শার্শা উপজেলার নাভারণ ও বেনাপোলের মাঝ বরাবর যা উপজেলার খুব কাছেই এমন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হলেও তা যেন দেখার কেউ নেই।

যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। ময়লা ফেলার নির্ধারিত জায়গা ও ডাস্টবিনের অভাবে আবর্জনার স্তূপ তৈরি হয়েছে দীর্ঘতম সড়কের বিভিন্ন জায়গায়। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ  ।

মানুষকে নাকে রুমাল দিয়ে চলাচল করতে হয় সড়কের পাশে গড়ে উঠা এসব ময়লার ভাগাড়ের কারনে। দিন যত যাচ্ছে সড়কের দুই পাশে ময়লার স্তূপ তত বড় হচ্ছে। স্থানীয় হাটবাজার, পাড়া-মহল্লার বর্জ্য ফেলার স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে সড়ককের দুই ধারকে। 

ফলে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে প্রচন্ড গন্ধে। এতে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ পথচারীদের চরম ভোগান্তি পোহোতে হচ্ছে। সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ জানায় কর্তৃপক্ষের  অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিদিন ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে সড়কের ওপর। এতে অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হলেও ময়লা-আবর্জনা সরানোর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ। 

সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের দুধারে ফেলানো এসব ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থেকে দুর্গন্ধে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহনে চলাচলরত যাত্রী এবং এসব এলাকার বসবাসকারীরা। দুর্গন্ধের কারণে পেটের পীড়া সহ নানাবিধ রোগাক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: অশোক কুমার সাহা।

শার্শা উপজেলা থেকে বার বার পরিবেশ পদক পাওয়া উদ্ভাবক মিজানুর রহমান জানান, ব্যাস্ততম এই সড়কের অনেক জায়গায় ময়লা-আবর্জনার স্তূপ রয়েছে। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ শিশুসহ নারী-পুরুষ সবাই। ফলে সংশ্লিষ্টদের নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।

পথচারী জোছনা বানু বলেন, সড়কে স্তূপ করে রাখা ময়লা-আবর্জনা ও মরা মুরগির বিষ্ঠার  গন্ধে চলাচল করতে কষ্ট হয়। মুখ চেপে শ্বাস বন্ধ করে হাঁটতে হয়। আমরা এ দুর্গন্ধ থেকে পরিত্রাণ চাই। 

এমতাবস্থায় কর্তৃপক্ষের এবিষয়ের উপর সুদৃষ্টি একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল।