ঢাকা ০১:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ফ্লোটিং মার্কেটে হঠাৎ ডলারের দাম রেকর্ড ১১২ টাকা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৫:৩৯:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২
  • / 105

আমেরিকান ডলার বনাম বাংলাদেশি টাকা। ফাইল ছবি


স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৩৮ অপরাহ্ন, ২৬ জুলাই ২০২২


দেশে আন্তঃব্যাংক বাজারের সঙ্গে খোলা মুদ্রাবাজারেও (কার্ব মার্কেটে) ডলারের দাম বেড়েই চলছে। আজ মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) এ বাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১২ টাকায়, যা এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ।

রাজধানীর মতিঝিল এলাকার কার্ব মার্কেটের ডলার বিক্রেতা রাজু বলেন, বাজারে ডলারের ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু সবার কাছে ডলার বিক্রি করতে পারছি না। আজ বিক্রি করছি ১১২ টাকা থেকে ১১২.৫০ টাকায়। অন্যদিকে, খুব কম মানুষই বাজারে বিক্রির জন্য ডলার নিয়ে আসছে।

এদিকে, গতকাল সোমবারও খোলাবাজারে ডলারের দাম ছিল ১০৫-১০৬ টাকা। একদিনের ব্যবধানে ডলারের দর বেড়েছে প্রায় ছয় টাকা।

কার্ব মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলছেন, খোলাবাজারে তীব্র সংকট রয়েছে ডলারের। ব্যাংকের মতো খোলাবাজারেও ডলারের সংকট দেখা দিয়েছে। প্রবাসীদের দেশে আসা কমেছে, বিদেশি পর্যটকরাও কম আসছেন। এ কারণে ডলারের সরবরাহ কম।

এর আগে খোলাবাজারে ডলারের সর্বোচ্চ দর ওঠে গত রবিবার। ওইদিন খোলাবাজারে ডলারের দর ১০৫ টাকায় উঠেছিল। সেখান থেকে সোমবার আবার ১ টাকা কমে ১০৪ টাকায় বিক্রি হয়। খোলাবাজারের সঙ্গে ব্যাংকের আমদানি, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সেও ডলারের দর অনেক বেড়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে। সোমবার আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার বিপরীতে ডলারের দর আরও ২৫ পয়সা বেড়েছে। প্রতি ডলার ৯৪ টাকা ৭০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ব্যাংকগুলো এই দরে ডলার কিনেছে। গত এক বছরে আন্তব্যাংক দর ৯ টাকা ৯০ পয়সা বেড়েছে।

করোনা মহামারির কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরজুড়ে আমদানি বেশ কমে গিয়েছিল। কিন্তু প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে উল্লম্ফন দেখা যায়। সে কারণে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়ে যায়।

কিন্তু করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বাড়তে থাকে আমদানি ব্যয়। রপ্তানি বাড়লেও কমতে থাকে রেমিট্যান্স। বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভও কমতে থাকে। বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়; বাড়তে থাকে দাম।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


ফ্লোটিং মার্কেটে হঠাৎ ডলারের দাম রেকর্ড ১১২ টাকা

প্রকাশিত সময় ০৫:৩৯:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২

আমেরিকান ডলার বনাম বাংলাদেশি টাকা। ফাইল ছবি


স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৩৮ অপরাহ্ন, ২৬ জুলাই ২০২২


দেশে আন্তঃব্যাংক বাজারের সঙ্গে খোলা মুদ্রাবাজারেও (কার্ব মার্কেটে) ডলারের দাম বেড়েই চলছে। আজ মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) এ বাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১২ টাকায়, যা এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ।

রাজধানীর মতিঝিল এলাকার কার্ব মার্কেটের ডলার বিক্রেতা রাজু বলেন, বাজারে ডলারের ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু সবার কাছে ডলার বিক্রি করতে পারছি না। আজ বিক্রি করছি ১১২ টাকা থেকে ১১২.৫০ টাকায়। অন্যদিকে, খুব কম মানুষই বাজারে বিক্রির জন্য ডলার নিয়ে আসছে।

এদিকে, গতকাল সোমবারও খোলাবাজারে ডলারের দাম ছিল ১০৫-১০৬ টাকা। একদিনের ব্যবধানে ডলারের দর বেড়েছে প্রায় ছয় টাকা।

কার্ব মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলছেন, খোলাবাজারে তীব্র সংকট রয়েছে ডলারের। ব্যাংকের মতো খোলাবাজারেও ডলারের সংকট দেখা দিয়েছে। প্রবাসীদের দেশে আসা কমেছে, বিদেশি পর্যটকরাও কম আসছেন। এ কারণে ডলারের সরবরাহ কম।

এর আগে খোলাবাজারে ডলারের সর্বোচ্চ দর ওঠে গত রবিবার। ওইদিন খোলাবাজারে ডলারের দর ১০৫ টাকায় উঠেছিল। সেখান থেকে সোমবার আবার ১ টাকা কমে ১০৪ টাকায় বিক্রি হয়। খোলাবাজারের সঙ্গে ব্যাংকের আমদানি, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সেও ডলারের দর অনেক বেড়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে। সোমবার আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার বিপরীতে ডলারের দর আরও ২৫ পয়সা বেড়েছে। প্রতি ডলার ৯৪ টাকা ৭০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ব্যাংকগুলো এই দরে ডলার কিনেছে। গত এক বছরে আন্তব্যাংক দর ৯ টাকা ৯০ পয়সা বেড়েছে।

করোনা মহামারির কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরজুড়ে আমদানি বেশ কমে গিয়েছিল। কিন্তু প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে উল্লম্ফন দেখা যায়। সে কারণে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়ে যায়।

কিন্তু করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বাড়তে থাকে আমদানি ব্যয়। রপ্তানি বাড়লেও কমতে থাকে রেমিট্যান্স। বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভও কমতে থাকে। বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়; বাড়তে থাকে দাম।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ