ঢাকা ০৮:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

২৪ ঘণ্টা পরও খোঁজ মেলেনি চুরি হওয়া নবজাতকের

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০২:২৯:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩
  • / 62

কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতাল থেকে এক নবজাতক চুরি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কোনো খোঁজ মেলেনি চুরি হওয়া নবজাতকের।

রোববার (১৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের শিশু বিভাগের টিকিট কাউন্টারের সামনে নবজাতকের নানির কাছ থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে এক মহিলা ওই নবজাতককে নিয়ে পালিয়ে যায়।


পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ আগস্ট কুমিল্লা সদর উপজেলার বারোপাড়া কৃষ্ণপুর এলাকার জসিম উদ্দীনের স্ত্রী আয়েশা বেগম প্রসব ব্যথা নিয়ে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। ১০ আগস্ট দুপুরে সিজারের মাধ্যমে মেয়ে বাবু জন্ম নেয়। জন্ম নেয়া নবজাতক মায়ের দুধ না পাওয়ায় গাইনী বিভাগের বারান্দায় নানির কোলে কান্না করতে থাকে। এই সময় হাসপাতালে অবস্থানরত অজ্ঞাত একনারী এসে নবজাতককে শিশু ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দিলে নবজাতকের নানি নুরজাহান বেগম রোববার (১৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় সদর হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারের যায় টিকিট সংগ্রহের জন্য।

নবজাতকের নানি নুরজাহান বেগম সময় সংবাদকে বলেন, আমি টিকিট কাউন্টারের যাওয়ার পর ওই অজ্ঞাত মহিলা এসে আমাকে বলে, আপনি বয়স্ক মানুষ বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে টিকিট নিতে পারবেন না। বাচ্চাটাকে আমার কাছে দেন, আমি বাচ্চাটাকে নিয়ে টিকিট সংগ্রহ করে নিয়ে আসি। তখন আমি বাচ্চাটাকে ওই মহিলার কাছে দিলে সে বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে টিকিট কাউন্টারের দিকে যায়। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে যখন দেখলাম ওই মহিলা আর আসছে না তখন আমি সবাইকে ব্যাপারটা জানাই।’


নবজাতকের বাবা জসিম উদ্দীন সময় সংবাদকে জানান, আমি ইপিজেড এ কাজ করি। গত বৃহস্পতিবার সিজারের মাধ্যমে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে আমার মেয়ে বাবু জন্ম নেয়। আমার স্ত্রী এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিল। এক অজ্ঞাত মহিলার কথা শুনে চিকিৎসককে দেখানোর জন্য আমার শাশুড়ি টিকিট কাউন্টারে আসে। এখানে এলে ওই মহিলা আমার শাশুড়িকে বলে উনি টিকিট কেটে দিবেন। নবজাতককে তার কাছে দেয়ার জন্য। আমার শাশুড়িও তার কোলে বাবুকে দেয়। এরপর তিনি বাবুকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

কুমিল্লা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান সময় সংবাদকে জানান, এ ঘটনা জানতে পেরেই পুলিশের একাধিক টিম এই বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে। জেলা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে কাজ শুরু করেছে।

এই রকম আরও টপিক

২৪ ঘণ্টা পরও খোঁজ মেলেনি চুরি হওয়া নবজাতকের

প্রকাশিত সময় ০২:২৯:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩

কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতাল থেকে এক নবজাতক চুরি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কোনো খোঁজ মেলেনি চুরি হওয়া নবজাতকের।

রোববার (১৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের শিশু বিভাগের টিকিট কাউন্টারের সামনে নবজাতকের নানির কাছ থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে এক মহিলা ওই নবজাতককে নিয়ে পালিয়ে যায়।


পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ আগস্ট কুমিল্লা সদর উপজেলার বারোপাড়া কৃষ্ণপুর এলাকার জসিম উদ্দীনের স্ত্রী আয়েশা বেগম প্রসব ব্যথা নিয়ে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। ১০ আগস্ট দুপুরে সিজারের মাধ্যমে মেয়ে বাবু জন্ম নেয়। জন্ম নেয়া নবজাতক মায়ের দুধ না পাওয়ায় গাইনী বিভাগের বারান্দায় নানির কোলে কান্না করতে থাকে। এই সময় হাসপাতালে অবস্থানরত অজ্ঞাত একনারী এসে নবজাতককে শিশু ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দিলে নবজাতকের নানি নুরজাহান বেগম রোববার (১৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় সদর হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারের যায় টিকিট সংগ্রহের জন্য।

নবজাতকের নানি নুরজাহান বেগম সময় সংবাদকে বলেন, আমি টিকিট কাউন্টারের যাওয়ার পর ওই অজ্ঞাত মহিলা এসে আমাকে বলে, আপনি বয়স্ক মানুষ বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে টিকিট নিতে পারবেন না। বাচ্চাটাকে আমার কাছে দেন, আমি বাচ্চাটাকে নিয়ে টিকিট সংগ্রহ করে নিয়ে আসি। তখন আমি বাচ্চাটাকে ওই মহিলার কাছে দিলে সে বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে টিকিট কাউন্টারের দিকে যায়। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে যখন দেখলাম ওই মহিলা আর আসছে না তখন আমি সবাইকে ব্যাপারটা জানাই।’


নবজাতকের বাবা জসিম উদ্দীন সময় সংবাদকে জানান, আমি ইপিজেড এ কাজ করি। গত বৃহস্পতিবার সিজারের মাধ্যমে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে আমার মেয়ে বাবু জন্ম নেয়। আমার স্ত্রী এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিল। এক অজ্ঞাত মহিলার কথা শুনে চিকিৎসককে দেখানোর জন্য আমার শাশুড়ি টিকিট কাউন্টারে আসে। এখানে এলে ওই মহিলা আমার শাশুড়িকে বলে উনি টিকিট কেটে দিবেন। নবজাতককে তার কাছে দেয়ার জন্য। আমার শাশুড়িও তার কোলে বাবুকে দেয়। এরপর তিনি বাবুকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

কুমিল্লা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান সময় সংবাদকে জানান, এ ঘটনা জানতে পেরেই পুলিশের একাধিক টিম এই বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে। জেলা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে কাজ শুরু করেছে।