ঢাকা ১১:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

শখ থেকে রঙিন মাছ চাষ করে এখন সফল উদ্যোক্তা গাইবান্ধার নবীন

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১০:১২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মার্চ ২০২১
  • / 200

Nabin_Fish_Culturer

সাকিব হাসান চৌধুরী, গাইবান্ধাঃ নিতান্তই শখের বশে রঙিন মাছের চাষ শুরু করলেও গাইবান্ধার নিয়াজ মোর্শেদ নবীন এখন একজন সফল উদ্যোক্তা।

নিয়াজ মোর্শেদ নবীন গাইবান্ধার জেলা শহরের ডিসি অফিস থেকে সামনে সুখশান্তি বাজারের বনবিভাগ রোডে বসবাস করে এবং সেখানেই সে রঙিন মাছ চাষ করে।

তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বাহারি নানা প্রজাতির মাছদের সকালের খাবার খাওয়াচ্ছেন তিনি। এই মাছ দেখলে যেমন চোখ জুড়ায়, তেমন মন ভরে যায়।

আঙিনায় ছোট বড় ইট দিয়ে তৈরি চৌবাচ্চায় রাখা ও বিশ্বাল ট্যাংক এর পানিতে ভাসছে নানা রঙের রঙিন মাছ।

এর মধ্যে লাল, নীল, কমলা, কালো, বাদামি, হলুদ রঙের মাছের ছড়াছড়ি। গোল্ড ফিশ, গাপ্পি, ব্লাকমোর,কমেট, রেড ক্যাপ, মলি, বেলুন মলি সহ এছাড়াও রয়েছে অনেক ধরনের মাছ।

২ বছর আগে রঙিন মাছ চাষ শুরু করেন তিনি। রংপুর এর মৃদুল রহমান স্যার এর পরামর্শ, তারপর তার খালাতো ভাই সালমান সরদার দুজনেই তাকে মাছ চাষে নানা পরামর্শ দিতে থাকেন।

শুরু দিকে তিনি অটোব্রিডিং এর মাছ দিয়ে যেমন মলি, প্লাটি, গাপ্পি মাছ দিয়ে শুরু করেন।

আর এখন সব মিলে তিনি মাসে ৮-১০ হাজার টাকা আয় করেন। সব কিছুবাদ দিয়ে বছরে প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় করেন। আর করোনার সময় বেশি বিক্রি হয়েছে হয়েছে বলে তিনি জানান।

এ্যাকুরিয়াম এর সকল সরঞ্জামও পাওয়া যায় তার কাছে। গাইবান্ধা কালার ফিস নামে এ্যাকুরিয়াম ও রঙিন মাছের শপ সমগ্র গাইবান্ধায় এখন পরিচিত নাম। তিনি গাইবান্ধার মধ্যে পাইকারি মূল্যে এসব পন্য বিক্রি করেন।

তিনি বলেন, কে কেমন সেল করে আমি জানি না। কিন্তু মানুষের শখকে কাজে লাগিয়ে অসাধু কিছু লোক দাম বেশি নিচ্ছে। যার কারণে মানুষের শখ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

বর্তমানে তিনি মৎস চাষের পাশাপাশি নিউ মেরিট কেয়ার কোচিং এ শিক্ষক হিসেবে আছেন।

শখ থেকে রঙিন মাছ চাষ করে এখন সফল উদ্যোক্তা গাইবান্ধার নবীন

প্রকাশিত সময় ১০:১২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মার্চ ২০২১

সাকিব হাসান চৌধুরী, গাইবান্ধাঃ নিতান্তই শখের বশে রঙিন মাছের চাষ শুরু করলেও গাইবান্ধার নিয়াজ মোর্শেদ নবীন এখন একজন সফল উদ্যোক্তা।

নিয়াজ মোর্শেদ নবীন গাইবান্ধার জেলা শহরের ডিসি অফিস থেকে সামনে সুখশান্তি বাজারের বনবিভাগ রোডে বসবাস করে এবং সেখানেই সে রঙিন মাছ চাষ করে।

তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বাহারি নানা প্রজাতির মাছদের সকালের খাবার খাওয়াচ্ছেন তিনি। এই মাছ দেখলে যেমন চোখ জুড়ায়, তেমন মন ভরে যায়।

আঙিনায় ছোট বড় ইট দিয়ে তৈরি চৌবাচ্চায় রাখা ও বিশ্বাল ট্যাংক এর পানিতে ভাসছে নানা রঙের রঙিন মাছ।

এর মধ্যে লাল, নীল, কমলা, কালো, বাদামি, হলুদ রঙের মাছের ছড়াছড়ি। গোল্ড ফিশ, গাপ্পি, ব্লাকমোর,কমেট, রেড ক্যাপ, মলি, বেলুন মলি সহ এছাড়াও রয়েছে অনেক ধরনের মাছ।

২ বছর আগে রঙিন মাছ চাষ শুরু করেন তিনি। রংপুর এর মৃদুল রহমান স্যার এর পরামর্শ, তারপর তার খালাতো ভাই সালমান সরদার দুজনেই তাকে মাছ চাষে নানা পরামর্শ দিতে থাকেন।

শুরু দিকে তিনি অটোব্রিডিং এর মাছ দিয়ে যেমন মলি, প্লাটি, গাপ্পি মাছ দিয়ে শুরু করেন।

আর এখন সব মিলে তিনি মাসে ৮-১০ হাজার টাকা আয় করেন। সব কিছুবাদ দিয়ে বছরে প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় করেন। আর করোনার সময় বেশি বিক্রি হয়েছে হয়েছে বলে তিনি জানান।

এ্যাকুরিয়াম এর সকল সরঞ্জামও পাওয়া যায় তার কাছে। গাইবান্ধা কালার ফিস নামে এ্যাকুরিয়াম ও রঙিন মাছের শপ সমগ্র গাইবান্ধায় এখন পরিচিত নাম। তিনি গাইবান্ধার মধ্যে পাইকারি মূল্যে এসব পন্য বিক্রি করেন।

তিনি বলেন, কে কেমন সেল করে আমি জানি না। কিন্তু মানুষের শখকে কাজে লাগিয়ে অসাধু কিছু লোক দাম বেশি নিচ্ছে। যার কারণে মানুষের শখ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

বর্তমানে তিনি মৎস চাষের পাশাপাশি নিউ মেরিট কেয়ার কোচিং এ শিক্ষক হিসেবে আছেন।