ঢাকা ১০:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

এই বৃত্তি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ভারতীয় সেনাদের প্রতি বাংলাদেশের শ্রদ্ধার্ঘ্য: প্রধানমন্ত্রী

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০১:১৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / 80
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও যুদ্ধাহত ভারতীয় সেনাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রবৃত্তি’ তুলে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৭ সেপ্টেম্বর, আইটিসি মৌর্য হোটেল, নয়াদিল্লি, ভারত | ছবি: পিআইডি

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১:১৮ পূর্বাহ্ন, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২


শহীদ পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম বাংলাদেশ–ভারতের মৈত্রীর সেতু হয়ে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধে নিহত ভারতীয় জওয়ানদের পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের হাতে বৃত্তির অর্থ তুলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আশাবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এক দেশের সেনানী অন্য দেশের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিচ্ছে, এমন ঘটনা বিরল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনারা তা করেছেন। এই ছাত্রবৃত্তি তাঁদের প্রতি বাংলাদেশের শ্রদ্ধার্ঘ্য।

ভারতীয় সেনানীদের সম্মাননা প্রদর্শন বাংলাদেশের সরকার অনেক দিন ধরেই করে আসছে। এই প্রথম নিহত সেনানীদের পরিবারের স্কুলপড়ুয়াদের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রবৃত্তি’ চালু করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারত সফরের তৃতীয় দিন বুধবার বিকেলে আইটিসি মৌর্য হোটেলে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ১০ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে সেই বৃত্তি তুলে দেন। তিনি বলেন, যে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ৫০ বছর আগে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, এই বৃত্তি সেই ইতিহাসকে পুনরায় মনে করাবে। জওয়ান পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম দুই দেশের মৈত্রী দৃঢ় করতে সেতুর ভূমিকা পালন করবেন।

বার্ষিক এই বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে ২০০ ছাত্রছাত্রীকে। এসএসসি পর্যায়ে ১০০ এবং এইচএসসি পর্যায়ে ১০০ জন চলতি বছরে এই বৃত্তি পেলেন। বৃত্তির পরিমাণ এসএসসি স্তরে এককালীন ৫০০ ডলার, এইচএসসি স্তরে ১০০০ ডলার। বুধবারের অনুষ্ঠানে দেওয়া হলো ১০ জনকে। তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান, বঙ্গবন্ধুর সফল ও সুদৃঢ় নেতৃত্ব এবং ভারত–বাংলাদেশ সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন তিনি। জয়শঙ্কর বলেন, এই ভূখণ্ডের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যই দুই দেশের সম্পর্কের আধার। এই সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু চিরস্মরণীয়। বঙ্গবন্ধুকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে তাই বলেছেন, তিনি ভারতেরও জাতীয় বীর। ভারতেও তিনি প্রণম্য। সে কারণেই জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে তাঁর জীবনালেখ্য নির্মাণ হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশ নিয়ে ভারতীয় সেনারা রক্ত দিয়ে বন্ধুত্বের সংজ্ঞা তৈরি করেছেন। বৃত্তি দান অনুষ্ঠান তারই স্বীকৃতি।

বুধবারের অনুষ্ঠানে যে ১০ ভারতীয় ছাত্রছাত্রীর হাতে বৃত্তি তুলে দেওয়া হয়, যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের বীর দাদাদের প্রত্যেকের অসীম সাহস ও আত্মবলিদানের কাহিনি সংক্ষেপে বর্ণনা করেন মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী সাজ্জাদ হোসেন। তারপর সেই জওয়ানদের স্কুলপড়ুয়া নাতি–নাতনিদের হাতে বৃত্তি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ভারতের অবদান বাংলাদেশ কোনো দিনই ভুলতে পারবে না। ভারতীয় জওয়ানেরা যে আত্মত্যাগ করেছেন, এই বৃত্তি তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য, তার স্বীকৃতি।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং ভারতের কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন প্রতিমন্ত্রী সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) ভি কে সিংও উপস্থিত ছিলেন।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


এই বৃত্তি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ভারতীয় সেনাদের প্রতি বাংলাদেশের শ্রদ্ধার্ঘ্য: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত সময় ০১:১৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও যুদ্ধাহত ভারতীয় সেনাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রবৃত্তি’ তুলে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৭ সেপ্টেম্বর, আইটিসি মৌর্য হোটেল, নয়াদিল্লি, ভারত | ছবি: পিআইডি

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১:১৮ পূর্বাহ্ন, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২


শহীদ পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম বাংলাদেশ–ভারতের মৈত্রীর সেতু হয়ে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধে নিহত ভারতীয় জওয়ানদের পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের হাতে বৃত্তির অর্থ তুলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আশাবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এক দেশের সেনানী অন্য দেশের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিচ্ছে, এমন ঘটনা বিরল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনারা তা করেছেন। এই ছাত্রবৃত্তি তাঁদের প্রতি বাংলাদেশের শ্রদ্ধার্ঘ্য।

ভারতীয় সেনানীদের সম্মাননা প্রদর্শন বাংলাদেশের সরকার অনেক দিন ধরেই করে আসছে। এই প্রথম নিহত সেনানীদের পরিবারের স্কুলপড়ুয়াদের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রবৃত্তি’ চালু করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারত সফরের তৃতীয় দিন বুধবার বিকেলে আইটিসি মৌর্য হোটেলে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ১০ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে সেই বৃত্তি তুলে দেন। তিনি বলেন, যে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ৫০ বছর আগে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, এই বৃত্তি সেই ইতিহাসকে পুনরায় মনে করাবে। জওয়ান পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম দুই দেশের মৈত্রী দৃঢ় করতে সেতুর ভূমিকা পালন করবেন।

বার্ষিক এই বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে ২০০ ছাত্রছাত্রীকে। এসএসসি পর্যায়ে ১০০ এবং এইচএসসি পর্যায়ে ১০০ জন চলতি বছরে এই বৃত্তি পেলেন। বৃত্তির পরিমাণ এসএসসি স্তরে এককালীন ৫০০ ডলার, এইচএসসি স্তরে ১০০০ ডলার। বুধবারের অনুষ্ঠানে দেওয়া হলো ১০ জনকে। তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান, বঙ্গবন্ধুর সফল ও সুদৃঢ় নেতৃত্ব এবং ভারত–বাংলাদেশ সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন তিনি। জয়শঙ্কর বলেন, এই ভূখণ্ডের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যই দুই দেশের সম্পর্কের আধার। এই সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু চিরস্মরণীয়। বঙ্গবন্ধুকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে তাই বলেছেন, তিনি ভারতেরও জাতীয় বীর। ভারতেও তিনি প্রণম্য। সে কারণেই জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে তাঁর জীবনালেখ্য নির্মাণ হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশ নিয়ে ভারতীয় সেনারা রক্ত দিয়ে বন্ধুত্বের সংজ্ঞা তৈরি করেছেন। বৃত্তি দান অনুষ্ঠান তারই স্বীকৃতি।

বুধবারের অনুষ্ঠানে যে ১০ ভারতীয় ছাত্রছাত্রীর হাতে বৃত্তি তুলে দেওয়া হয়, যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের বীর দাদাদের প্রত্যেকের অসীম সাহস ও আত্মবলিদানের কাহিনি সংক্ষেপে বর্ণনা করেন মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী সাজ্জাদ হোসেন। তারপর সেই জওয়ানদের স্কুলপড়ুয়া নাতি–নাতনিদের হাতে বৃত্তি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ভারতের অবদান বাংলাদেশ কোনো দিনই ভুলতে পারবে না। ভারতীয় জওয়ানেরা যে আত্মত্যাগ করেছেন, এই বৃত্তি তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য, তার স্বীকৃতি।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং ভারতের কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন প্রতিমন্ত্রী সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) ভি কে সিংও উপস্থিত ছিলেন।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ