উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক যথাযোগ্য মর্যাদায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে শুক্রবারে (১৬/১২) মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়। বিজয় দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সাংসদ জনাব মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল এর উপস্থিতিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে নবীনগর সরকারি হাই স্কুল মাঠে ৫০বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা করেন এবং মাঠ সংলগ্ন স্মৃতি অনির্বাণ ও খারঘর (বড়াইল) গণকবরে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে নবীনগর সরকারি পাইলট হাইস্কুল মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং  শিক্ষার্থীদের সমাবেশ বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ও অভিবাদন গ্রহণ এবং ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বিজয় র ্যালি শেষে ইউএনও একরামুল ছিদ্দিকের সভাপতিত্বে নবীনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় এমপি জনাব মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল, উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির, পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শিব শংকর দাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান, সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী সাহান, জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ নাসির উদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিউলি রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হুসাইন, ওসি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার, মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার শামসুল আলম সরকার, উপজেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম নজু সহ আওয়ামী 

লীগের নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি জাতির সূর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অকুতোভয় সংগ্রাম আর মুক্তিকামী মা-বোনদের আত্মত্যাগের সার্থক প্রতিফলন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের কথা স্মরণ করেন। তিনি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং জাতীয় চার নেতা সহ কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের  যা৺দের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা এবং বিশ্বের বুকে একটি মানচিত্র।

দুপুরে জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে সকল মসজিদ, মন্দির ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। হাসপাতাল ও শিশু সদনে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।