ঢাকা ০২:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সাশ্রয়ী হয়ে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতের তাগিদ তৌফিক-ই-ইলাহীর

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০২:৫৪:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / 75

সাশ্রয়ের মাধ্য়মে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতের তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী বলেছেন, খেয়াল খুশিমতো জ্বালানি ব্যবহার করলে হবে না। সবাই যাতে জ্বালানি সুবিধা পায়, সে লক্ষ্যে অপব্যয় কমিয়ে আনতে হবে।

বুধবার (৯ আগস্ট) জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে জ্বালানি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, সরবরাহ ব্যবস্থার একেবারে সূচনা থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে জ্বালানি ব্যবহার হচ্ছে। কৃষি খাত কিংবা পরিবহন খাত; আবার একেবারে বাসাবাড়ির গ্রাহক পর্যায়- সবখানে জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আবাসিক পর্যায়ের গ্রাহকরা যদি সাশ্রয়ী হোন, তাহলে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। এছাড়া চাইলে পরিবহন ও কৃষিখাতেও জ্বালানি সাশ্রয় করা যায়।

নতুন জ্বালানির উৎস অনুসন্ধানের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, খনন করলেই যে জ্বালানি মিলবে, এমন নিশ্চয়তা দেয়া যায় না। এর আগে সমুদ্রে জ্বালানি অনুসন্ধানের চেষ্টা করা হয়েছিল। কয়েকটি কোম্পানি কাজও নিয়েছিল। কিন্তু পরে এখান থেকে তেমন কোনো সুবিধা আদায় করা যায়নি।

বাংলাদেশের অর্থনীতি আগের থেকে মজবুত উল্লেখ করে তিনি বলেন, 

বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত যথেষ্ট মজবুত। করোনার আগে দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সরবরাহে কোনো সংকট ছিল না। কিন্তু মহামারি ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি হিসাব নিকাশ পাল্টে দিয়েছে। বর্তমান সংকটের মূলে আছে বৈশ্বিক পরিস্থিতি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘এলএনজি রেসপনসিবিলিটি’ আদর্শে বিশ্বাসী মন্তব্য করে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, পকেটে পয়সা আছে বলেই যথেচ্ছ জ্বালানি ব্যবহার করছি, এমন মনোভাব নিয়ে বেশি দূর যাওয়া যাবে না। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় সবাইকে সচেতন হতে হবে। নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্বশীলতার প্রমাণ দিতে হবে।

এর আগে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বাংলাদেশ এনার্জি সোসাইটি আয়োজিত এক ওয়েবিনারে তৌফিক-ই-ইলাহী বলেছিলেন, গত তিন বছরে বাংলদেশকে শুধু জ্বালানি খাতে ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করতে হয়েছে। করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের সমন্বিত সংকটে ব্যয় হয়েছে বাড়তি অনেক অর্থ।

জ্বালানি ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রীকরণের দিকে জোর দিয়ে তিনি বলেছিলেন, একক ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করা যাবে না। একটি মাত্র উৎসের ওপর জ্বালানি খাত নির্ভর করলে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

এক্ষেত্রে পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবচনা সাপেক্ষে জ্বালানি উত্তোলনের বিষয়টি বিকেন্দ্রীকরণের দিকে জোর দেন তিনি।

এই রকম আরও টপিক

সাশ্রয়ী হয়ে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতের তাগিদ তৌফিক-ই-ইলাহীর

প্রকাশিত সময় ০২:৫৪:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩

সাশ্রয়ের মাধ্য়মে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতের তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী বলেছেন, খেয়াল খুশিমতো জ্বালানি ব্যবহার করলে হবে না। সবাই যাতে জ্বালানি সুবিধা পায়, সে লক্ষ্যে অপব্যয় কমিয়ে আনতে হবে।

বুধবার (৯ আগস্ট) জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে জ্বালানি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, সরবরাহ ব্যবস্থার একেবারে সূচনা থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে জ্বালানি ব্যবহার হচ্ছে। কৃষি খাত কিংবা পরিবহন খাত; আবার একেবারে বাসাবাড়ির গ্রাহক পর্যায়- সবখানে জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আবাসিক পর্যায়ের গ্রাহকরা যদি সাশ্রয়ী হোন, তাহলে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। এছাড়া চাইলে পরিবহন ও কৃষিখাতেও জ্বালানি সাশ্রয় করা যায়।

নতুন জ্বালানির উৎস অনুসন্ধানের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, খনন করলেই যে জ্বালানি মিলবে, এমন নিশ্চয়তা দেয়া যায় না। এর আগে সমুদ্রে জ্বালানি অনুসন্ধানের চেষ্টা করা হয়েছিল। কয়েকটি কোম্পানি কাজও নিয়েছিল। কিন্তু পরে এখান থেকে তেমন কোনো সুবিধা আদায় করা যায়নি।

বাংলাদেশের অর্থনীতি আগের থেকে মজবুত উল্লেখ করে তিনি বলেন, 

বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত যথেষ্ট মজবুত। করোনার আগে দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সরবরাহে কোনো সংকট ছিল না। কিন্তু মহামারি ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি হিসাব নিকাশ পাল্টে দিয়েছে। বর্তমান সংকটের মূলে আছে বৈশ্বিক পরিস্থিতি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘এলএনজি রেসপনসিবিলিটি’ আদর্শে বিশ্বাসী মন্তব্য করে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, পকেটে পয়সা আছে বলেই যথেচ্ছ জ্বালানি ব্যবহার করছি, এমন মনোভাব নিয়ে বেশি দূর যাওয়া যাবে না। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় সবাইকে সচেতন হতে হবে। নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্বশীলতার প্রমাণ দিতে হবে।

এর আগে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বাংলাদেশ এনার্জি সোসাইটি আয়োজিত এক ওয়েবিনারে তৌফিক-ই-ইলাহী বলেছিলেন, গত তিন বছরে বাংলদেশকে শুধু জ্বালানি খাতে ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করতে হয়েছে। করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের সমন্বিত সংকটে ব্যয় হয়েছে বাড়তি অনেক অর্থ।

জ্বালানি ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রীকরণের দিকে জোর দিয়ে তিনি বলেছিলেন, একক ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করা যাবে না। একটি মাত্র উৎসের ওপর জ্বালানি খাত নির্ভর করলে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

এক্ষেত্রে পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবচনা সাপেক্ষে জ্বালানি উত্তোলনের বিষয়টি বিকেন্দ্রীকরণের দিকে জোর দেন তিনি।