ঢাকা ০৬:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে ইরি চাষাবাদে ব্যস্ত পাবনার চাষিরা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০১:২৪:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 73

রাজিবুল করিম রোমিও, (ভাঙ্গুড়া)পাবনাঃ ধানের দাম বাড়লেও লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে ইরি চাষাবাদে ব্যস্ত পাবনা জেলার চাষিরা।

শীতের মৌসুমে কয়েক দফা বৃষ্টি, ঘন কুয়াশা, শীত ও আবহাওয়া বিপর্যয়ে বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেরিতে শুরু হয়েছে চাষাবাদ। কৃষকরা বলছেন, বর্তমানে তাদের ঘরে ধান নেই। বাজারে যা বিক্রি হচ্ছে তা বড় বড় ব্যবসায়ীদের। সরকার ধান কিনলেও তা পর্যাপ্ত নয়।

চাষিরা জানান, গত কয়েক বছরে ধানের আবাদ করে লোকসানে পড়েছেন চাষিরা।ধানের উৎপাদন কম, অন্যদিকে শ্রমিকের মূল্য বৃদ্ধি এবং বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন কৃষকরা। প্রতিবিঘা জমিতে আবাদ করতে ১২-১৪ হাজার টাকা খরচ হয়। বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছিল ১৫-১৯ মণ।

অপরদিকে সার, ওষুধ ও কাটা-মাড়াইসহ ইরি ধানের আবাদ করতে প্রায় ৮-৯ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। এ বছর ফলনও ভালো হয়েছে। বিঘাপ্রতি প্রায় ১৮-২২ মণ। প্রথমদিকে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিলেও পরে কীটনাশক প্রয়োগে রক্ষা পায়।

সরকার ২৬ টাকা কেজি দরে আগাম ধান কেনার ঘোষণা দিয়েছিল। তবে খোলা বাজারে দাম নিয়ে সারা বছরই দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।

বর্তমানে বাজারে জিরাশাইল ১০৩০-১০৪০ টাকা, কাটারি ১১০০-১১৫০ টাকা, চিনিগুড়া ১৯০০-১৯৫০ টাকা, আমন স্বর্ণা-৫, ৭২০-৭৪০ টাকা। গত ১৫ দিনে প্রতিমণ ধানে ৫০-১০০ টাকা বেড়েছে।

ভাংগুড়ার খান মরিচ গ্রামের কৃষক আলম বলেন, ‘গত বছর ইরি ধানের আবাদ করতে গিয়ে খরচ বেশি ও ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সরকার যে ধান কিনছেন, তা পর্যাপ্ত না। যে কারণে খোলা বাজারে কম দামে বিক্রি করতে হয়। সরকারের উচিত কৃষকদের ধানের দাম দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা। বেশি ধান কিনলেও কৃষকরা উপকৃত হবে।

লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে ইরি চাষাবাদে ব্যস্ত পাবনার চাষিরা

প্রকাশিত সময় ০১:২৪:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০

রাজিবুল করিম রোমিও, (ভাঙ্গুড়া)পাবনাঃ ধানের দাম বাড়লেও লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে ইরি চাষাবাদে ব্যস্ত পাবনা জেলার চাষিরা।

শীতের মৌসুমে কয়েক দফা বৃষ্টি, ঘন কুয়াশা, শীত ও আবহাওয়া বিপর্যয়ে বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেরিতে শুরু হয়েছে চাষাবাদ। কৃষকরা বলছেন, বর্তমানে তাদের ঘরে ধান নেই। বাজারে যা বিক্রি হচ্ছে তা বড় বড় ব্যবসায়ীদের। সরকার ধান কিনলেও তা পর্যাপ্ত নয়।

চাষিরা জানান, গত কয়েক বছরে ধানের আবাদ করে লোকসানে পড়েছেন চাষিরা।ধানের উৎপাদন কম, অন্যদিকে শ্রমিকের মূল্য বৃদ্ধি এবং বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন কৃষকরা। প্রতিবিঘা জমিতে আবাদ করতে ১২-১৪ হাজার টাকা খরচ হয়। বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছিল ১৫-১৯ মণ।

অপরদিকে সার, ওষুধ ও কাটা-মাড়াইসহ ইরি ধানের আবাদ করতে প্রায় ৮-৯ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। এ বছর ফলনও ভালো হয়েছে। বিঘাপ্রতি প্রায় ১৮-২২ মণ। প্রথমদিকে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিলেও পরে কীটনাশক প্রয়োগে রক্ষা পায়।

সরকার ২৬ টাকা কেজি দরে আগাম ধান কেনার ঘোষণা দিয়েছিল। তবে খোলা বাজারে দাম নিয়ে সারা বছরই দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।

বর্তমানে বাজারে জিরাশাইল ১০৩০-১০৪০ টাকা, কাটারি ১১০০-১১৫০ টাকা, চিনিগুড়া ১৯০০-১৯৫০ টাকা, আমন স্বর্ণা-৫, ৭২০-৭৪০ টাকা। গত ১৫ দিনে প্রতিমণ ধানে ৫০-১০০ টাকা বেড়েছে।

ভাংগুড়ার খান মরিচ গ্রামের কৃষক আলম বলেন, ‘গত বছর ইরি ধানের আবাদ করতে গিয়ে খরচ বেশি ও ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সরকার যে ধান কিনছেন, তা পর্যাপ্ত না। যে কারণে খোলা বাজারে কম দামে বিক্রি করতে হয়। সরকারের উচিত কৃষকদের ধানের দাম দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা। বেশি ধান কিনলেও কৃষকরা উপকৃত হবে।