ঢাকা ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে পিবিআই এর জালে পরল ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট আনিকা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১১:৩৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অগাস্ট ২০২১
  • / 70

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পৌরএলাকা মধ্য গৌরীপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে আনিকা তাসনিম সরকার (অনামিকা) নামের এক ভুয়া নারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে আটক করেছে রংপুর পিবিআই।

আটক আনিকা  (অনামিকা) পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. শাহাজাহান আলী সরকার পুতুর তৃতীয় কন্যা। রংপুর পিবিআই সুত্রে জানা যায়, গত ০২ আগস্ট আনজু মিয়াকে (৫১) সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর (কারা) বাসা থেকে শহরে  আসে আর বাড়ি না ফিরলে পরদিন তার সন্তান ও স্ত্রী পিবিআই, রংপুরসহ পুলিশের অন্যান্য ইউনিটে তার নিখোঁজের সাধারন ডায়েরী করে।

গত ০৩ আগস্ট পিবিআই এর একটি টিম ভিকটিম আনজু মিয়াকে রংপুর শহরস্থ “সুস্থ জীবন মাদক নিরাময় কেন্দ্র” থেকে উদ্ধার করে। ভিকটিমের জবানবন্দি থেকে পিবিআই রংপুর চাঞ্চল্যকর তথ্য সংগ্রহ করে।

ভিকটিম সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর(কারা) আনজু মিয়া জানান যে, গত ৬/৭ মাস পূর্বে জনৈক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিকা তাসনিম সরকার অনামিকার সাথে বিমানে ভ্রমণকালে পরিচয় ও ব্যক্তিগত ফোন নাম্বার আদান প্রদান হয়েছে।

গত ০২ আগষ্ট সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিকা তাসনিম তাকে ফোন করে রংপুর শহরস্থ জেলা স্কুল গেইটে ডেকে পাঠান। ফোনে যোগাযোগ হতো এবং বর্তমানে তিনি দিনাজপুর কালেক্টরেটে কর্মরত আছেন মর্মে জানান।

সার্জেন্ট আনজু মিয়া স্কুল গেইটে পৌছলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিকা কে একটি সাদা নোহা মাইক্রোবাসে বসে থাকতে দেখেন। সার্জেন্ট আনজু মিয়া তাকে স্যালুট করে একপর্যায়ে ২/৩ জন অপরিচিত লোক তাকে ঘিরে ফেলে এবং “সুস্থ জীবন মাদক নিরাময় কেন্দ্রে” নিয়ে যায়।

অতঃপর তার দেহ তল্লাশি করে নগদ ৪৪ হাজার ২৫০ টাকা, একটি এঁপপর ডৎরংঃধিঃপয, একটি স্বর্ণের আংটি, ড্রাইভিং লাইন্সেস  নিয়ে নেয়। ঘটনার আকষ্মিকতায় সার্জেন্ট আনজু মিয়া এর কারণ জানতে চাইলে বলে, আপনাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিকা তাসনিম সরকার অনামিকার অনুরোধে আপনার মাদকাসক্তের চিকিৎসার স্বার্থে নিরাময় কেন্দ্রে আনা হয়েছে।

সার্জেন্ট আনজু মিয়া এর সাথে কথোপকথনের পর বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে , নিরাময় কেন্দ্র হতে ভিকটিমের ডোপ টেষ্ট করে জানা যায়। ভিকটিম সার্জেন্ট আনজু মিয়াকে গত ৩আগষ্ট পিবিআই, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে উদ্ধার করা হলে রংপুর

মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় মামলা নং-১০, তারিখ-০৪/০৮/২০২১ইং, ধারা- ১৪৩/৩৬৫/৪১৯/৩৪২/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড রুজু হয় এবং মামলাটি এসআই(নিরস্ত্র) মোঃ জোবাইদুল ইসলামকে তদন্তের জন্য অর্পন করা হয়।

ডিআইজি পিবিআই জনাব বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয় এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় এবং পিবিআই, রংপুর এর পুলিশ সুপার জনাব এবিএম জাকির হোসেন এর সার্বিক তত্বাবধানে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ পিবিআই, রংপুর এর টিম দ্রুত সময়ের মধ্যে জনৈক নারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিকা তাসনিম সরকার অনামিকাকে গ্রেফতার করা হয়।

রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন জানান একটি সংঘবদ্ধ চক্র বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এই অপরাধ সমূহ করে থাকে। ম্যাজিস্ট্রেট প্রতারক অনামিকা সরকার ও অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন ছদ্মবেশে নিত্য নতুন প্রতারনা করে মানুষ’কে ঠকিয়ে থাকে।

এদের নামে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তিনি জানান যে, উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে পুরো চক্রকে তদন্তের আওতায় আনা হবে।

আরও পরুনঃ ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে পিবিআই এর জালে পরল ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট আনিকা

প্রকাশিত সময় ১১:৩৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অগাস্ট ২০২১

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পৌরএলাকা মধ্য গৌরীপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে আনিকা তাসনিম সরকার (অনামিকা) নামের এক ভুয়া নারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে আটক করেছে রংপুর পিবিআই।

আটক আনিকা  (অনামিকা) পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. শাহাজাহান আলী সরকার পুতুর তৃতীয় কন্যা। রংপুর পিবিআই সুত্রে জানা যায়, গত ০২ আগস্ট আনজু মিয়াকে (৫১) সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর (কারা) বাসা থেকে শহরে  আসে আর বাড়ি না ফিরলে পরদিন তার সন্তান ও স্ত্রী পিবিআই, রংপুরসহ পুলিশের অন্যান্য ইউনিটে তার নিখোঁজের সাধারন ডায়েরী করে।

গত ০৩ আগস্ট পিবিআই এর একটি টিম ভিকটিম আনজু মিয়াকে রংপুর শহরস্থ “সুস্থ জীবন মাদক নিরাময় কেন্দ্র” থেকে উদ্ধার করে। ভিকটিমের জবানবন্দি থেকে পিবিআই রংপুর চাঞ্চল্যকর তথ্য সংগ্রহ করে।

ভিকটিম সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর(কারা) আনজু মিয়া জানান যে, গত ৬/৭ মাস পূর্বে জনৈক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিকা তাসনিম সরকার অনামিকার সাথে বিমানে ভ্রমণকালে পরিচয় ও ব্যক্তিগত ফোন নাম্বার আদান প্রদান হয়েছে।

গত ০২ আগষ্ট সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিকা তাসনিম তাকে ফোন করে রংপুর শহরস্থ জেলা স্কুল গেইটে ডেকে পাঠান। ফোনে যোগাযোগ হতো এবং বর্তমানে তিনি দিনাজপুর কালেক্টরেটে কর্মরত আছেন মর্মে জানান।

সার্জেন্ট আনজু মিয়া স্কুল গেইটে পৌছলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিকা কে একটি সাদা নোহা মাইক্রোবাসে বসে থাকতে দেখেন। সার্জেন্ট আনজু মিয়া তাকে স্যালুট করে একপর্যায়ে ২/৩ জন অপরিচিত লোক তাকে ঘিরে ফেলে এবং “সুস্থ জীবন মাদক নিরাময় কেন্দ্রে” নিয়ে যায়।

অতঃপর তার দেহ তল্লাশি করে নগদ ৪৪ হাজার ২৫০ টাকা, একটি এঁপপর ডৎরংঃধিঃপয, একটি স্বর্ণের আংটি, ড্রাইভিং লাইন্সেস  নিয়ে নেয়। ঘটনার আকষ্মিকতায় সার্জেন্ট আনজু মিয়া এর কারণ জানতে চাইলে বলে, আপনাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিকা তাসনিম সরকার অনামিকার অনুরোধে আপনার মাদকাসক্তের চিকিৎসার স্বার্থে নিরাময় কেন্দ্রে আনা হয়েছে।

সার্জেন্ট আনজু মিয়া এর সাথে কথোপকথনের পর বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে , নিরাময় কেন্দ্র হতে ভিকটিমের ডোপ টেষ্ট করে জানা যায়। ভিকটিম সার্জেন্ট আনজু মিয়াকে গত ৩আগষ্ট পিবিআই, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে উদ্ধার করা হলে রংপুর

মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় মামলা নং-১০, তারিখ-০৪/০৮/২০২১ইং, ধারা- ১৪৩/৩৬৫/৪১৯/৩৪২/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড রুজু হয় এবং মামলাটি এসআই(নিরস্ত্র) মোঃ জোবাইদুল ইসলামকে তদন্তের জন্য অর্পন করা হয়।

ডিআইজি পিবিআই জনাব বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয় এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় এবং পিবিআই, রংপুর এর পুলিশ সুপার জনাব এবিএম জাকির হোসেন এর সার্বিক তত্বাবধানে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ পিবিআই, রংপুর এর টিম দ্রুত সময়ের মধ্যে জনৈক নারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিকা তাসনিম সরকার অনামিকাকে গ্রেফতার করা হয়।

রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন জানান একটি সংঘবদ্ধ চক্র বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এই অপরাধ সমূহ করে থাকে। ম্যাজিস্ট্রেট প্রতারক অনামিকা সরকার ও অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন ছদ্মবেশে নিত্য নতুন প্রতারনা করে মানুষ’কে ঠকিয়ে থাকে।

এদের নামে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তিনি জানান যে, উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে পুরো চক্রকে তদন্তের আওতায় আনা হবে।

আরও পরুনঃ ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ