ঢাকা ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

লেকে ডুবে বশেমুরবিপ্রবির দুই ছাত্রীর মৃত্যু, উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয়

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৪:২৫:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩
  • / 242

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) দুই ছাত্রী লেকের পানিতে ডুবে মারা গেছেন।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে। মৃত আনিয়া হিয়া ও তাসপিয়া জাহান ঋতু (২১) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বশেমুরবিপ্রবির অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন। 

জানা গেছে, দুপুরে বৃষ্টির সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকের পাড় দিয়ে যাচ্ছিলেন ওই দুই ছাত্রী। সে সময়ে একজন পা পিছলে পানিতে পড়ে যান। সাঁতার না জানায় ওই শিক্ষার্থী ডুবে যান। সঙ্গে থাকা আরেকজন ডুবে যাওয়া ছাত্রীকে বাঁচাতে লেকে নামলে দুজনেই তলিয়ে যান। পরে আশপাশের কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে জুতো পড়ে থাকতে দেখেন। ওই মুহূর্তে তারা তল্লাশি চালিয়ে ডুবন্ত অবস্থায় হিয়া ও ঋতুকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। 


হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ড. কাজী ইসমাই্ল হোসেন দুই শিক্ষার্থীকেই মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে নেয়ার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানান। 

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, একজন পা পিছলে লেকের পানিতে পড়ে যান এবং সাঁতার না জানায় পানিতে ডুবে যেতে থাকেন। তখন অন্য এক শিক্ষার্থী তাকে বাঁচাতে লেকপাড়ে নামেন। কিন্তু দুৰ্ঘটনাবশত দুজনেই ডুবে মারা গেছেন। তাদের পরিবারকে ইতোমধ্যে খবর দেয়া হয়েছে। দুই শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমরা গভীরভাবে শোক প্রকাশ করছি।

এ দিকে ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করলেও চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই। একটি নামেমাত্র মেডিকেল সেন্টার রয়েছে। কিন্তু সেখানে নিয়মিত ডাক্তার পাওয়া যায় না, অক্সিজেন সেবা নেই। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লেক থাকলেও সেখানে ওঠা-নামার কোনো ব্যবস্থা নেই।

এই রকম আরও টপিক

লেকে ডুবে বশেমুরবিপ্রবির দুই ছাত্রীর মৃত্যু, উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত সময় ০৪:২৫:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) দুই ছাত্রী লেকের পানিতে ডুবে মারা গেছেন।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে। মৃত আনিয়া হিয়া ও তাসপিয়া জাহান ঋতু (২১) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বশেমুরবিপ্রবির অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন। 

জানা গেছে, দুপুরে বৃষ্টির সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকের পাড় দিয়ে যাচ্ছিলেন ওই দুই ছাত্রী। সে সময়ে একজন পা পিছলে পানিতে পড়ে যান। সাঁতার না জানায় ওই শিক্ষার্থী ডুবে যান। সঙ্গে থাকা আরেকজন ডুবে যাওয়া ছাত্রীকে বাঁচাতে লেকে নামলে দুজনেই তলিয়ে যান। পরে আশপাশের কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে জুতো পড়ে থাকতে দেখেন। ওই মুহূর্তে তারা তল্লাশি চালিয়ে ডুবন্ত অবস্থায় হিয়া ও ঋতুকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। 


হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ড. কাজী ইসমাই্ল হোসেন দুই শিক্ষার্থীকেই মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে নেয়ার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানান। 

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, একজন পা পিছলে লেকের পানিতে পড়ে যান এবং সাঁতার না জানায় পানিতে ডুবে যেতে থাকেন। তখন অন্য এক শিক্ষার্থী তাকে বাঁচাতে লেকপাড়ে নামেন। কিন্তু দুৰ্ঘটনাবশত দুজনেই ডুবে মারা গেছেন। তাদের পরিবারকে ইতোমধ্যে খবর দেয়া হয়েছে। দুই শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমরা গভীরভাবে শোক প্রকাশ করছি।

এ দিকে ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করলেও চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই। একটি নামেমাত্র মেডিকেল সেন্টার রয়েছে। কিন্তু সেখানে নিয়মিত ডাক্তার পাওয়া যায় না, অক্সিজেন সেবা নেই। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লেক থাকলেও সেখানে ওঠা-নামার কোনো ব্যবস্থা নেই।